কাল রাতে আমার সাথে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনা।@shy-fox 10% beneficiary।
আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুআ তে ভালো আছি।
আমি @santa14 আপনাদের মাঝে আবারও চলে এলাম। আজকে কোনো রেসিপি বা ডাই পোস্ট করবো না। আজকে আমি কাল রাতে আমার সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ভৌতিক ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।তবে এমন ভৌতিক ঘটনা অনেক আগেও অনেক বার হয়েছে। যদিও তখন আম্মু সাথে ছিলও। তবে কাল রাতে সাথে কেউ ছিলও না আর সবাই ঘুমিয়ে ছিলও। কাল রাতের বিষয় টা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। চলুন তাহলে বেশি কথা না বলে শুরু করি কাল রাতে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনা।
আমরা ভাই বোন খুব ছোট থেকেই নামাজ পড়ি।তবে পড়ি নাই বড় আপুরা বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে নামাজ পড়াতো।আর সেই থেকে নামাজ পড়া হয় সব সময় তবে মাঝে মাঝে শয়তান হয়ে যায়। আবার মৃত্যুর ভয়ে নিজেকে নামাজের দিকে নিয়ে আসি।কারণ এক মিনিট নিঃশ্বাস বন্ধ করে রাখতে কতটা কষ্ট হয়। আর তার চেয়েও হাজার হাজার কষ্টের হবে মৃত্যু যন্ত্রণা।তাই যতো টা পারি আল্লাহ তায়ালা কে খুশি করতে চেষ্টা করি।
আপনারা সবাই জানেন যে ২০ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত জিলহজ্জ মাস।আর জিলহজ্জ মাসে আরাফাতের তিন দিন অথবা এই ২০ তারিখ থেকে ২৯ পর্যন্ত যদি কেউ রোজা রাখে ৩,৪,৫ টা ইচ্ছা অনুযায়ী। তাহলে আল্লাহ তায়ালা এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।আর আমিও আলহামদুলিল্লাহ তার জন্য ২০ তারিখ থেকে রোজা রাখা শুরু করি। তবে এখন দিন টা অনেক বড় হওয়াতে একটু কষ্ট হয় তাও খুব ভালো লাগে।
কালকে রাতে ভাবলাম আমি তো রোজা রাখার জন্য রাত ৩ টাই উঠতে পারি।আর খেয়ে শুয়ে পড়লে তো ফজরের নামাজ টা পড়তে পারবো না। তাইলে কালকে রাতে উঠে সেহেরি খেতে খেতে তিনটা দশ বাজতে ছিলও ঘড়ি তে।তাই আমিও ভাবলাম না ঘুমিয়ে তাহাজ্জত নামাজ টা পড়ি তাহলে তো আরও ভালো হয়।আর সেহেরি খাওয়া শেষ করে তাহাজ্জত নামাজের জন্য ওযু করে আসলাম।
ওযু করে এসেই নামাজে দাঁড়িয়ে যায় আর নামাজ পড়ছি। নামাজ পড়তে পড়তে চার রাকাআত পড়ি।পড়ার পরে মোনাজাত করি অনেক সময়। তাও দেখছিলাম ফজরের আযান দিচ্ছে না। এরপর ভাবলাম আমি বসে না থেকে কুরআন শরীফ পড়ি।কুরআন একটু আওয়াজ করে পড়ছিলাম। তবে এতো আওয়াজ নয় শুধু আমি আর পাশের কেউ শুনবে এমন ভাবে । এমন সময় আমি যেই পাশে বসে কুরআন শরীফ পড়ছি ওই পাশের জানালায় অনেক জোরে কে যেনও একটা থাপ্পর মারে।তারপর একটু চুপ করে থাকি আর অনেক বেশি ভয় পায়।
এরপর আবার একটু চুপ থেকে আবার পড়া শুরু করি। এর মধ্যে দুই মিনিট পড়ার পরে আবার শুনছি অনেক জোরে জোরে কান্নার শব্দ। মনে হচ্ছে একটা মেয়ে খুব কষ্ট পেয়ে কান্না করছে।
এই সময় আমি সত্যি অনেক বেশি ভয় পেয়ে যায়। আর ভয়ে আমি কাউকে ডাকতে পারছিলাম না। শুধু তাড়াতাড়ি করে কুরআন শরীফ টা বুকে জড়িয়ে নিলাম। আর মনে মনে অনেক দুআ পড়ছিলাম।
তার মধ্যে কান্নার শব্দ থেমে যায় আবার। এরপর আমি আমার সাথে থাকা ফোন টা হাতে নিয়ে সময় দেখি তখন রাত ৩ টা ৪০ মিনিট।আমি অনেক ভয় পেয়েছি তবে আল্লাহ তায়ালার কথা মনে করে মনে আবার সাহস নিয়ে আসি।এরপর আমি আবার কুরআন শরীফ পড়া শুরু করি। তার মধ্যে অনেক সময় পড়ার পরে আবার। আবার শুরু হয় কে যেনও জানালার পাশে হাঁটছে অনেক জোরে জোরে শব্দ করে। আর যেনও অনেক বড় বড় নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।তারপর মনে মনে ভেবে নিলাম আজকের আর হয়তো পড়তে পারবো না।
