টক ঝাল ঝাল সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি।প্রিয় shy-fox 10% beneficiar
আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম।আজকে আমি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে চলে এলাম। সুস্বাদু ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি থানকুনি পাতা, টমেটো ও মাছ দিয়ে।থানকুনি পাতা ভর্তা তো অনেক ভাবে খেয়েছেন।কিন্তু কখনো কি এমন ভাবে তৈরি করেছেন খেয়েছেন?আসলে আমাদের বাড়িতে প্রচুর পরিমানে এই থানকুনি পাতা উঠেছে।আর তার জন্য বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে করে খাচ্ছি।তবে এই থানকুনি পাতা আমাদের শরীলের জন্য কত উপকারী আপনারা তো জানেন।আচ্ছা চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বলে শুরু করি আজকের রেসিপি পোস্ট।
নং | উপকরণ |
---|---|
১ | থানকুনি পাতা। |
২ | টমেটো। |
৩ | মাছের টুকরো। |
৪ | কাঁচা মরিচ। |
৫ | পেঁয়াজ। |
৬ | রসুন। |
৭ | সরিষার তেল। |
৮ | লবণ পরিমাণমতো। |
৯ | হলুদ গুঁড়া। |
১০ | শিল, পাটা। |
প্রথমে বাড়ি থেকে পরিমান মতো থানকুনি পাতা গুলো উঠিয়ে নিয়ে আসলাম।এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নিলাম। এরপর কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে নিবও।
এবার প্রথমে মাছের টুকরো গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবও।এরপর হলুদ গুঁড়ো ও লবণ মাখিয়ে নিয়ে নিবও।পেঁয়াজ ও রসুন খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে নিবও। এরপর টমেটো, কাঁচা মরিচ, রসুন সব গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়ে নিবও।পেঁয়াজ কুচি,রসুন দুই টুকরো টমেটো দুি টুকরো করে কেটে নিবও।
এবার একটি করিয়াতে সরিষার তেল দিয়ে দিবও।এরপর পেঁয়াজ কুচি ও রসুন টুকরো গুলো দিয়ে দিবও।এখন হাল্কা করে এইগুলো ভেজে নিবও।
এবার টমেটো আর কাঁচা গুলো ভেজে নিবও। এরপর সবগুলো উপকরণ এক সাথে নিয়ে নিবও।সাথে অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ কুচি রেখেছি।
এবার মাছের টুকরো ও থানকুনি পাতা গুলো হালকা করে ভেজে নিবও।ভাজা হলে একটি মাটির বাটিতে নামিয়ে নিবও।
এবার একটি শিল নিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবও। এরপর ভেজে রাখা কাঁচা মরিচ গুলো বেটে নিবও।
এবার ভেজে রাখা থানকুনি পাতা ও ভেজে রাখা মাছের টুকরো গুলো দিয়ে দিবও।এরপর কাটা বেছে দিয়ে বেটে নিয়ে নিবও।
এখন ভেজে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন গুলো দিয়ে দিবও। এরপর ভালো ভাবে বেটে নিয়ে নিবও।
এখন ভেজে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিবও।এরপর কাঁচা পেঁয়াজ কুচি গুলো দিয়ে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে নিবও।সব কিছু ঠিক হলে একটা বাটিতে নিয়ে নিবও।
এখন একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম। কাঁচা মরিচ ও রসুন টুকরো দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।খেতে অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছিল ঝাল ঝাল টকটক ছিল।আশা করি আমার আজকের ভর্তা রেসিপিটি। আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে দয়া করে জানাবেন।
আমার নাম শান্তা হাবিব। আব্বুর আদরের মেয়ে ছিলাম তাই আব্বুর নামের সাথে মিল রেখে আমার নাম।আমার স্টিমিট আইডি @santa14।আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৭ তারিখে জয়েন করেছি।আমি বাংলাদেশের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় থাকি।আমি একজন ছাএী ডিগ্রিতে পড়াশোনা করছি।আমি গান করতে অনেক বেশি ভালোবাসি।তার পাশাপাশি রান্না করতে আর নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করি।ফটোগ্রাফি,আর্ট,ডাই করতে বেশি পছন্দ করি।ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালোবাসি যদিও তা বেশি হয়ে উঠে না।আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক বেশি ভালবাসি কারণ এখানে নিজের মাতৃভাষায় লিখতে পারি।
রোজার দিনে সকাল সকাল এমন থানকুনি পাতার ভর্তা রেসিপি কেউ দেয়। আপনার রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। অনেক দিন হলো থানকুনি পাতার ভর্তা খাওয়া হয়নি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হিহিহি🤭 আপু চলে আসেন এমন ভাবে তৈরি করে খাওয়াবো ইনশাআল্লাহ। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
