টমেটোর সুস্বাদু টক বা খাট্রা রেসিপি। @shy-fox 10% beneficiary।
আসসালামু আলাইকুম, ঈদ মোবারক সবাই কে। সবাই কে ঈদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।আপনার সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ঈদের আনন্দে ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআ তে ভালো আছি।
আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও রীতিমতো চলে এলাম। আজকে আমি আপনাদের মাঝে টমেটোর সুস্বাদু টক বা খাট্রা রেসিপি পোস্ট করতে যাচ্ছি।
আজকে দুই থেকে তিনদিন যাবত খুব ভালোই লাগছে বৃষ্টিতে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া। কিছু দিন যাবত ডায়েট করে আর কিছুই যেনও খেতে একদম ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম টক বা খাট্রা জাতীয় কিছু একটা তৈরি করে খেলে খারাপ হতো না ভালোই লাগতো। এইদিকে আবার গাছে এখন বিলম্ব নেই টক যে রান্না করবো। পরে আম্মু বললো ফ্রিজে ছোট ছোট টমেটো রেখেছিলও অনেক আগে ওই গুলা দিয়ে টক বা খাট্রা রান্না করে খেতে ভালো লাগবে। আমিও আম্মুর কথা শুনে খুশি তে ফ্রিজ থেকে টমেটো বের করে আগে ভিজিয়ে রাখি।যদিও বরফ করে রাখা ছিলও তাও স্বাদ আগের মতই ছিল।টক বা খাট্রার জন্য তো আবার মাছ লাগবে আমি আমার পছন্দের মাছ দিয়ে তৈরি করবো। তবে টমেটোর টক বা খাট্রা যেই কোনো মাছ দিয়েই ভালো লাগে।
চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের টক বা খাট্রা রেসিপি।
| উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
|---|---|
| ১.টমেটো | পরিমাণমতো। |
| ২.পাঙ্গাস মাছের | চার টুকরো। |
| ৩.পেঁয়াজ | একটি। |
| ৪.রসুন | পাঁচটি। |
| ৫.ধনিয়াপাতা | পরিমাণমতো। |
| ৬.হলুদ গুঁড়ো | এক চামচ। |
| ৭.শুকনো গুঁড়ো মরিচ | এক চামচ। |
| ৮.লবণ | পরিমাণ মতো। |
| ৯.সরিষার তেল | পরিমাণ মতো। |
টমেটো গুলো নিয়ে প্রথমে ধুয়ে নিয়ে নিব। এরপর দুইটা টুকরো করে কেটে নিয়ে নিলাম।
পেঁয়াজ ও রসুন গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে নিব। এরপর ধনিয়াপাতা পাঙ্গাস মাছ পেঁয়াজ ও রসুন পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিব। পেঁয়াজ রসুন ও ধনিয়াপাতা কুচি করে কেটে নিয়ে নিলাম।
এবার একটি থালায় শুকনো সব মসলা গুঁড়ো নিয়ে নিব।
এবার চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিব । একটা পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি গুলো দিয়ে দিব।পেঁয়াজ ও রসুন গুলো একটু ভাজা হলে আমি পাঙ্গাস মাছের টুকরাগুলো দিয়ে এক সাথে ভেজে নিব।
এবার পেঁয়াজ রসুন কুচি ও মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিব।
এখন আমি সব শুকনো মসলা গুঁড়ো গুলো দিয়ে দিবও।এবার পাঁচ মিনিট কষিয়ে নিব সব এক সাথে করে।
এখন আবার টমেটো টুকরো গুলো দিয়ে আবারও কষিয়ে নিব দই থেকে তিন মিনিট।
এখন পরিমাণ মতো পানি দিয়ে আবার।রান্না
করে নিব ভালো করে। এরপর কেটে রাখা ধনিয়াপাতা কুচি গুলো দিয়ে দিব।
এখন লবণ টেস্ট করে নিবও। সব কিছু ঠিক হলে চুলা বন্ধ করে দিবও।
এবার পরিবেশনের জন্য অল্প পরিমানে টক বা খাট্রা নিয়ে নিব। খেতে অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছিল।
আশা করি আমার আজকের টমেটো টক বা খাট্টা রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছ। কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন।
সুস্বাদু টক বা খাট্রা রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আর এই রেসিপির পরিবেশ আমার অনেক বেশি ভালো। লাগলো যার মাধ্যমে রেসিপিটি তৈরি করা শিখতে পারলাম।
আমার রেসিপি দেখে শিখেছেন। শুনে সত্যি খুব ভালো লাগলো ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
টমেটোর সুস্বাদু টক বা খাট্রা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে দেখে তাই শিখে নিলাম পরবর্তী তৈরির করবো ইনশাআল্লাহ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুশি হলাম আমার রেসিপি দেখে আপনার কিছু উপকার হলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দারুন একটা টমেটোর টক তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপু। যদি আধা পাকা টমেটো দিয়ে এই ধরনের রেসিপিটা তৈরি করা যায় তাহলে সব থেকে বেশি মজা লাগে খেতে।
ভাইয়া আমার কাছে ভালো লাগে এমন পাকা গুলো । যাহোক সবার পছন্দ তো এক না।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
টমেটো হল শীতকালীন সবজি আর টমেটো আমার খুবই প্রিয় একটি সবজি। টমেটো মাছ আলু দিয়ে রান্না করলে আমার খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি টমেটো সুস্বাদু টক বা খাট্রা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটা ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরির ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাইয়া খেতে কিন্তু অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
টমেটো আমার অনেক পছন্দের একটি সবজি। আর এই টমেটো দিয়ে যা কিছু তৈরি করা হয় না কেন প্রতিটি খাবারই আমার অনেক ভালো লাগে। টমেটো দিয়ে আপনি তৈরি করেছেন টক আর এই টক সব সময় গরম ভাত দিয়ে খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
গরম ভাতের সাথে একদম অসাধারণ লাগে খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপু মূল্যবান সময় দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
টমেটোর টক আমার খুব পছন্দ। আমার আম্মুর হাতের এই রেসিপিটা খেতে দারুণ লাগে আমার। যদিও আম্মু সাথে ছোট মাছ দিয়ে টমেটোর টক রান্না করে। তাই খেতে আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। গরমের সময় এমন রেসিপি পেলে পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। রমজান মাসে প্রায় প্রতিদিন সেহরির সময় এই রেসিপিটা ছিলো। যাইহোক আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া।গরম ভাত দিয়ে পেটে ভরে খাওয়া যায় একদম। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।