লাইফস্টাইলঃপরিবেশ মেলায় কিছুক্ষণ।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন?,আশাকরি সবাই ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি ।আজ ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১৮ ই জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
ঈদের আমেজ চলছে দেশব্যাপী। সরকারি বন্ধের কারণে অফিস আদালতসহ সরকারী-বেসরকারী সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ। মানুষ এই সুযোগে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন একে অপরের সাথে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে আবার কর্ম ব্যস্ত জীবনের। আজ রাত থেকেই কর্মস্থলে ফেরা শুরু হবে মানুষের। মানুষের কর্মস্থলে ফেরা নিরাপদ হোক এই কামনা করি।দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও ঢাকায় বৃষ্টির দেখা নেই। প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। বলা যায়, ঢাকার মানুষের ঈদের আনন্দ মাটি করে দিয়েছে এই প্রচন্ড গরম।পরিবেশ ও প্রকৃতির উপর মানুষের যে অবহেলা ও অত্যাচার তারেই প্রতিদান এই অসহনীয় গরম।বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আমার আজকের লাইফস্টাইল পোস্ট পরিবেশ নিয়ে। বিষয় পরিবেশ মেলায় একদিন।
ঢাকার পরিবেশ কত খারাপ তা সূচকের উপর দৃষ্টি দিলেই বুঝতে পারি।আজ বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ছিল সারা পৃথিবীর মধ্য ১১ তম। অবশ্য ঢাকার অবস্থানও এক/দুইয়ের মধ্যে থাকে প্রায়ই।ঢাকার বায়ূ প্রায় অস্বাস্থ্যকর থাকে। আমরা যারা ঢাকায় বসবাস করি, তারা দূষিত শ্বাস নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। এমনি এক পরিস্থিতিতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ঢাকার বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ মেলা। ৫ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপি এই মেলা সকাল নয়টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য ছিল উন্মুক্ত। সাধারণ মানুষের মধ্যে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারী-বেসরকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।গত ৯ জুন সন্ধ্যায় কিছু সময়ের জন্য মেলায় যেয়ে আমি অভিভূত।
বিভিন্ন মেলায় যেতে আমার ভালই লাগে। বিশেষ করে এ ধরণের মেলার খবর পেলে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি। মিস করি না। তবে নিত্যপণ্যের মেলা গুলোতে যে ভীড় হয়, পরিবেশ মেলায় তেমন ভীড় ছিল না। পরিবেশ মেলার পরিবেশ অনেক ভালো ছিল। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ থাকায় গরমে তেমন ঘুরতে অসুবিধা হয়নি। ভীড় কম থাকলেও প্রতিটি স্টলে ছিল উৎসুক মানুষের ভীড়। স্টল গুলো মূলতঃ পরিবেশের ক্ষতি যাতে না হয় তেমন প্রযুক্তির ব্যবহার উপস্থাপন করেছেন। তাই স্টল কর্মীদের কাছে নানা জিজ্ঞাসা কিভাবে পরিবেশকে সুরক্ষা দিতে পারবে এইসব প্রযুক্তি -পদ্ধতি।মেলায় পরিবেশ বান্ধব পলিথিন ব্যাগ থেকে শুরু করে বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট বিভিন্ন প্রযুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষকরে পানির সুরক্ষা ও আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে করা স্টল গুলোতে মানুষের ভীড় ও জিজ্ঞাসা ছিল বেশী।
সন্ধ্যায় মেলায় যাওয়াতে সময় তেমন পাইনি। সময় পেলে আরো ভালো করে জানা যেত পরিবেশ রক্ষার পদ্ধতি সম্পর্কে। শুধু এতটুকু বলতে পারি পরিবেশ রক্ষার সচেতনতার জন্য এধরণের মেলা খুব জরুরি। পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষার জন্য মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। মানুষেই পারে পরিবেশ রক্ষা করতে। সেটা নিজ ঘর থেকেই শুরু করলে সবচেয়ে ভালো। পরিবেশ -প্রাণ- প্রকৃতি বাঁচলে,পৃথিবী বাঁচবে। পৃথিবী বাঁচলে আমরা বাঁচলো।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Samsung A-10 |
