সড়ক দূর্ঘটনা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। তবে নিত্যপন্যের দাম দিন দিন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে সবজির বাজারে আগুন!কবে নিভবে এই আগুন?অনেকেই বলছে শীতের সবজি পুরোপুরি আসা শুরু হলে কমবে সবজির দাম! বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় সড়ক দূর্ঘটনা।
সড়ক দূর্ঘটনা একটি মহামারী আমাদের দেশে। অন্যান্য মহামারী বিভিন্ন প্রতিশোধক দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সড়ক দূর্ঘটনা কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা।গবেষণা সংস্থা গুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ২৫/৩০ জন মানুষ অকাল মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া পঙ্গুত্বের শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষ। দূর্ঘটনার শিকার পরিবারের মানুষেই বুঝতে পারে কি ক্ষতি হয়েছে তাদের। যে ক্ষতি পোষানো কোন ভাবেই সম্ভব না।অনেক সাজানো গোছানো পরিবার ধবংস হয়ে গেছে একটি দূর্ঘটনায়। একটি দূর্ঘটনা একটি পরিবারের আজীবনের কান্না।
সড়ক দূর্ঘটনা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে-হচ্ছে। কিন্তু সড়ক দূর্ঘটনা রোধ কোন ভাবেই সম্ভব হচ্ছেনা। নতুন নতুন পরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন হচ্ছে, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু কেন এই দুর্ঘটনা? রাস্তায় বের হলেই মানুষ আতংকে থাকে দূর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে কিনা! বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া গাড়ী চালানোই দূর্ঘটনার অন্যতম কারণ। এছাড়া ফিটনেস বিহীন গাড়ী,অপ্রস্তুত রাস্তা,রাস্তা খোড়াখুড়ি,বিভিন্ন কারণে রাস্তার অনেকাংশ দখল,অদক্ষ চালক,ওভারটেকিং,ট্রাফিক আইন সম্পর্কে না জানা বা না মানা,সাধারণ মানুষের জেব্রাক্রসিং, ফুটওভার ব্রীজ,আন্ডারপাস ব্যবহার না করা,মহা সড়কে বিভিন্ন গতির গাড়ী চালানো,নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রভৃতি কারণে সড়ক দূর্ঘটনা হয়ে থাকে।
বাস,ট্রাকের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলাচল করে রাস্তায়।চালকরা অনেকেই অদক্ষ্।ইদানীং ব্যাটারি চালিত বিভিন্ন বাহন ও মোটরবাইক অনেক বেড়ে গিয়েছে। এসব চালকের ন্যুনতম ট্রাফিক জ্ঞান নেই।বিশেষ করে মফস্বল এলাকায় মোটরবাইক চালকের কারো কারো লাইসেন্স থাকলেও ব্যাটারি চালিত শ্যালো মেশিন চালিত চালকদের অধিকাংশরেই লাইসেন্স নেই। শুধু তাই নয় এসব বাহন অবৈধ। কিন্তু এসব অবৈধ বাহনে ছেয়ে গেছে দেশ।দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ।
পরিবহন সেক্টর অসংখ্য সংগঠন দ্বারা চালিত হয়ে থাকে। যেমন মালিক সমিত ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এদের খুটির জোর অনেক। অন্যায় করে সহজে পার পেয়ে যায়। দেশে আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ সব সময় সমভাবে হয় না।যার ফলে চালকদের যথাযথ শাস্তি হয় না। দূর্ঘটনাও কমে না!!কিছু দূর্ঘটনা মানুষকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়। চলচিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনিরের সড়ক দূর্ঘটনায় হত্যা ও তারও অনেক পরে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থীর সড়কে দূর্ঘটনায় হত্যার ঘটনা শুধু মানুষকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়নি রাষ্ট্রকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রের কর্তারা তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সড়কে এবং দায়ী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির। কিন্তু এত দিনেও আসলে কিছুই হয়নি। প্রত্যাহ ঘটছে দূর্ঘটনা ও মানুষের অকাল হত্যা। বাড়ছে পঙ্গু মানুষের সংখ্যা -বাড়ছে পরিবারের কান্না।
ট্রাফিক আইন সবাইকে মানতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও গণসচেতনতা বাড়াতে হবে।এজন্য সরকার, মালিক,শ্রমিক ও নাগরিককে সম্মিলিত ভাবে কাজ করতে হবে। তবেই সড়ক দূর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আসুন আমরা ট্রাফিক আইন মেনে চলি সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৩১ অক্টোবর ,২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.