লাইফস্টাইলঃ- কক্স কার্নিভালে খাওয়া দাওয়া এবং সময় কাটানো।
শুভ দুপুর বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা! আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায়। বন্ধুরা উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের ব্লগে আশা করি সবার ভালো লাগবে। বন্ধুরা এখানে ব্লগ লিখতে অনেক ভালো লাগে প্রতিনিয়ত। আমরা অনেক সৌভাগ্যবান কারণ আমরা সবাই বাংলা ভাষায় খুব সুন্দর করে ব্লগ লিখতে পারি। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের একমাত্র বাংলা মাধ্যম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করার ক্ষেত্রে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এই জন্য ভালো লাগে মনের ভাবগুলো সব সময়ই বাংলা ভাষায় সবার সাথে শেয়ার করতে পারি। হয়তো ইংরেজিতে হলে আমরা তেমন ভাব প্রকাশ করতে পারতাম না আমাদের মধ্যে কিছুটা হলেও বাধা বিঘ্নতা আসতে পারতো।
এখন আমরা খুব সুন্দর ভাবে সবার সাথে মনের মত করে সাজিয়ে লিখা গুলো শেয়ার করতে পারি। এর চেয়ে ভালো লাগা আর কি হতে পারে বলেন তো বন্ধুরা? সেটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যারা সবাই কাজ করেন সবার ক্ষেত্রে একই অনুভূতি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের জন্য উপস্থিত হয়েছি কিছু খাওয়া দাওয়া এবং সময় কাটানোর মুহূর্ত নিয়ে। আপনারা তো জানেন আপনাদের সবার প্রিয় জায়গা কক্সবাজারে আমি থাকি। আমার জন্মভূমি আমার বেড়ে ওঠা সবকিছু হচ্ছেই এই জেলাতে। এই শহরের আনাচে-কানাচে যতগুলো রেস্টুরেন্ট আছে অথবা পার্কিংয়ের জায়গা আছে সবগুলোতেই ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে।
ইদানিং কক্সবাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি জায়গার নাম হচ্ছে কক্স কার্নিভাল। সন্ধ্যা হলে সেখানে অনেক সুন্দর গানের আসর বসে। খুব ভালো লাগে সেখানে যেয়ে সময় কাটাতে। মাঝেমধ্যে যখন সময় সুযোগ পায় তখন চলে যায় কক্স কার্নিভালে। বিশাল একটি জায়গা চারদিকে সুন্দর সুন্দর করে বিভিন্ন ধরনের রেস্টুরেন্টের কর্নার গুলো সাজানো হয়েছে। এক সাইডে ফুসকার কর্নার। এক সাইডে মোমোর কর্নার। আরেক সাইডে হচ্ছে চিকেন ফ্রাই আর ফ্রেন্স ফ্রাইয়ের কর্নার। অন্য সাইডে নুডুলসের কর্নার এভাবে খুব সুন্দর করে শপ গুলো বসানো হয়েছে। তো আমরা যাওয়ার পরে সেখানে গান শুনলাম অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম বাচ্চারা বেশ আনন্দ করছিল।
বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের হয়েছি কিছু তো খাওয়া দাওয়া করতে হবে। বাইরে ঘোরাফেরা করবো না খেয়ে আসলে কেমন জানি লাগে। সেজন্য হালকা করে নাস্তার অর্ডার দিলাম। আপনারা তো জানেন বিশেষ করে বাচ্চারা চিকেন আর ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে পছন্দ করে তাই আমি একটি প্যাকেজ নিলাম। সেই প্যাকেজটিতে চিকেন ফ্রাই আর ফ্রেন্স ফ্রাই ছিলো। একটি প্যাকেজ অর্ডার দিলাম সেই প্যাকেজের মধ্যে চার পিস চিকেন ফ্রাই এবং ফ্রেন্স ফ্রাই ছিল তবে আমরা তিন জনের জন্য যথেষ্ট ছিল। সাথে তো সস রয়েছে আনলিমিটেট। এছাড়াও কোল্ড ড্রিংস অর্ডার করে দিয়েছিলাম। আমি এবং আমার দুই মেয়ে মিলে গেছিলাম সেখানে বিকেল বেলায়।
বসে খাওয়া দাওয়া করলাম বেশ ভালো লাগছিল খাবার দাবার গুলো। এতই মানুষের ভিড় ছিল বসার জন্য সিট পাচ্ছিলাম না। কারণে এই জায়গাটিতে ছুটির দিনে অনেক বেশি জ্যাম লেগে যায়। অন্য সময় তো জ্যাম থাকে কিন্তু ছুটির দিনে অনেক বেশি জ্যাম থাকে কারণ সবাই বাচ্চাদেরকে নিয়ে বের হয়। শুধু বাচ্চাদেরকে নিয়ে নয় দুইজন জুটি বেধে এখানে চলে আসেন কারণ সন্ধ্যার মুহূর্তে বেশ ভালো একটি সময় কাটে এখানে। বিভিন্ন শিল্পীরা আসে এখানে নিজস্ব কন্ঠে গানগুলো গেয়ে থাকেন ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে কক্স কার্নিভালের ওয়েলকাম গেট বেশ সুন্দর। তাছাড়া ও প্রবেশের পথটা আরো সুন্দর সবকিছু মিলিয়ে যেন অসাধারণ একটি পরিবেশ। ভিতর প্রবেশ করলে তো মনটা একদ জুড়িয়ে যায় এত সুন্দর ডেকোরেশন করে রাখা হয়েছে চারপাশে। এই কক্স কার্নিভালের অনেকগুলো ভিডিও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এত সুন্দর গানের মুহূর্ত ছিল। আজকে চিন্তা করলাম যে আপনাদের সাথে কক্স কার্নিভালে বসে খাওয়া দাওয়ার বিষয়গুলো শেয়ার করি। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই আমার আজকের ব্লগটি লেখা। একেক রেস্টুরেন্ট এর খাবারের স্বাদ একেক রকমের। খাবার গুলো বেশ ভালো লাগছিল। তবে খাওয়া-দাওয়া বড় বিষয় নয় আমার কাছে সেখানকার পরিবেশটা বেশ ভালো লাগছিল।
