ফটোগ্রাফিঃবিভিন্ন ফলের ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ9 hours ago

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন।আজ ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।


গত জুন ৫ই জুন হতে ১৩ ই জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বৃক্ষ মেলা।প্রতি বছর বিভিন্ন জেলায় বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।আর ঢাকায় বেশ বড় পরিসরে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয় চলে মাস জুড়ে।আমি প্রতি বছর বৃক্ষ মেলায় যাওয়ার চেস্টা করি। এবারও গিয়েছিলাম।অনেক নতুন নতুন গাছ ও ফল দেখেছি। আর এ জন্যই আমার বৃক্ষ মেলায় যেতে বেশি ভালো লাগে। বেশ ভালো কিছু সময় কাটিয়েছি বৃক্ষ মেলায়। বৃক্ষ মেলায় করা কিছু ফটোগ্রাফি আগে একটি পোস্ট এ শেয়ার করেছিলাম। আজ নতুন আর একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজ আমি কিছু দেশী বিদেশী ফলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের ।

প্রথম ফটোগ্রাফি

ph6.jfif

এই প্রথম আমি এমন লাল রং এর আম দেখলাম। আমের খোসার রংটি লাল ও বেগুনি মিশ্রিত। দেখতে বেশ সুন্দর। বিক্রেতার কাছ থেকে জানতে পারলাম এই আম থাইল্যান্ডের । আজকাল আমাদের দেশে থাইল্যান্ড এর আমের চাষ বেশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে এই আমের চাহিদাও বেশ। এর কারন এই আম বেশ মিস্টি। যদিও বিক্রেতা এই আমের নাম বলেছিল,কিন্তু আমার মনে না থাকায় শেয়ার করতে পারলাম না দুঃখিত। কেউ যদি জানেন কমেন্ট করে জানালে খুশি হবো।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

ph8.jfif

এই ফলটি সবার চেনা। এটি হলো পাকা ডালিম ফলের ফটোগ্রাফি। ছোট বড় সবারই পছন্দ এই ডালিম ফল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এ ভরপুর এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর এই ফল।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

ph5.jfif

এই ফলটিও আমাদের সবারই পরিচিত। এই ফল জাম্বুরা নামে বেশ পরিচিত হলেও বাতাবী লেবু নামেও বেশ পরিচিত। এই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা । এই ফল দেহের কোষের ক্ষয় কমিয়ে ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।আর ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এই জাম্বুরা বেশ উপকারী। রক্তের ইন্সুলিনের মাত্রা কমাতে এই ফল বেশ কার্যকরী।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

pho1.jpg

এটি ত্বীন ফলের ফটোগ্রাফি। আমি প্রথম বৃক্ষ মেলায় ত্বীন গাছ দেখেছি ত্বীন ফল সহ। বেশ উপকারী ফল হল ত্বীন ফল। ত্বীনফল বাংলাদেশে ডুমুর নামে বেশি পরিচিত।ত্বীন ফল কোলেস্টরেল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। সেই সাথে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ত্বীন ফল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন,হাড়ের ক্ষয় রোধ,হজম শক্তি বৃদ্ধি,ক্যান্সার প্রতিরোধ ও রক্ত স্বল্পতা নিয়ন্ত্রনে বেশ কার্যকর।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

ph9.jfif

লটকন গাছের ফটোগ্রাফি এটি। দেখতে বেশ সুন্দর থোকায় থোকায় ডালে ঝুলে থাকে বলে দেখতে বেশি সুন্দর লাগে। খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলায় এই ফলের চাষ হয়। তবে নরসিংদী,মানিকগঞ্জ,গাজীপুর,নেত্রকোনা ও সিলেটে লতকন চাষ বেশি হয়।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

ph7.jfif

এই ফলটি প্রথমে দেখে আমি ভেবেছিলাম নতুন কোন ফল বাহিরের ডিপ বেগুনী রং এর। বিক্রেতাকে জিজ্ঞাস করায় জানালো,এটি হল পেয়ারা। আজকাল নাকি এ ধরনের পেয়ারাও চাষ করা হচ্ছে বাংলাদেশে। খেতে নাকি বেশ মিস্টি এই পেয়ারাটি, বলল বিক্রেতা।

সপ্তম ফটোগ্রাফি

ph4.jfif

বিদেশী ফল ড্রাগনের ফটোগ্রাফি এটি। আজকাল বাংলাদেশেও এ ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আদি নিবাস মেক্সিকো। মিস্টি স্বাদ যুক্ত এই ফল বেশ জনপ্রিয়। বিভিন্ন রং এর ড্রাগন ফল বাংলাদেশে চাষ হয়ে থাকে।ড্রাগন ফল শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
ক্যামেরাRedmi Note A5
পোস্ট তৈরি@selina 75
তারিখ১৩ই আগস্ট,২০২৪ইং
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

Sort:  

আপনার করার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এক একটি ফটোর মধ্যে একটি ফলের সৌন্দর্য যেন ফুটে উঠেছে। আপনার তোলা সবগুলা ফল আমার পছন্দের তালিকায় আছে। আর আমাদের নিজেদের অনেক বড় ড্রাগন বাগান আছে। ড্রাগনের পরিচর্যা করতে আমার খুবই ভালো লাগে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 8 hours ago 

প্রত্যেকটি ফলের ফটোগ্রাফি খুব ভালো হয়েছে। সুন্দর করে ব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রতিটি ছবি উপস্থাপনা করেছেন। সবকটি ফল আমাদের বাংলার হৃদয়ের সঙ্গে যুক্ত। ফুলে ফলে ভরা এই দুই বাংলার প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে আছে এই সকল ফলগুলি। খুব ভালো লাগলো।

 7 hours ago 

লটকন আর ত্বীন ফল কোনদিন দেখিনি। কেমন খেতে? বাকিগুলো খেয়েছি। ভালো হয়েছে বেশ ছবিগুলো।

 7 hours ago 

বৃক্ষ মেলায় গিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন যা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম।আপনার শেয়ার করা কিছু ফলের ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু।এ ধরনের রঙের পেয়ারা গাছ আমাদের বাড়িতে ও ছিল।আর লটকন তো আমার খুব পছন্দের।খুব ই ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60814.60
ETH 2715.64
USDT 1.00
SBD 2.44