পিৎজা হাটে কাটানো এক সন্ধ্যা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন ? আশা করি ভাল আছেন সবাই । আমিও ভাল আছি।প্রত্যাশা করি সবসময় ভালো থাকেন সবাই। আজ ১২ই অগ্রহায়ণ, হেমন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৭ নভেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট নিয়ে।
পিৎজা হাটে পিৎজা খাওয়ার অনুভূতি নিয়ে আজকের পোস্ট। খেতে চেয়েছিলাম ডোমিনোসে কিন্তু খেয়েছি পিৎজা হাটে। আমার বাসা থেকে ৫/৭ মিনিটের হাটাপথ দূরত্বে ডোমিনোস পিৎজার নতুন একটা আউটলেটের কাজ চলতেছিল। বাসায় আসা যাওয়ার পথে চোখে পড়ে প্রতিদিন। উদ্বোধনের ব্যানার দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যেহেতু বাড়ীর পাশে তাই শুরুর দিনেই খেতে যাব।নির্দিষ্ট দিনে ৪টায় উদ্বোধন হবে ,সেই ভাবেই রেডি হয়ে আমি আর হাসব্যান্ড বের হলাম। কিন্তু যেয়ে দেখি তখনও আয়োজন চলছে উদ্বোধনের। জিজ্ঞেস করাতে তারা জানালো প্রায় আরও ৩ঘন্টা দেরী হবে।আমার দেরি করতে ইচ্ছে করলো না। এক পিৎজা খেতে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা। আবার সার্ভিস দিতে আর ও ১ ঘন্টা । তাতে ডিনারের সময় হয়ে যাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম পাশেই পিৎজা হাটে খেতে যাই ,যখন বেরই হয়েছি। তাই সেখানেই গেলাম।
সেখানে যেয়ে দেখি তেমন ভিড় নেই মোটামুটি ফাঁকা। জায়গাটাও বেশি বড় না। বড়জোড় ৩০ জন বসতে পারবে।আমারা গিয়ে একটা ফাঁকা টেবিলে বসলাম। ওয়েটার মেন্যু কার্ড দিয়ে গেলো।আমাদের পছন্দ ছিল পিৎজা আর কফি। কিন্তু কফি তাদের নেই।বললাম হট চকোলেট দিতে পারবে কিনা? সেটাও তাদের নেই। মনে মনে ভাবলাম বাসায় এসে আবার চা খেতে হবে। তাই মেন্যু কার্ড দেখে বার বি কিউ টেমটেশন পিৎজা আর চিজ গার্লিক ব্রেড স্টিক আর্ডার দিলাম সাথে মিনারেল ওয়াটার।কেননা আমি সফট ড্রিংস তেমন একটা পছন্দ করি না। সফট ড্রিংস চাইনিজ আইটেমের সাথে খাই। অর্ডার দিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষার পর ওয়েটার খাবার দিয়ে দিল।পিৎজাটা খেতে তেমন ভালো লাগেনি তবে চিজ ব্রেড স্টিকটি ভালই লেগেছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম প্রচুর পার্সেল যাচ্ছিল তাদের।সর্বপরি ভালই সময় কেটেছে সেদিনের সন্ধ্যাটা। ফেরার সময় দেখি তখনও ডোমিনেসের প্রস্তুতি শেষ হয়নি!
বন্ধুরা, আজ এ পর্যন্তই।সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমার লাইফস্টাইল ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয়ে ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন-সুস্থ্য থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | লাইফস্টাইল পোস্ট | |
---|---|---|
ক্যামের | Samsung A10 | |
পোস্ট তৈরি | @selina75 | |
তারিখ | ২৭ নভেম্বর,২০২৩ইং | |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ডোমিনেসের পিৎজা গুলো বেশ ভালো হয়। তবে দেরি করে উদ্বোধন হওয়ার কারণে খাওয়া হয়নি আপনাদের। পিৎজা হাটে গিয়ে বার বি কিউ টেমটেশন পিৎজা আর চিজ গার্লিক ব্রেড স্টিক খেয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু খাবার। তবে আপনি বলেছেন পিৎজা ভালো লাগেনি। যাইহোক খুব সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
পিৎজা হাটের পিৎজা খেতে বেশ ভালো লাগে।কিন্তু বার বি কিউ টেমটেশন পিৎজাটি তেমন টেস্ট লাগেনি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পিৎজা হাট এর পিৎজা গুলো সত্যি দারুন হয়ে থাকে। খেয়েছি কয়েকবার। তবে ডমিনোজ এর পিৎজা খাওয়া হয়নি এখনো। ডমিনোজ এর পিৎজার নাম ডাক ও ভালো আছে। এর পরের পার ডমিনোজ এ খেয়ে রিভিউ দিয়েন আপু। ভালো লাগলো পড়ে সব।
ঠিক আছে ভাইয়া খেয়ে দিবো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
https://twitter.com/selina_akh/status/1729203263520772199
দারুন একটি মুহূর্তের বিষয় খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যেহেতু আমরা গ্রামে বাস করি তাই এভাবে কখনো বাইরে ভালো মানের খাবার খাওয়া হয় না কিন্তু মাঝেমধ্যে বামুন্দি বাজারে যাই, সেখান থেকে রাতে ফুচকা সহ বিভিন্ন প্রকার খাবারের আইটেম খাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু এত কিছু আইটেম সেখানে আমরা পাই না। যাইহোক বেশি ভালো লাগলো সুন্দর এই মুহূর্তটার পোস্ট পেয়ে।
এখন প্রায় প্রতিটি জিলা শহরে ফাস্ট ফুডের দোকানে এমন খাবার পাওয়া যায়। তবে ব্র্যান্ডেড দোকান দেখা যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
বাংলাদেশও "পিৎজা হাট" রয়েছে সেটা আমার আগে জানা ছিল না আপু। তবে পিৎজা হাটের পিৎজার থেকে ডোমিনোজের পিৎজা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। "পিৎজা হাট" থেকে পিৎজা আমি কয়েকবার খেয়েছি কিন্তু আমার কাছেও এদের টেস্ট ভালো লাগেনি। পিৎজা হাটে কফি জাতীয় কোন কিছু পাওয়া যায় না, শুধু পিজ্জা রিলেটেড আইটেমগুলোই পাওয়া যায় আপু।
বাংলাদেশে অনেক অন্তর্জাতিক মানের চেইন শপ এর আউটলেট রয়েছে ভাইয়া। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মাঝেমধ্যে এরকম বাইরে খেতে গেলে আমি মন্দ হয় না আমারও এরকম বাইরে খেতে যেতে খুবই ভালো লাগে।পিৎজা হাটে গিয়ে বেশ ভালো মুহূর্তই কাটিয়েছেন। তবে কোথাও খেতে গেলে সেখানে যদি পছন্দমত খাবার না হয় তাহলে খুবই খারাপ লাগে।
জি আপু মাঝে মাঝে বাইরে খেতে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু।