ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে সাবধানতা অবলম্বল করতে হবে-কক্সবাজারের একজনের মৃত্যুবরণ।
শুভ দুপুর বন্ধুরা!
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আশা করি সবার দিনকাল ভালো যাচ্ছে। যদিও দেশের পরিস্থিতি ভালো না কিন্তু নিজেকেই ভালো রাখা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। কারণ ভালো না থাকলে ভালোভাবে কাজ করতে পারবো না ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করতে পারবোনা। আমরা সবাই হতাশ আমরা সবাই অনেক বেশি দুঃখে জর্জরিত। কারণ দেশের এই বেহাল অবস্থায় আমাদের ভালো থাকা মোটেও সম্ভব না। শরীরের একটি অংশ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়। ঠিক তেমনটাই দেশের কিছু জেলার মানুষ অঞ্চলের মানুষ যদি ভালো না থাকে তাহলে পুরো জাতি কিভাবে ভালো থাকবে।
আজকের বাংলাদেশ আগের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাৎ লক্ষ্য করা যায়। আগে কোন একটি কিছু হলে যারা টাকা ওয়ালা মানুষ রয়েছেন তারা দেখে থাকতো। কিন্তু এই দেখেন আজকের বাংলাদেশ কত একতাবদ্ধ কত স্বাবলম্বী। আজকের মানুষের মধ্যে কত সম্প্রীতি যা দেখলে গর্বে মনটা ভরে যায়। আগে কোন বন্যা কবলিত এলাকায় শুধু সরকারি সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতো মানুষ। বাড়তি কোন মানুষ আসতেন না সাহায্য সহযোগিতার জন্য। যদিও বাংলাদেশের অনেক মানুষের কোটি কোটি টাকা থাকতো কিন্তু ফিরেও তাকাতেন না দুর্যোগ প্রবণ এলাকায়। কিন্তু এই দেখেন আজকে যাদের নেই তারাও যতোটুকু পারেন ততটুকু দিয়ে কত সুন্দর সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
আমরা তো এমন বাংলাদেশ চাই আমরা তো এমন মানুষ চাই আমরা এমন দেশে বসবাস করতে চাই। আজকাল মানুষ অনেক বেশি সচেতন যা আমাদের জন্য অনেক গর্বের অনেক গৌরবের। একটি দেশের একটি কয়েকটি জেলায় পানিতে ডুবে গেল কিন্তু সারা বাংলাদেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়লো সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। কেউ নৌকা দিয়ে সাহায্য করছে, আবার কেউ হেলিকপ্টার দিয়ে সাহায্য করছে, আবার দেখা যায় অনেকেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সহযোগিতা করছে। তবে একটা বিষয় না বললেই নয় সেটা হচ্ছে ফটোগ্রাফি আকারে ভিডিও আকারে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
এটাও এক প্রকারের আমাদের জন্য সুবিধা যা আমরা প্রতিনিয়ত সরাসরি বিষয়গুলো দেখতে পাচ্ছি। তবে এদের মধ্যে অনেকেই বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। কার মৃত্যু কোথায় হয়ে যায় সেটা জানিনা আমরা কেউ। কিন্তু গতকাল দেখলাম আমাদের কক্সবাজারের সিটি কলেজের একজন স্টুডেন্ট ত্রাণ সহায়তা দিতে গিয়ে পানির নিচে পড়ে গেলো। পরে পানিতে ট্রাকের চাপায় মরে গেল। স্রোতের টানে সেই পানিতে তলিয়ে গেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি ট্রাকে চাপা পড়ে সেই ছেলেটি মারা যায়। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। বেচারা ছোট বাচ্চা স্টুডেন্ট সবার সাথেই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গেছিল সবাইকে সহযোগিতা দেবে বলে। অবশেষে তাকে মৃত্যুবরণ করতে হলো সেখানে ট্রাকের চাপায়।
নিয়তি বড় নির্মম-
