ঈদের দিনে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরাঘুরি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুর,কেমন আছেম? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৯ ই চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১২ইএপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
আগামীকাল বাংলা বছরের শেষ দিন। একদিন পরেই বাংলা নতুন বছরের শুরু। পার্বত্য জেলা গুলোতে শুরু হয়েছে বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণের তিন দিন ব্যাপী বৈশাবি উৎসব। এছাড়া বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণ নিয়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন দেশ ব্যাপী। বর্ষ বিদায় ঘিরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চৈত্র সংক্রান্তি মেলা ও বৈশাখী মেলা আমাদের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্য। ঈদের কারণে হয়ত বর্ণাঢ্য ভাবে সব জায়গায় বৈশাখী আয়োজন হবে না কিন্ত হবে। গতকাল আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ শেষ হয়েছে।ঈদের দিনে বাড়ির বাচ্চা-কাচ্চাদের নিয়ে ঘুরাঘুরি বিষয়ে পোস্ট নিয়ে আজ হাজির হলাম আপনাদের সামনে।
ঈদ মানেই খুশি আর আনন্দ।সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে বাচ্চারা। বাচ্চাদের আনন্দই আমাদের আনন্দ।আপনারা অনেকেই জানেন আমি গ্রামের বাড়িতে ঈদ করছি।গ্রামের ঈদ মানেই ডাবল খুশি।ঈদের খুঁশির সাথে পবিবারের সবার সাথে দেখা হওয়ার খুশি।আমার দেবরেরা কর্মের তাগিদে সবাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও দেখা হয় বছবে দুই/তিনবার।কিন্ত ঈদে সবাই গ্রামে আসেন। তাই বলা যায় ঈদ মানে আমাদের পরিবারের সদস্যদের পুনর্মিলনী।
গতকাল ঈদের দিন বাড়ির বাচ্চা-কাচ্চাদের আবদার তারা ঘুরতে যাবে। পার্বতীপুরে তেমন ঘুরাঘুরির জায়গা নেই। ঈদ উপলক্ষে একটি ক্যানেলের পাশে অস্থায়ী মেলার আয়োজন করে থাকে। এছাড়া পার্বতীপুরে এবার একটি রিসোর্টের যাত্রা শুরু হচ্ছে নতুন করে। স্বপ্ন ছোয়া নামের রিসোর্টটি বেশ বড়সড় জায়গা ঘিরে তৈরি করছে।বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থাও আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম দূরে না যেয়ে বাচ্চাদের ক্যানেল ও রিসোর্ট ঘুরে নিয়ে আসি।বাড়ি থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে, তাই সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিকেলে রওনা দিলাম আমরা।কিন্তু যেয়ে দেখি মানুষের প্রচন্ড ভীড়। ক্যানেলের পাড়ে বেশি সময় না কাটিয়ে, রিসোর্টে চলে আসি। এখানেও প্রচুর ভীড়। দর্শনীর বিনিময়ে ঢুকতে হয়। ভিতরে প্রবেশ করে বড়সড় পরিসর দেখে ভালো লাগলো। এখনো বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে রিসোর্টটির।বাচ্চাদের বেশ কয়েকটি খেলার রাইড আছে রিসোর্টটিতে। আমাদের বাচ্চারা রাইড গুলো ব্যবহার করে বেশ খুশি ও আনন্দিত। দেখতে দেখতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসায় কফি হাউসে কফি খেয়ে আমরা বাড়িতে ফিরে আসি। ঈদের দিনের ব্যস্ততার মধ্যে বাড়ির বাচ্চাদের সাথে ঘুরাঘুরি করে তাদের আনন্দিত দেখে বড়রা আমরাও আনন্দিত।
পোস্ট বিবরণ
| পোস্ট | লাইফস্টাইল |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | selina 75 |
| ডিভাইস | Redmi Note 5A |
| তারিখ | ১২ই এপ্রিল ,২০২৪ইং |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। আর এমন একটি দিনে তো দেখছি বাচ্চাদের নিয়ে বেশ ভালোই ঘুরে বেড়িয়েছেন। আসলে ঈদ কিন্তু বাচ্চাদের জন্য। আমরা তো এখন বড় হয়ে গেয়েছি। বাচ্চাদের আনন্দই এখন আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বাচ্চাদের সাথে সাথে আমরাও আনন্দ করেছি আপু।
আসলে ঈদের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মজাটাই আলাদা। আর এই কথাটা বলতেই হচ্ছে যে পার্কটা সত্যি অনেক সুন্দর একদম বাচ্চাদের জন্য পারফেক্ট, ছবিগুলোতে আপনার বাচ্চাদের দেখতে খুব হাসি খুশি লাগছিল এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
