কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুটকির সুস্বাদু বড়া রেসিপি। @shy-fox 10% beneficiary।
আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ। এখন ভালো আছি বুঝতে পারছি না কেনও কিছু দিন পর পর এমন ভাবে অসুস্থ হচ্ছি।আমার জন্য একটু দুআ করবেন🙏🤲।
আজকে আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম। একটি অসম্ভব অসম্ভব মজাদার রেসিপি নিয়ে। কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুকটির সুস্বাদু বড়া রেসিপি।এই কিছু ধরে জ্বর, ঠান্ডা আর গলা ব্যাথা দিয়ে অবস্থা খারাপ ছিলও।এর মুখের রুচি হারিয়ে গেছে মনে হচ্ছিল ঝাল ঝাল করে কিছু একটা তৈরি করে খেতে পারলে হয়তো ভালো লাগতো। তাই ইউটিউব দেখতে দেখতে এইরকম রেসিপি চোখে পড়লো।আর দেখেই মনে হচ্ছিল যে হয়তো এইটা দিয়ে খেতে পারবো। তাই আমিও শুরু করে দিলাম। আর এই রেসিপি তৈরি করতে আম্মু একটু সাহায্য করছেন আমাকে। খেতে অসম্ভব মজাদার ছিলও আপনারাও তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। চলুন তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করি আজকের রেসিপি।
নং | উপকরণ সমূহ |
---|
১,কাঁঠালের বিচি পরিমাণ মতো ।
২,সদিল শুটকি চারটি।
৩,শুকনো মরিচ পরিমাণ মতো।
৪,রসুন নয়টি।
৫,কচু পাতা পরিমাণ মতো।
৬,সরিষার তেল ৮ চামচ।
৭,হলুদ গুঁড়ো|এক চামচ।
৮,লবণ পরিমাণ মতো।
৯,শিল ও পাটা।
প্রথমে কাঁঠালের বিচি গুলো দুই টুকরো করে কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিবো। এরপর শুকনো মরিচ ডাটা গুলো ফেলে পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিবও।এবার কাঁঠাল বিচি গুলো আবার পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিব।
এইবার রসুন গুলো ছাড়িয়ে নিয়ে নিব। এরপর প্রথমে সিদল শুটকি গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিবো আবার রসুন গুলো ও ধুয়ে এক সাথে নিয়ে নিব। এরপর আরেক পাশে কচু পাতা গুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিব।
এরপর শিল ও পাটা নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিব। এরপর প্রথমে ধুয়ে রাখা কাঁঠালের বিচি গুলো একদম ম্যাশ করে বেটে নিব।
এরপর একই পাটায় রসুন গুলো ম্যাশ করে বেটে নিয়ে নিব।
এইবার সিদল শুটকি গুলো ম্যাশ করে বেটে নিয়ে নিব।
শুকনো মরিচ আম্মু বেটে দেয় কারণ মরিচ গুলো প্রচুর পরিমানে ঝাল।এরপর একটি থালায় হলুদ গুঁড়ো ও লবণ নিয়ে নিব।
এইটা মাখানোর জন্য হাতে একটা পরিষ্কার ধুয়ে নিয়ে একটি পলিথিন লাগিয়ে নিবও।না হয় হাতের অবস্থা খারাপ হবে তাই। এরপর হলুদ গুঁড়ো ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে আবার দুই চামচ সরিষার তেল দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিবো।আহ মাখানোর সময় সেই সুন্দর একটা গন্ধ আসছিলও😋।
মাখানো শেষে অল্প অল্প পুড় নিয়ে কচু পাতায় দিয়ে বড়া তৈরি করে দিবও।এক এক করে সব বড়া একই রকম ভাবে তৈরি করে নিবও।
এখন চুলায় একটি প্যান বসিয়ে দিব। এরপর পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে গরম করে নিব।এরপর বড়া গুলো দিয়ে দিব। একদম অল্প অল্প আগুনে ভেজে নিবও যেনও ভিতর টা ভালো ভাবে ভাজা হয়।
এইবার অল্প আগুনে ভাজতে ভাজতে উপরে কালো মুচমুচে হলে সব এক এক করে মানিয়ে নিয়ে নিব। সব গুলো বড়া একই ভাবে ভেজে নিয়ে নিব।
এখন পরিবেশনের জন্য একটি থালায় একটু শসা ও লেবুর টুকরো দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করে নিলাম। সত্যি খেতে অসম্ভব অসম্ভব সুস্বাদু হয়েছিল।তবে এই রেসিপির সাথে অবশ্যই অবশ্যই লেবু লাগবেই লেবু ছাড়া খেতে একদম ভালো লাগবে না। আর একটু গলায় ধরেছে।তবে অন্য লাউ বা কোনো শাক পাতা দিয়ে করা যাবে।
আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছ। কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আহা 😋
এটা পেলে পেট ভরে ভাত খাওয়া যেতো।
সিদল শুঁটকি আমিও ভর্তা করে খেয়েছি তবে এভাবে কখনো খাইনি। জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে আপনার রেসিপিটি। তবে যে পরিমাণ ঝাল দিয়েছেন দেখলাম সত্যিই এটা খেতে গিয়ে অন্তত আমার চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে যাবে। ☺️
কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুটকির সুস্বাদু বড়া রেসিপি যেটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি । সত্যি এই ধরনের কিছু দেখতে পেলে খেতে মন চায়। এমনিতেই ভাজি জাতীয় খাবার আমার খুবই ফেভারিট অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপি তৈরি।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু।কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুটকির সুস্বাদু বড়া তৈরীর পদ্ধতি টা দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
মুখের টেস্ট নষ্ট হয়ে গেলে তখন ঝাল ঝাল খাবার খেলে ভালো লাগে। সেদল আমি রান্না করতে পারি না কিন্তু খেতে ভালই লাগে। আপনার আজকের কচু পাতার সেদল এবং কাঁঠালের বিচি দিয়ে খুবই সুস্বাদু একটি ভর্তা তৈরি করেছেন। তৈরির পদ্ধতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজাদার হয়েছিল। দেখতেও বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুটকির বড়া রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় হয়েছিল। যদিও এই রেসিপিটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি, কিন্তু আপনার এই রেসিপি পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা দেখে এই রেসিপিটা শিখে নিতে পারলাম। পারলে অবশ্যই রেসিপিটা একবার তৈরি করব। খুব ভালো লাগলো আপনার করা এই রেসিপিটা।
খুবই ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সত্যি বলতে আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনোই রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি লোভনীয় মনে হয়েছে। কচুর পাতায় কাঁঠালের বিচি ও সিদল শুটকি মাছ ব্যাপারটা একদমই অন্যরকম,মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে বড়া খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি কচু পাতায় কাঁঠালের বিচি এবং সিদল শুটকির সুস্বাদু বড়া রেসিপি করেছেন। তবে অনেক সময় আপু অসুস্থ হলে অনেক কিছু খেতে মন চায় না। ওই সময় মাঝেমধ্যে এরকম বড়া এবং ঝাল করলে খেতে ভালো লাগে। তবে আজকে আপনার বড়া রেসিপি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো দেখছি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করে ফেলেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝতে পারছি খুবই লোভনীয় এবং মজাদার হয়েছে। দেখেই বুঝতে পারছি খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল এই রেসিপিটা। এই রেসিপিটা আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার, তাই আমার কাছে বেশ ইউনিক মনে হয়েছে। নিশ্চয়ই খেতে অনেক বেশি টেস্টি হয়েছিল। ভালো লাগলো আপনার তৈরি রেসিপি টা আমার কাছে।