নিয়তি খুব নির্মম কারণ কার মৃত্যু কোথায় হবে সেটা কেউ জানে না। যার যেখানে মৃত্যু হওয়ার কথা তাকে ঠিক সেই জায়গায় যেয়ে পৌঁছাতে হবে। তবে সবকিছুকে পরিচিতির উপরে ছেড়ে দিলেই চলবে না কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যখন ফেসবুকের মধ্যে এই ছেলেটির চেহারা দেখলাম খুব বেশি মায়া হল অনেক বেশি খারাপ লাগলো যদিও বয়সে খুবই কম। হয়তো তার ভাগ্যে এটাই লেখা ছিল। তবে আমরা সবাই সহযোগিতা করতে যাচ্ছি সেটা ঠিক আছে কিন্তু আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেন সাহায্য সহযোগিতা করব। সাহায্যে সহযোগিতা এটাতো একটা মানবিক কাজ। তার জন্য আমাকে যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হবে তা তো নয়।
কারণ আমার একজনের পিছনে হাজারো মানুষ রয়েছেন আমার উপরে নির্ভরশীল। একজন সন্তানকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষ করবে তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ সুন্দর স্বপ্ন সাজাবে। তাকে নিয়ে খুব সুন্দর স্বপ্ন সাজিয়ে রাখছেন মা-বাবারা। আজকে দেখেন সে স্বপ্নগুলো পানিতে তলিয়ে চলে গেল ট্রাকের চাপায়। তাই সাহায্য সহযোগিতা যেমন করব তেমনি একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে নিজের জীবনের প্রতি। এমন ভাবে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো না যেখানে মৃত্যুবরণ করতে হবে। সত্যি কথা বলতে একজন মানুষ যখন মরে যায় তার জন্য একটু মায়া হয় কান্না হয়। অনেকে সাহায্য সহযোগিতা করবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে সেটা হচ্ছে সাময়িক। কিন্তু পরবর্তীতে দেখবেন আপনার পরিবার নিঃস্ব।
কেন আপনার ভুলের কারণে আপনার পরিবারকে সারা জীবন কান্না করতে হবে। আপনার একটি সামান্য ভুলের জন্য পুরো পরিবারকে সারা জীবন সেই কষ্টের বোঝা বহন করতে হবে। কারণ একটি পরিবারের স্বপ্ন থাকে একটি মানুষের পিছনে। সেই সন্তানকে অনেক বড় করে কষ্ট করে লালন পালন করবে। সে সন্তান একদিন মানুষের মত মানুষ হয়ে তাদের দুঃখ গুলো মুছে দেবে। এই ধরনের স্বপ্নগুলো যখন এক নিমিষে শেষ হয়ে যায় তখন ভীষণ খারাপ লাগে ভাবতে। আমাদের দেশের দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই অবগত আছি। আমরা সবাই চাইছি সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার। সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের মুখে খাবার দেওয়া সেটা অত্যন্ত একটি ভালো কাজ।
এই ধরনের সুন্দর মহৎ কাজ দিয়ে আজকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বের দরবারে নজির করেছে। তাই আমি বলব সবাই একটু সাবধানে কাজ করবেন পরিবারের মানুষের কথা চিন্তা করে। সেই বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে আপনি যেন বিপদে না পড়েন এমনভাবে যেতে হবে। আপনি যেন সবার সাথে থাকেন সবাই যেন আপনাকে সহযোগিতা করে এভাবে টিম নিয়ে যেতে হবে। টিমের পক্ষ থেকে একটি মানুষ যেন সরিয়ে ছিটিয়ে না পড়ে মৃত্যুবরণ না করে সেটা অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ভিক্টিজি ডট কম |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#floodaffected-areas #verydangerous-area #creativewriting #careshould-betaken #amarbanglablog #steemxclusive #abb-school
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/nahar_hera/status/1827778781991567722?t=yDga_BcwSNR17dvRRd85Kw&s=19