থানকুনি পাতা ভর্তা গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি আজ মাছ ও থানকুনি পাতার সমন্বয়ে সুস্বাদু একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আশাকরি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। এ ধরনের ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। সুস্বাদু একটা ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া এমন ভর্তা গুলো গরম ভাতের সঙ্গে খেতে অসম্ভব মজাদার লাগে। একটু ভিন্ন ভাবে তৈরি করেছিলাম ভর্তাটা অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
থানকুনির পাতা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এটা আমিও ভাল করেই জানি কিন্তু আপু থানকুনির পাতা দিয়ে যে ভর্তা করে খাওয়া যায় এটা আগে জানতাম না। তবে আপনি থানকুনি পাতা, টমেটো ও মাছ দিয়ে সুন্দর রকমের একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। ভর্তাগুলোতে সরিষার তেল ব্যবহার করাতে দেখে বেশ টেস্টি হয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া একবার থানকুনি পাতা দিয়ে ভর্তা তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। দারুণ সুস্বাদু হয় বিশেষ করে গরম গরম ভাতের সঙ্গে এমন ভাবে সরিষার তেল মাখিয়ে খেলে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার বাড়িতে থানকুনি পাতায় ভরা আর আমরা ঢাকা শহরে অল্প কিছু শাক ১০ টাকা করে কিনে খাচ্ছি। আপু কিছু পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েন। আমি থানকুনি পাতার শাক চিংড়ি মাছ দিয়ে ভাজি খেতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু কখনো এভাবে ভর্তা খাওয়া হয়নি। তাও আবার টমেটো ও মাছের পিস দিয়ে করেছেন যা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে যেই ভর্তাই হোক না কেন খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার ভর্তা দেখেই জিভে জল চলে আসলো। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এড্রেস টা দিয়ে দেন পার্সেল করে পাঠিয়ে দিব।জি আপু দিয়ে ও ভাজি করে খেতেও দারুণ মজাদার হয়। একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মজাদার একটি ভর্তা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে বিশেষ করে ভর্তা রেসিপির সাথে মাছ যুক্ত করেছেন যার কারণে বেশি লোভনীয় লাগছে। তবে থানকুনি পাতার সাথে ভর্তা তৈরি করে কখনো রেসিপি টেস্ট করা হয়নি।
একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া মাছ দেওয়াতে এই ভর্তাতে মজাটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিভিন্ন ধরনের ভর্তা খেয়েছি আপু কিন্তু এমন ধরনের ভর্তা কোনদিন খাইনি। থানকুনি পাতা, টমেটো ও মাছ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ভর্তা তৈরি করেছেন ।দেখেই মনে হচ্ছে অনেক ভালো হয়েছে খেতে। একদিন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখব কেমন লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু অবশ্যই বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। অসম্ভব মজাদার এই ভর্তা টা।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
সত্যি বলতে থানকুনির পাতা অনেক রকম ভাবেই খাওয়া হয়েছে তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক মজাদার মজাদার ইউনিক রেসিপি শেয়ার করে থাকেন, আপনার আজকের এই টক ঝাল ঝাল সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া এমন করে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। এভাবেই মনে বেস্ট হয়।আপনাদের এতো সুন্দর সব কমেন্ট পড়ে উৎসাহিত হয়ে করতে পারছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার তৈরী টক এবং ঝাল ঝাল সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো আপু। এই ধরনের ভর্তা রেসিপিগুলো গরম ভাত দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। আপনি বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে এই মজাদার ভর্তাটি তৈরি করেছেন। কিন্তু এই থানকুনি পাতার ভর্তাটি আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। আশা করি, খুবই টেস্টি হয়েছিল খেতে।
আপু থানকুনি পাতা দিয়ে অনেক ধরনের ভর্তা তৈরি করেই খাওয়া যায়। সব গুলো বেশ মজাদার হয়।একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খেতে অসম্ভব মজাদার হয়েছিল ভর্তা টা।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মূল্যবান সময় দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
টক ঝাল ঝাল সুস্বাদ ু ভর্তা রেসিপি তৈরি দারুণ হয়েছে। আসলে এই ধরনের রেসিপিগুলো আমার খুবই প্রিয়। আপনি থানকুনির পাতা দিয়ে খুব সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ।সুন্দর করে ভর্তা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য।