আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজির সুস্বাদু রেসিপি। প্রিয়@shy-fox 10% beneficiary।
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী সকলে কেমন আছেন?আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমরা যেই অবস্থায় থাকি না কেনও সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া সব সময় আদায় করতে হয়।কিছু দিন অনেক বেশি অসুস্থ ছিলাম। এখন আপনাদের দুআ তে অনেক ভালো আছি।
আমি @santa14 আজকে আবারও আপনাদের মাঝে চলে এলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম একটি সুস্বাদু রেসিপি। আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজি রেসিপি। গিমা শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন। গিমা শাক আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী একটি শাক।আর এই শাক খুব সহজেই পাওয়া যায়। বাড়ির আশেপাশে আর বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেতে।তবে এই গিমা শাক চাষ করা হয় কি না তা জানি না।আমি আমাদের বাড়ির উঠান থেকে উঠিয়েছি।এই শাক প্রচুর পরিমানে তিতা হয় আলু ছাড়া কেউ মনে হয় খেতেই পারবে না।
আচ্ছা চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের পুষ্টি গুণে ভরপুর গিমা শাকের রেসিপি।
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|
১,গিমা শাক | পরিমাণ মতো। |
২,আলু | তিনটি। |
৩,পেঁয়াজ | একটি। |
৪,রসুন | তিনটি। |
৫,আদা ও রসুন বাটা | এক চামচ। |
৬,জিরা গুঁড়ো | হাফ চামচ। |
৭,হলুদ গুঁড়ো | এক চামচ। |
৮,শুকনো মরিচ গুঁড়ো | দুই চামচ। |
৯,সরিষার তেল | ৬ চামচ। |
১০,লবণ | পরিমাণ মতো। |
প্রথমে গিমা শাক গুলো বেছে নিয়ে নিয়ে নিব। গিমা শাকের পাতা ও সামনের ডাল গুলো নিয়ে নিব। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালো ভাবে কয়েক বার ধুয়ে নিবো।
এবার আলু গুলোর খোসা গুলো ভালো ভাবে ছাড়িয়ে নিবো। এরপর ধুয়ে নিয়ে নিব। এরপর কুচি কুচি করে চিকন করে কেটে নিয়ে নিব।
এবার পেঁয়াজ ও রসুন নিয়ে নিব। এরপর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবো। এরপর কুচি করে কেটে নিয়ে নিব।
এবার এখানে প্রয়োজনীয় সব মসলা গুঁড়ো উপকরণ নিয়ে নিলাম।
এবার একটি করিয়া তে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিব। এরপর পেঁয়াজ ও রসুন কুচি গুলো দিয়ে ১ মিনিট ভেজে নিয়ে নিব। এরপর কুচি করে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিব। আলু গুলো কে দুই মিনিট ভেজে নিব।
এখন আবার আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিব। এরপর লবণ ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে আরও দুই মিনিট ভেজে নিব।
এখন আমি শুকনো মরিচ গুঁড়ো ও জিরা গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে নেড়ে নিব। এরপর অল্প পরিমানে পানি দিয়ে কষিয়ে নিব।
এবার ভালো ভাবে কষানো হয়ে গেলে আমি গিমা শাক গুলো দিয়ে দিবও।
এবার ভালো ভাবে আলু গুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে গিমা শাক ও আলু ভালো করে ভাজি করে নিয়ে নিব।
এবার আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজি হয়ে গেলে লবণ টেস্ট করে নিবও। এরপর অন্য আরেকটি হাঁড়িতে নামিয়ে রেখে দিবও।
এবার পরিবেশনের জন্য অল্প পরিমানে নিয়ে লেবুর টুকরো দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।আশা করি আমার আজকের গিমা শাক ভাজি রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন। আর এই গিমা শাক ভাজি রেসিপি খেতে অসম্ভব মজাদার হয়েছে।
প্রথমত গিমা শাকের নাম আজ প্রথম শুনলাম তারপরে আবার আলু দিয়ে শাক রান্না কোনদিনও করিনি। তবে আপনার আলু দিয়ে শাক রান্না দেখে মনে হচ্ছে টেস্টি হয়েছে। আর এই শাকটি বলছেন অনেক তিতা শাক আবার কখনো হয় তিতা হয় সেটাও প্রথম জানলাম আপু।
আপু এই শাকের নাম বলে জানি।এর আর কোনো আছে কি না তা জানি না। তবে এই শাক আলু দিয়ে ভাজি করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। একদম তিতা করলার মতো তিতা।মনে হয় বাজারে পাওয়া যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি দেখছি অনেক লোভনীয় একটি পোস্ট আজ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পোষ্টের প্রতিটি ধাপ অসাধারণভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল।আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজির সুস্বাদু রেসিপি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এ শাক আমি প্রথম আমার শ্বশুর বাড়িতে খেয়েছি। স্বাদ একটু তিতা। কিন্তু আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লেগেছে। তবে আমার শ্বশুর বাড়িতে এ শাক রান্নায় আদা বাটা ও মরিচ গুড়া ব্যবহার করে না কাচা মরিচ ব্যবহার করে। আপনার কাছ থেকে অন্যরকম ভাবে রান্নার রেসিপিটি জেনে নিলাম। অনেক ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
এর আগে কখনো এই শাকের নাম শুনি নাই।তবে আজকে প্রথম শুনলাম যে গিমা শাকের নাম আর শাকটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর। আর রেসিপির প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর ভাবে ছবি সহ বর্ণনা করেছেন যা পড়ে আপনার রেসিপি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই শাক আমরা তিতা শাক নামে চিনি। এভাবে আলু দিয়ে ভাজি করে খাওয়া হয়নি। এর শাকের বিচিগুলো ফেলে দিয়ে হালকা ভাপ দিয়ে ভর্তা করে খাওয়া হয়েছে। আপনার কাছ থেকে একটি নতুন রেসিপি শিখে নিলাম। এভাবে একদিন ভাজি করে খেয়ে দেখব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গিমা শাক নামটি প্রথম শুনলাম। তবে শাক গুলো দেখে মনে হচ্ছে এই শাকগুলো আমি চিনি। তবে যে এই শাকগুলো খাওয়া যায় তা আমার জানা নেই। যাইহোক আপু, আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজির রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজার হয়েছে। আর এই মজার রেসিপি আপনি কিভাবে তৈরি করেছেন তার প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই শাক পাতাটা যে খাওয়া যায় এটা আমার জানা ছিল না। আর এটার নামও আমি ঠিক জানতাম না। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে রান্না করে দেখিয়েছেন এবং এটা নাম জানা ছিল না এই ধরেছে রেসিপি আমি জানতে পারলাম আপনার পোস্টে মাধ্যমে এটা রান্না করে খাওয়া যায় এবং অসাধারণ একটা রেসিপি করা যায়। রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপনি তো দেখতেছি অনেক সুন্দর করে আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজির রেসিপি করেছেন। তবে এই শাকগুলো খেতে অনেক তিতা। আপনি আলু দিয়ে শাকগুলো ভাজি করার কারণে মনে হয় খেতে অনেক মজাই হয়েছে। তবে এই শাকগুলো আমাদের এদিকে ও অনেক জায়গার মধ্যে পাওয়া যায়। সত্যি বলেছেন এই শাকগুলো খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয়। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আলু দিয়ে গিমা শাক ভাজির রেসিপির কালার দেখেই মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছে। গিমা শাক খেতে খুব ভালো লাগে। যদিও অনেক দিন আগে খেয়েছিলাম। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও চমৎকার হয়েছে। ধাপে ধাপে এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।