অভিভাবক সংবর্ধনা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবী আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমার অনুভূতি। @shy-fox 10% beneficiary।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার জীবনের একটি সেরা মূহুর্ত নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি।আসলে জীবনে নিজে কোনো কাজ করে নিজের মা বাবাকে সেই জায়গায় থেকে সম্মান দেওয়া টা আমার কাছে সত্যি খুব ভাগ্যের ব্যাপার।এইটা অবশ্য আমার না সব ছেলে মেয়ে সপ্ন বা ইচ্ছা। আর আজকে এই প্রথমবার বাংলাদেশে। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা সেচ্ছাসেবী আয়োজিত অভিভাবক সংবর্ধনা ছিল।আর আজকে এই অনুভূতি আপনাদের মাঝে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শেয়ার করবো।
আম্মু কে রাতেই বলে রাখি আমাকে যেনও সকাল ৬ টাই ডেকে দেয়। কারণ আমাদের বাড়ি থেকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া মেইন শহরে যেতে ২ ঘন্টা সময় লাগে। আর আমাদের গ্রামে সকাল সকাল সিএনজি বা অটোরিকশা কিছুই পাওয়া যায় না। আমাকে হেঁটে হেঁটে অনেক রাস্তা যেতে হবে তাই। এরপর আম্মু সকাল ৬টাই ডেকে দেয় আমাকে আর আমার ঘুম থেকে উঠতে উঠতে ১ ঘন্টা সময় লেগেছে মানে ৭ টাই উঠলাম। এরপর তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে যায়। আম্মু কে সাথে করে নিয়ে যেতে পারি নাই আম্মু একটু অসুস্থ ছিল😢।এরপর বের হয়ে বাসা থেকে ৩০ মিনিট হাঁটার পর একটা অটোরিকশা পাই।উঠে একটি সেলফি তুলি আর একটু পা সোজা করে বসি🤭 একদম পুরো রাস্তা ফাঁকা ছিল।
এরপর অটোরিকশা থেকে নেমে আবার সিএনজি তে উঠি। সিএনজি দিয়ে যাওয়ার সময় অনেক বেশি ঠান্ডা লাগছিল কুয়াশা ছিল অনেক তাই।মাঝ রাস্তায় আমাদের আরেক জন এডমিন আমাকে ফোন দেয় কোথায় আছি। এরপর এডমিন ভাই রাস্তায় দাঁড়ায় পরে সিএনজি দিয়ে এক সাথে যায় আমরা দুই জন এডমিন।এরপর ব্রাক্ষণবাড়িয়া নেমে আবার রিকশায় উঠে শিল্পীকলা একাডেমির সামনে গিয়ে নামি।গিয়ে দেখি তখন মোটামুটি সব সাজানো গোছানো হয়েছে।
এরপর আবার আমার সংগঠনে টিশার্ট চেইঞ্জ করে সংবর্ধনার আয়োজনের টিশার্ট পড়ি।ফাঁকা ফাঁকা সিটে বসে সেলফি তুলি এর মধ্যে দিয়ে দেয় আমাকে কাজ।স্বেচ্ছাসেবীদের যতগুলো অভিভাবক আসবে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিতে।দাড়িয়ে থেকে থেকে পায়ের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এরপর কিছু সময় নিজে নিজে সেলফি আর একটা বোনকে বলে ফটোগ্রাফি করি।।
এখন আমার কাজ শেষে একটু ছবি তুলি।এরপর আমাদের সম্মানিত অতিথিবৃন্দ আসেন তাদের কে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে আমাদের ব্লাড গ্রুপ পরিবারের সদস্যগণ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমরা সবাই দাঁড়িয়ে একসাথে জাতীয় সংগীত গেয়েছি।তারপর কুরআন তিলাওয়াত ও কবিতা আবৃত্তি। এরপর একের পর এক এক করে সম্মানিত অতিথিবৃন্দের বক্তব্য দেয়।কয়েক জন অভিভাবকের অনুভূতি প্রকাশ করে।
এরপর প্রতিটি ব্লাড গ্রুপের এডমিনদের সংক্ষিত বক্তব্য দেয়। আমিও আলহামদুলিল্লাহ বক্তব্য দিয়েছি আমার বক্তব্যের শেষের লাইন ছিল।
রক্তদানে আমাদের স্লোগান হওয়া উচিত -
আমার রক্তে যদি
বেঁচে যায় একটি প্রাণ,
তবে আমি কেনও
করব না রক্তদান!