পার্বতীপুর এ ঘুরাঘুরি করার তেমন জায়গা নেই।পার্কটি মাত্র তৈরি হচ্ছে।এখনও অনেক কাজ বাকী।তবে বাচ্চারা বেশ আনন্দ করেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। আর এই খুশি সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। বাচ্চাদের সাথে বাইরের পরিবেশে ঘুরতে যাওয়ার মজা আলাদা। কারণ ঈদ উপলক্ষে মানুষের আগমন পার্ক গুলি অথবা ফাঁকা প্রাকৃতিক পরিবেশে। আর এবার ঈদের দিন টা আমাদের এদিকে বেশ সুন্দর ছিল আবহাওয়াটা এত চমৎকার ছিল আমরা ঘুরাঘুরি করেছি আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর অনুভূতি জেনে।
জি ভাইয়া এবার আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল ঘুরাঘুরির জন্য।তাই বাচ্চারা বেশ মজা পেয়েছে ঘুরে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বোঝা যাচ্ছে ঈদের দিনে বাচ্চাদের নিয়ে দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে তবে তারা মাঝে মাঝে এত বেশি যন্ত্রণা দেয় যে মনে হয় তাদের নিয়ে আর ঘুরতে বের হব না। যাইহোক আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের দারুন একটা মুহূর্ত তুলে ধরার জন্য।
বাচ্চারাতো দুস্টুমি করবেই।তা সহ্য করেই তাদের নিয়ে বেড়াতে হবে।
গ্রামের ঈদে যে আনন্দটা পাওয়া যায়, এটা অন্য আর কোথাও পাওয়া যায় না। গ্রামে সবাই একসাথে থাকে। আর সবাই মিলে একসাথে ঈদ করার মধ্যে থাকে সব থেকে বড় আনন্দ। ঈদের দিন কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে ঈদের দিন সবাই মিলে কোথাও যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনি তো দেখছি বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঈদের দিন ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন। যেটা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে। খুব সুন্দর করে আপনি আপনাদের কাটানো পুরো মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন।
জি আপু ঈদ উপলক্ষ্যে সবাই একসাথে হওয়ার মজাই আলাদা।আর বেশ মজা হয়েছে বাচ্চাদের নিয়ে পার্কে বেড়ানো।
ঈদ উপলক্ষে অস্থায়ী একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আর আপনি বাচ্চাদের নিয়ে সেই মেলায় ঘুরতে গিয়েছেন। আসলে ঈদের দিন একটু ঘুরাঘুরি না করলে ভালো লাগে না। খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনারা সেখানে। অনেক মানুষের ভিড় ছিল দেখছি। ক্যানেলের পাড়ে বেশিক্ষণ না থেকে পরে আপনারা রিসোর্টে চলে গিয়েছেন। খুব সুন্দর সুন্দর রাইড আছে দেখছি সেখানে। ভালো লাগলো আপনার মুহূর্ত গুলো দেখে।
ঈদে ঘুরতে যেতে বেশ ভালো লাগে।সবার নতুন জামা পরে ঘুরতে দেখতে বেশ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।
ঈদের দিনে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন, আর ঘুরাঘুরিটা ভালোভাবে করেছেন তা তো আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারতেছি সহজেই। আপনাদের কাটানো পুরো মুহূর্তটা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। বাচ্চারা এই ধরনের জায়গায় ঘুরতে যেতে অনেক বেশি ভালোবাসে। বাচ্চারা রাইডে উঠতে সবথেকে বেশি পছন্দ করে। বিভিন্ন রাইডে তারা যদি চড়তে পারে তাহলে তার থেকে আর বেশি খুশি কোথাও হয় না। এত সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করে সবার মাঝে শেয়ার করেছেন এটার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া ঈদের দিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদের দিন মানে রান্নাবান্না খাওয়া দাওয়া আর ঘুরাঘুরি। আর এর মাঝে যদি আপন জনদের পাশে পাওয়া যায় তাহলে সত্যি খুবই ভালো লাগে। আপনি পরিবারের বাচ্চাদের নিয়ে বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমি আমার বাবুকে নিয়ে বাইরে যেতে পারিনি। তবে তারপরের দিন একটু বের হয়েছি। যাই হোক অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে আমার।
বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে বের হলে তারা বেশ আনন্দ পায়।তাই তাদের নিয়ে ঘুরতে বের হতে হয় সময় বের করে।ধন্যবাদ আপু।