রেসিপিঃবেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি।আমিও ভাল আছি। আজ ১৪ই চৈত্র্য। বসন্তকাল ,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৮শে মার্চ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
নিয়মিত ব্লগিং এ হাজির হয়েছি একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে বেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি।মাছ য়ামাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরন করে। তাই প্রতিদিন সবারই সামর্থ্য অনুযায়ী মাছ খাদ্য তালিকায় রাখা দরকার। আর সব্জিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমিষের পাশাপাশি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সব্জিও জ্রুরী।আমরা সবাই মাছ ভুনা খেতেই বেশি পছন্দ করি । তবে স্বাদ পরিবর্তনের জন্য অন্যভাবেও খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই আজ আমি মাছ সব্জি দিয়ে ঝোল রান্না করেছি। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের রেসিপিটি। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের বেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে মাছের ঝোল রেসিপিটি।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
রুই মাছ | ৪পিস |
বেগুন | ৪টি |
আলু | ১টি |
ডালের বড়ি | ১০-১২টি |
সিমের বিচি | ৫০ গ্রাম |
পিঁয়াজ | ২টি |
আদা বাটা | ১/২ চাঃ চামচ |
রসুন | ২ কোয়া |
টমেটো | ১টি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
লবন | স্বাদ মতো |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
তেল | ২ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে পিঁয়াজ,রসুন,আদা ও কাঁচামরিচ বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
বেগুন , আলু,ট্মেটো কেটে ও সীমের বিচি ছিলে ধুয়ে নিয়েছি। এবং মাছগুলো ভালোভাবে কেটে ধুঁয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে ডালের বড়ি ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় আর একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বেটে নেয়া মশলা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
পিঁয়াজ বাটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামা্ন্য পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।সেই সাথে কেটে রাখা টমেটো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
মশলা যখন তেল ছেড়ে আসবে তখন ধুয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। মাছ কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৭
মাছ কষিয়ে তুলে নেয়ার পর সেই মশলায় কেটে নেয়া বেগুন , আলু ও সিমের বিচি দিয়ে দিয়েছি। এবং মশলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১০-১৫ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
আলু ও বেগুল মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে কষিয়ে উঠে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। আরো ১০-১২মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।এবং ভেজে রাখা ডালের বড়ি দিয়ে দিয়েছি।আরো ২-৩মিঃজ্বাল দিয়েছি।
ধাপ-৯
যখন তরকারীর তেল উপরে উঠে আসবে এবং ঝোল কমে আসবে তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার বেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের বেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ২৮শে মার্চ ,২০২৩ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আমরা বাঙালিরা মাছ খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আমার পরিবারেও সপ্তাহের অন্তত চার দিন মাছ থাকবেই। আরো একটা বিষয় হচ্ছে সবজি খেতে ভীষণ পছন্দ করি আমরা। আপনার আজকের তৈরি করা বেগুন আলু সিমের বিচি দিয়ে ডালের বড়ি এবং রুই মাছ রান্নাটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। এ ধরনের খাবারগুলোকে আমি তৃপ্তিদায়ক খাবার বলে থাকি। আপনি বেশ চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে আজকের রেসিপি পোস্টটি উপহার দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আমিষ রাখার পাশাপাশি সবজি রাখাও দরকার। আমিও বেশ পছন্দ করি এ ধরনের তরকারী। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/selina_akh/status/1773384329651261803
অনেকগুলো উপাদানের সমন্বয়ে আপনি আজকে আমাদের মাঝে এক চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। মাছের সাথে বিভিন্ন সবজির সমন্বয়ে ঘটিয়ে রান্নার কাজ সম্পন্ন করেছেন। এ জাতীয় রেসিপি গুলো খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।
মাঝে সব্জি দিয়ে মাছ খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
বেশ সুন্দর রেসিপি তৈরি করছেন আপনি। কয়েকটি সবজি দিয়ে রুই মাছের ঝোল রান্না করেছেন । আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। সিমের বিচি দেওয়াতে খেতে ভালো লাগবে। আমাদের মাঝে রন্ধন প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত অসাধারণ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আলু বেগুন সিম ও ডালের বড়ি দিয়ে মজাদার রুই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপির মধ্যে অনেক সবজি রয়েছে, এই রেসিপিটা অনেক পুষ্টিগুনে ভরা। আর দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাছ সবসময় ভুনা না খেয়ে একটু অন্যভাবে খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকগুলো উপকরণ ব্যবহার করে আপনি বেশ মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। সিমের বিচি খেতে আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে। সাথে আপনি আবার কুমড়োর বড়ি রান্না করেছেন। রেসিপিটা দেখতে তো ভীষণ লোভনীয় লাগছে। খেতেও হয়তোবা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। পরিবেশন টাও দারুন হয়েছে আপু। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
সিমের বিচি ও ডালের বড়ি আমারও বেশ পছন্দের। জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছি। ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছ নাম শুনলেই খাওয়ার প্রতি আগ্রহ জন্মে। লোভনীয় রুই মাছের রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পরিবেশন করা রেসিপির ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
বেগুন,আলু,সিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল দারুণ চমৎকার একটি মজাদার রেসিপি।ঠিক বলেছেন আপনি আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিদিন মাছ রাখা দরকার খাবারের তালিকায়।আপনার রেসিপিটি যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুস্বাদু করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।