যদিও আমার সব ফটোগ্রাফি করা হয়নি তবে এই দিন টি ছিল আমার জীবনের সেরা দিন।আর সেই খানে মা বাবাদের কে অনেক সম্মান করছিল তাঁরা।
এরপর শুরু হয় অভিভাবকদের হাতে নিজের সন্তান কে মেডেল পড়িয়ে দেওয়ার পর্ব।আমার আম্মু অসুস্থ আর আব্বু নেই তাই অভিভাবক কেউ ছিল না।আমাদের একজন এডমিন ভাই এর হাতেই পড়তে হয়।আর সব অভিভাবকের জন্য উপহার হিসেবে কুরআন শরীফ দেওয়া হয়।
এরপর সব শেষে ছোট ভাই আর বোনের সাথে সেলফি তুলা।কিছু সময় এর আবার দুপুরের খাবার বিরিয়ানি আর পানি।খাওয়া দাওয়া শেষে আবার আমাদের একটা ছোট মিটিং হয়।এরপর বাসায় আসতে আসতে সন্ধা হয়ে যায়। সব মিলিয়ে আমার কাছে এই ছিল সেরা কারণ আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে গর্ববোধ করি।আপনাদের কাছে একটা অনুরোধ থাকবে আপনারা রক্ত দান করবেন।এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।রক্ত দানে রক্ত কমে যায় না বরং রক্তের সচ্ছতা বাড়ে।
ফটোগ্রাফার | @santa14 |
---|---|
স্মার্ট ফোন | vivo y11 |
স্থান | সোর্স |
আশা করছি আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা সবাই আপনাকে নিয়ে গর্বিত।রক্তদান অনেক মহৎ একটি কাজ। আমার নিজেরই ১৪বার দেওয়া হয়ায়েছে।ধন্যবাদ আপনাদের এই মহৎকাজ টি করতে সবাইকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভাল লাগল।
আপনারা সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি উদ্যোগ নিয়েছেন আপু। আমাদের মানবদেহে তিন মাস পর পর যদি আমরা রক্ত দান করি তাহলে রক্তের মধ্যে কোন ধরনের ভেজাল থাকে না । আর আপনার আম্মুর অসুস্থতা শুনে অনেক খারাপ লাগলো। অভিভাবক সংবর্ধনায় নিজের অভিভাবককে না নিয়ে যেতে না পারে অনেকটাই খারাপ লাগছিল। আসলে পরিবারের কোন কিছু হলে কিছুই ভালো লাগেনা।
অনেক সুন্দর ছিল সময়টা আপু তার সাথে অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।
আপনাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল
সত্যি আপু আপনি এরকম একটা সংবর্ধনা পেয়েছেন এটা দেখে আমার নিজেরও বেশ গর্ববোধ লাগছে। আর আপনার মা তো নিশ্চয়ই অনেক বেশি খুশি হবে। যদিও আপনার আম্মু অসুস্থ থাকার কারণে যেতে পারেনি। আসলে আমাদের জীবনে এই ধরনের সম্মান গুলোতে আমরা কিছু করতে পারি বা না পারি মা-বাবার সম্মান বৃদ্ধি করতে পারি। বেশ ভালো লেগেছে এমন কি অনেক বেশি আনন্দিত হয়েছি।