তারিখ | ১৮ জুন,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/selina_akh/status/1803118643217310164
সাধারণত বিজ্ঞান মেলাতেও পরিবেশ এর ভালো হবে এমন বিষয় কে ফোকাস করে অনেক প্রজেক্ট জমা হয়! আমিও স্টূডেন্ট লাইফে এসব করেছি, তাই আমারও বেশ আগ্রহ এসব বিষয় নিয়ে। আগে জালনে হয়তো সুযোগ করে যেতাম আপু। আগারগাঁও তে চীন মৈত্রী সম্মেলনের ওখানে মাস ব্যাপী বৃক্ষমেলা হচ্ছে, ওখানে যাবো ঠিক করেছি। আসলেই ঢাকায় আমরা যারা আছি, প্রতিনিয়তই দূষিত বাতাস দিকে বুক ভরছি! এমন পরিবেশ মেলা বা এমন উদ্যোগগুলো কে আরো অনেক বেশি উৎসাহিত করা উচিত। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
ঠিক তাই পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখতে এবং জনগনকে সচেতন করতে এ ধরনের মেলা বেশ জরুরী। আমিও পছন্দ করি এ ধরনের মেলায় যেতে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
পরিবেশ মেলায় ঘুরে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন আপু। সত্যি বলতে এধরনের মেলায় ঘুরতে পারলে যেমন জ্ঞান বাড়ে তেমনি নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর আপনি বেশ বিস্তারিত বর্ণনা করার চেষ্টা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য।
আমারও বেশ ভালো লাগে এ ধরনের মেলায় যেতে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
এরকম ধরনের মেলায় যেতে আমারও অনেক ভালো লাগে আপু। আমি যদি এরকম কোন মেলার খবর পাই, সাথেই চলে যাই শত ব্যস্ততা থাকলেও। এই ধরনের পরিবেশ মেলায় গেলে নতুন নতুন অনেক ধরনের জিনিস জানা যায় যা খুব ভালো লাগে আমার। তাছাড়া আপনি এটা ঠিক কথা বলেছেন আপু, এই ধরনের মেলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের জন্য। সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এই ধরনের মেলার ফলে। মানুষ পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে অনেক সচেতন হতে পারে, এইসব মেলায় এসে বিভিন্ন জিনিস দেখার মাধ্যমে।
জি ভাইয়া অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা যায় এ ধরনের মেলায় গেলে।আমিও পছন্দ করি বিভিন্ন মেলায় যেতে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
প্রচন্ড গরমের কারণে ঢাকায় ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে আর আমাদের এদিকে প্রচন্ড বৃষ্টির কারণে ঈদের আনন্দ মাটি হয়েছে। প্রায় সাত দিন থেকে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। আপু আপনি পরিবেশ মেলায় গিয়েছিলেন আর দারুন সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই ধরনের মেলাগুলোতে কখনো যাওয়া হয়নি।
আমার বেশ ভালো লাগে এ ধরনের মেলায় যেতে।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি দেখি বিভিন্ন ধরনের মেলায় গিয়ে সেখানকার ফটোগ্রাফি করে পোস্ট করেন। আমার কাছে কিন্তু এই ধরনের পোস্টগুলো খুবই ভালো লাগে। আজকে পরিবেশ মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি সহ বর্ণনা করেছেন। পরিবেশ মেলায় এমন উদ্যোগ গুলো বেশ ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি চেস্টা করি বিভিন্ন মেলায় যেতে।বেশ ভালো লাগে মেলায় ঘুরতে। ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্য।
মেলায় ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আর পরিবেশ মেলা হলে তো আর কোন কথাই নেই৷ পরিবেশ মেলায় অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস থাকে যা আজকে আপনার কাছ থেকে দেখতে পেলাম৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি এখানে সবকিছু ফুটিয়ে তুলেছেন এবং আপনি এখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ঠিক তাই মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। তাই আমি চেস্টা করি বিভিন্ন মেলায় যেতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।