এসো নিজে করি সপ্তাহ (৭ম দিন)ঃ রঙ্গিন কাগজের কুলা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি সবাই ভালো আছেন? সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি।আজ ২৪ ই চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
আর দুইদিন পরেই ঈদ। ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ঢাকা শহর। নাড়ীর টানে ছুটছে মানুষ গ্রামে। এবার ঈদ যাত্রায় মানুষের ভোগান্তির খবর তেমন নেই। ভালো ভাবেই যেতে পারছে মানুষ, পরিবার-পরিজনের কাছে। মানুষের ঈদ যাত্রা আনন্দময় ও নিরাপদ হোক। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ, এসো নিজে করি সপ্তাহের ৭ম দিনের জন্য, একটি নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আর ব্লগটি হচ্ছে, রঙ্গিন কাগজের কুলা তৈরির ডাই প্রজেক্ট।রঙ্গিন কাগজ দিয়ে যা কিছু করি না কেন, দেখতে ভালই লাগে। তা যদি ধৈর্য সহকারে ঠিকঠাক মত তৈরি করা যায়। আইডিয়া, ধৈর্য ও দক্ষতা এই তিনটির মিলন হলে, যে কোন কাজ ভালো হতে বাধ্য। আমি নিত্য নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। এবং এ ধরণের ডাইয়ের কাজ করতে আমার ভালই লাগে। আজকের কাজটি কেমন হয়েছে, আপনারাই ভালো বলতে পারবেন! তবে আমার ভালই লেগেছে আজকের তৈরি রঙ্গিন কাগজের কুলা।
বন্ধুরা, আজকের রঙ্গিন কাগজের কুলা তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসে বে ব্যবহার করেছি,রঙ্গিন কাগজ। এছাড়া আনুসঙ্গিক অন্যান্য উপকরণ কি ব্যবহার করেছি এবং কিভাবে তৈরি করেছি ,তা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করেছি। অনেক কথা হয়েছে, আর কথা নয়, চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি করলাম, রঙ্গিন কাগজের কুলা। আশাকরি, আজকের ডাই প্রজেক্টটি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১।লাল ও সবুজ রং এর কাগজ
২। গ্লু
৩। কাঁচি
৪।এন্টিকাটার
কাগজের কুলা তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে লাল ও সবুজ রং এর কাগজ ১ সেঃমিঃ চওড়া করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
কেটে নেয়া লাল রং কাগজ পরপর সাজিয়ে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৩
এরপর কেটে নেয়া সবুজ রং এর কাগজ লাল রং এর কাগজের মধ্যে একটি বাদে একটিতে ঢুকিয়ে নিয়েছি। একইভাবে ২০ সেঃমিঃ পর্যন্ত গেঁধে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার ১সেঃমিঃ চওড়া দু'টুকরো লাল রং এর কাগজ নিয়ে নিয়েছি।এবং গেঁধে নেয়া কাগজটি কুলার শেপে কেটে নিয়েছি। কেটে নেয়া লাল রং এর কাগজ গাম দিয়ে কুলের শেপে কেটে নেয়া কাগজের উপরের দিকে দু'পাশে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। ছবির মত করে।
ধাপ-৫
এবার ২ সেঃমিঃ চওড়া করে লাল রং এর কাগজ কেটে নিয়েছি। কুলার সাইডে লাগানোর জন্য।কেটে নেয়া কাগজের লাল টুকরো দু'টো কুলার উভয় পাশে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। ছবির মতো করে । এবং কাগজের বার্তি অংশ কাঁচি দিয়ে কেটে কাগজের কুলা বানানো শেষ করেছি।
উপস্থাপন
বন্ধুরা,আশাকরি, আজ আমার ডাই প্রজেক্টঃ রঙ্গিন কাগজের কুলা আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি নিত্য নতুন ব্লগ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। সকলে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্থ্য রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আমার আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ|
পোস্ট | ডাই পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ৭ই এপ্রিল,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু আপনার কুলা দেখে আমি ভেবেছিলাম সত্যি সত্যিই কুলা।আসলে আপু আপনার কুলা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি ডাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি বাস্তবের কুলার মতো করে বানাতে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/selina_akh/status/1776940097864355963
আমি তো প্রথম ভেবেছিলাম সত্যি সত্যি কুলা।আপু রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।কালার কম্বিনেশন বেশ সুন্দর হয়েছে।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আমি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কুলা তৈরি করেছি।আপু কুলার জায়গায় রেসিপি লিখা হয়েছে।
খুব সুন্দর বলেছেন আপনি আইডিয়া , ধৈর্য ও দক্ষতা এই তিনটির মিলন হলে, যে কোন কাজ সুন্দর হয়ে থাকে।আজকে আপনি অসাধারণ সুন্দর একটি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কুলা তৈরি করেছে। ওমা দেখছি কুলায় চাল দিয়ে চমৎকার করে ফটোগ্রাফি করেছেন। ধাপে ধাপে সুন্দর কুলাটি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কুলা বানিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
কুলা যখন বানিয়েছি তখন চাল দিয়ে ফটোগ্রাফিও করেছি। ধন্যবাদ আপু।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনারা প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর কিছু তৈরি করে আমাদেরকে মুগ্ধ করেন। আজকে খুবই সুন্দর একটি কুলা তৈরি করেছেন। এই ধরনের কিছু তৈরি দেখলে খুবই ভালো লাগে । অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। বিশেষ করে মেলায় বাঁশের তৈরি এই ধরনের কুলা গুলো রং করে খুব সুন্দর ডিজাইন করা হতো। সেই রকমই আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন।
আমি চেস্টা করেছি সহজ ও সুন্দর করে কুলা বানানোর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।
এই কাজটি মোটেও সহজ ছিল না। অনেক সময় নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আমার মনে হচ্ছে আজকের সব থেকে সেরা পোস্ট এটা। আজকে রঙিন কাগজ দিয়ে কুলা তৈরি করেছেন। গ্রাম অঞ্চলে এই কুলা ভীষণ বিখ্যাত। মাঝে মাঝে দেখা যায় আমার মা চাল ঝাড়ার জন্য এই কুলা ব্যবহার করে থাকে। আমিতো ভাবতেই পারি নাই, আপনি কাগজ দিয়ে এত নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছেন। প্রথমে ভাবছিলাম যে এটা ফটোগ্রাফি। দারুন দক্ষতা সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ দারুন দক্ষতায় তুলে ধরেছেন ও কালার অত্যন্ত সুন্দর ছিল। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
এখনও এ কুলা ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন কাজে।বিশেষ করে চাল ঝাড়ার কাজে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
রঙ্গিন কাগজের কুলা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার চিন্তা ভাবনা সত্যি ভীষণ সুন্দর ছিলো আপু। সম্পুর্ন ইউনিক একটি ডাই প্রজেক্ট উপহার দিয়েছেন। এভাবে অনেকেই বাশ দিয়ে তৈরি করে। তবে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি করা যায় ভাবতেই পারিনি। সব মিলিয়ে অসাধারন লাগতেছে দেখতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
দারুন এক প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছেন আজকে আপনি আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর এই চাল ঝাড়া কুলা তৈরি করতে দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার। ২০ চমৎকার ভাবে ধৈর্য সহকারে আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে তা তৈরি করে দেখিয়েছেন। ফিনিশিংটা বেশি দারুন ছিল।
ৎিক বলেছেন বেশ ধৈর্য নিয়ে কাজটি করতে হয়েছে।মতামতের জন্য ধন্যবাদ।