এর মধ্যে আমি শুধু চুপ করে হাঁটার শব্দ আর জোরে জোরে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনছিলাম।আর তার মধ্যেই জানালার মধ্যে অনেক জোরে একটা থাপ্পর মারে। আমি আর সয্য করতে না পেরে চিৎকার মারি আম্মু আম্মু করে। এর মধ্যে মসজিদে আযানের শব্দ আসে আম্মুও আসে কি হলও কি হলও বলে।আমার সারা শরীর থেকে যেনও শুধু ঘাম পড়ছে। এরপর আম্মু কে সব বলি।পরে আম্মু বললো বোকা নামাজ পড়লি ঠিক আছে কুরআন শরীফ পড়তে কে বললো তোকে এই সময়।কিছু হবে না শুধু ভয় দেখিয়েছে তোকে। এরপর ফজরের নামাজ পড়ে একটু উঠানে হাঁটা হাঁটি করে ঘুমিয়ে পড়ি।
আমার সাথে এমন সময় অনেক বার হয়েছে রাতে ওযু করতে বের হওয়ার পর। কেউ যেনও নাম ধরে ডাকতো। তবে কালকে ছিলাম আমি একদম একা।আম্মু অন্য রুমে ছিলও আর কুরআন শরীফ পড়া উচিত হয়নি ওই সময় টা তে।কারণ তাদের চলাফেরার একদম সঠিক সময় তখন।
তবে আলহামদুলিল্লাহ তাহাজ্জত নামাজ পড়তে অনেক ভালো কোনো সমস্যা হয় না আল্লাহ রহমতে। ইনশাআল্লাহ যতোদিন রোজা রাখবো পড়ার চেষ্টা করবো।
আমার সাথে ঘটে যাওয়া ভৌতিক ঘটনা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন।আর সবাই এই রোজা গুলো রাখার চেষ্টা করবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কি বলবো আপু আপনার কথাটা শুনে ই আমি তো অনেক বেশি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আসলে আপনার ওই সময়টাতে কোরআন শরীফ পড়া একেবারেই উচিত হয়নি। আসলে সবাই ২০ তারিখ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে রোজা রাখার চেষ্টা করে। আর আপনিও রোজা রাখার চেষ্টা করতেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। যতদিন রোজা রাখবেন ততদিন তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। আশা করছি আর কখনো ভুল করে হলেও ওই সময়টাতে কোরআন শরীফ পড়বেন না।
না আপু আর পড়ছি না ওই সময়ে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আরে আপু আপনার সাথে তো দেখছি অনেক ভৌতিক একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে কাল রাতে। আপনি তাহাজ্জতের নামাজ পড়ার পরে যখন দেখছিলেন আযান এখনো দিচ্ছে না তাই কোরআন শরীফ পড়ার চিন্তা করলেন। আপনি যখন কোরআন শরীফ পড়ছিলেন এবং যে পাশে বসে কোরআন শরীফ পড়ছিলেন, সেই পাশের জানালায় কেউ হঠাৎ করে একটা থাপ্পর মারে। আপনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে আবারো পড়া শুরু করছিলেন, এরপর জোরে জোরে কান্নার শব্দ শুনে ছিলেন। অনেক বেশি ভয় পাওয়ার পরে আপনি আপনার আম্মুকে ডেকেছিলেন এবং তখন ফজরের আজানও দিচ্ছিল। আপনি আপনার আম্মুকে সবকিছু খুলে বলার পরে আপনার আম্মু আপনাকে বলেছিল এই সময় আপনার কোরআন শরীফ পড়া ঠিক হয়নি। এরকম ঘটনা আপনার সাথে আরও বেশ কয়েকবার হয়েছিল। আমার তো পড়ে শরীর শিউরে উঠছে। যাইহোক পরবর্তীতে এই সময় নামাজ পড়বেন না আশা করছি।
নামাজ ইনশাআল্লাহ পড়বো ভাইয়া তবে ওই সময়ে কুরআন শরীফ পড়বো না আর। মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তো তাহলে বেশি রাত্রেবেলা অনেক বেশি ভয় পেয়েছে। লোকের মুখে শুনেছি রাত্রেবেলা তাহাজ্জুদের নামাজ পড়তে উঠলে নাকি এরকম শয়তান মানুষকে ভয় দেখ। আর ভয় পাবারই কথা রাত্রেবেলা জানালার ওপাশ থেকে যদি কেউ কন্টিনিউ শব্দ করতে থাকে তাহলে ভয় পাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আপনার গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে তবে আপনার ভয় পাওয়ার কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছে, খুব শীঘ্রই ভয় কাটিয়ে উঠবেন বলে আশা রাখি।
জি ভাইয়া অনেক খারাপ একটা অবস্থা গিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।