চারপাশে বলতে গেলে সব গুলো খাবারের কর্নার ছিল। মাঝখানে বিশাল একটি এরিয়া ছিল সেখানে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা ছিল। এক সাইডে খুব সুন্দর গানের স্টেজ এবং আর বাকিগুলো হচ্ছেই দর্শকদের জন্য খুব সুন্দর করে সাজানো ছিল টেবিল চেয়ার দিয়ে। বন্ধুরা আপনারা যদি কক্সবাজার আসেন তাহলে কক্স কার্নিভালে এসে ঘুরে যেতে পারেন। একদম লাবনী পয়েন্টের পাশাপাশি মেলার চত্বরে রোডের অপজিটে। জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে এখানে এসে সময় কাটাতে পারেন যখন কক্সবাজার ঘুরতে আসবেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে অনেক জমে যায় সেখানে। দিনের বেলায় আসলে তেমন একটা মজা পাওয়া যাবে না।
যাক বন্ধুরা আজকে এখানে সমাপ্তি করলাম আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ব্লগ ভালো লাগবে। সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করেন আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেন তাতে আমি অনেক বেশি গর্বিত। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#coxscarnival #coxsabazar-bangladesh #eatingfood #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দুই মেয়েকে নিয়ে দেখছি ঘুরাঘুরি করার জন্য বের হয়েছিলেন। আর অনেক মজা করে খাবারও খেয়েছিলেন সন্ধ্যার সময়। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা দেখে আমার কাছে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। এই জায়গাটাতে গানের আড্ডা হয়, এই কথাটা শুনে কিন্তু আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে আপু। পরবর্তীতে যদি আবারও কক্সবাজারে যাওয়া হয়, তাহলে তো এই জায়গাটাতে অবশ্যই যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবো।
প্রায় সময় আপু মেয়েদের নিয়ে একা বের হয় মেয়েদের বাবা অফিসে ব্যস্ত থাকে তাই।
কক্স কার্নিভালে বেশ দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বাচ্চাদের নিয়ে বিকেলে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে ভালো লাগলো। বিকেলের জন্য এই নাস্তা গুলোই যথেষ্ট। ডেকোরেশন এর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জায়গাটি অনেক সুন্দর আপু চলে আসেন আপনি।
মাঝেমধ্যে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এরকম ভাবে বাহিরে গেলে, তারাও ভালো কিছু সময় বাহিরে গিয়ে অতিবাহিত করতে পারে। কক্স কার্নিভালে খাওয়া দাওয়া দেখছি অনেক বেশি ভালোভাবেই করেছিলাম। আর সে সাথে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে তো ভালো লেগেছে আরো বেশি। ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারছি এটার সৌন্দর্য কতটা দারুন। আসলেই আপু বাহিরে ঘুরাঘুরি করার সময় হালকা খাওয়া-দাওয়া না করলে ভালোই লাগেনা। ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া দুটোই করলেন দেখে ভালো লাগলো।
আমারও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে ভাইয়া ধন্যবাদ।
আসলে আপু মাঝেমধ্যে প্রিয় জায়গা গুলোতে ঘুরতে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আর কক্সবাজার জায়গা টি এমনিতে বেশ চমৎকার। এইখানে মানুষ দূর দুরন্ত থেকে যায় ঘুরতে। আপনি ওই শহরে বসবাস করেন ছোট থেকে। তবে আপনি কক্স কার্নিভালে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।কক্স কার্নিভালে সন্ধ্যার পর নাচ গান হয় তাহলে তো ওইখানে জনগণ বেশি আকৃষ্ট হয় গান দেখে। আর আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন কক্স কার্নিভালে খাওয়া দাওয়া করতে গিয়ে। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক জমজমাট একটি পরিবেশ হয় ভাইয়া সন্ধ্যার পরে।
https://x.com/nahar_hera/status/1808936778000445808?t=cpoifRdM1hYP8yrZt6Wv3w&s=19