নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ-২০২৩।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি । প্রত্যাশা করি সবসময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ২১ অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আজ হেমন্তের আবহাওয়া অন্যদিনের তুলনায় মেঘাচ্ছন্ন। বিকেলে থেকে দু-এক ফোটা বৃষ্টি ঝড়ছে মাঝে মধ্যে। তবে শীতের তীব্রতা নেই। বৃষ্টি বেশি হলে এই সময়ে ধান কাটা-মাড়াইয়ে সাময়িক অসুবিধায় পড়বে কৃষকেরা। এবং রোদ-বৃষ্টি -শীত মাথায় নিয়েই, প্রকৃতির আচরণের সাথেই তাদের পথ চলা। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন
নারীর প্রতি সহিংসতা বা নির্যাতন এখন মহামারি। শুধু আমাদের দেশ না সারা বিশ্বেই এর ব্যাপ্তি বিস্তৃত। বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতা, অবিচার,বৈষম্য সর্বজনবিদিত। সারা বিশ্বেই এখন টপ ইস্যু নারীর প্রতি বৈষম্য-নির্যাতন। আর এই বৈষম্য -নির্যাতন বন্ধে বা প্রতিরোধ সারা বিশ্বেই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চলছে নানা কর্মসূচি। আলাপ,আলোচনা, গোলটেবিল,সেমিনার, সিম্পোজিয়াম সহ কত শত কর্মসূচি। কিন্তু নারীর প্রতি বৈষম্য -নির্যাতন কোন ভাবেই কমছে না।বরং নতুন নতুন ধরণ বা মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। প্রচলিত বৈষম্য ও নির্যাতনের ধরণ গুলোর পাশাপাশি নতুন করে যুক্ত হচ্ছে সাইবার বুলিং। যা এখন ভয়াবহ।
বন্ধুরা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিশ্বব্যাপী একটা আন্দোলন। নারীদের নিয়ে, তাদের অধিকার সচেতন করে তুলতে,বিভিন্ন বৈষম্য নিরসন, নির্যাতন -সহিংসতা বন্ধে প্রতিবছর বিভিন্ন দিবস পালন হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে পালন হচ্ছে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পালন হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ- ২০২৩। প্রতিবছর নভেম্বর মাসের ২৫ তারিখ থেকে ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এই পক্ষ পালন করা হয়ে থাকে। ১০ ডিসেম্বর আবার আন্তর্জাতিক মানবাতাবাদী দিবস। নারীর মানবাধিকার রক্ষার আওয়াজ তুলে পক্ষের সমাপ্তি ঘটে।এবারও আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যথাযথ ভাবে পালিত হচ্ছে, পক্ষকাল ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান- আয়োজন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় "নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা বন্ধে এগিয়ে আসুন, সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন"।
কেন নারীর প্রতি বৈষম্য -নির্যাতন -সহিংসতা? এত এত আলোচনা, সভা,সেমিনার,আইন প্রনয়ণ তবুও কমছে না নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য। এর মূলে কি? গভীরভাবে ভাবলে অনেক কিছুই চলে আসে। বিস্তারিত আলোচনা না করে শুধু এতটুকু বলতে চাই নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। নিজের পথ নিজেকেই বেছে নিতে হবে। পরনির্ভরশীল না হয়ে নিজে নিজে বাঁচতে শিখতে হবে। অন্যায়-অবিচার মুখ বুঝে সহ্য না করে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করতে হবে।
আমাদের পরিবার,সমাজ ও রাষ্টীয় কাঠামো পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা চালিত। নারী সম্পর্কে পুরুষের দীর্ঘদিনের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা বদলাতে অনেক সময় লাগবে। চেষ্টা করতে হবে ঘরে-বাইরে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে।আর পুরুষ যদি আস্তে আস্তে নারী সম্পর্কে তার ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা হলে নারী-পুরুষের সাম্যের পরিবার,সমাজ ও দেশ একদিন না একদিন গড়ে উঠবেই। আর এজন্য নারী-পুরুষ উভয়কেই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নিজ নিজ জায়গা থেকে সবাই সোচ্চার হই।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/selina_akh/status/1732455167260586267
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বর্তমান জ্ঞান বিজ্ঞানের সময়ে নারী নির্যাতন একেবারেই কাম্য নয়। নারীদের প্রতি আমাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা উচিত। কেননা বর্তমান সমাজে বা দেশে অর্ধেক পুরুষ বসবাস করে আর অর্ধেক নারী বসবাস করে। তাই নারীকে বাদ দিয়ে একটি সমাজের বা দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন অর্জন করা কোনভাবেই সম্ভব না। তাই নারীকে সমমর্যাদা ও সুযোগ দিয়ে এবং তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। একই সাথে নারী নির্যাতন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য আমাদের সকলকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। খুবই সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।দেশের উন্নয়ন নারীদের ছাড়া সম্ভব নয়।তাই নারীদের জীবনমান উন্নয়নের সাথে তাদের প্রতি সকল বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
নারী নির্যাতনের চিত্র যেন অনেক বেড়ে গেছে। কেউ বা শারীরক ভাবে নির্যাতনের স্বিকার।কেউ বা মানসিক ভাবে।নারী নির্যাতন যেন একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়ে গেছে। আসলে মানসিক পরিবর্তন না হলে এই নির্যাতন কোনভাবেই বন্ধ হবে না আমার মনে হয়।সারাবিশ্বে নারী নির্যাতন কোন না কোন ভাবে হয়েই যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আমরা যত শিক্ষিত হচ্ছি নারী নির্যাতন তত বেড়েছে।ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।