ট্রাভেলিংঃ- রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কের সৌন্দর্য।
সবাই কেমন আছেন,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ছুটির দিনে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেশ সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। নিশ্চয় আমিও ভালো আছি ব্যস্ততার মধ্যে সবাইকে নিয়ে অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আপনাদের দিনকাল কেমন যাচ্ছে বন্ধুরা এই সুন্দর বৃষ্টিময় দিনে। আজকে আমি উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আশা করি সবার ভালো লাগবে। আমি আজকে যে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি তা হচ্ছে রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্কে ঘুরাঘুরির একটি মুহূর্ত নিয়ে। ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। জীবনে যত ভ্রমণ করা যাই ততই অনেক কিছু শেখা যায়।
প্রতিটি মানুষের জীবনে ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ শুধু মনের আনন্দ দেয় না অনেক কিছু শিক্ষনীয় বিষয় থাকে। যার জীবনে ভ্রমণ যত বেশি সেই মানুষ তত বেশি সুখি তত বেশি পারদর্শী। কারণ আমি জানি ভ্রমনের মাধ্যমে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন জিনিস সম্পর্কে পরিচিত হয়। শুধু জায়গা সম্পর্কে পরিচিত হয় না সেই জায়গার কালচার, কৃষ্টি, মানুষের আচার-আচরণ সবকিছু সম্পর্কে বেশ ভালো আইডিয়া হয়। ভ্রমণ শুধু মানুষ মনের আনন্দের জন্যই করে না মানুষের জীবনে অনেক শিক্ষার বিষয় জড়িয়ে থাকে। বিশেষ করে আমাদের যখন ব্যক্তিগত জীবনে একঘেয়েমি অনুভবটা করে থাকি তখন আমরা চিন্তা করি যে কোথাও যেয়ে ঘুরে আসি।
আমি এর আগে আপনাদের সাথে অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছিলাম রাঙ্গামাটি ভ্রমণের। বিশেষ করে পলওয়েল পার্কে ঘোরাঘুরি করা অনেক বেশি আনন্দ পেয়েছিলাম। এত সুন্দর একটি জায়গা সেখানে মনোরম পরিবেশে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল সেখানকার লেকের দৃশ্যগুলো। বিশেষ করে আমার কাছে ভালো লাগছিল লেকের পাশে দাঁড়িয়ে চারপাশের সুন্দর উপভোগ করতে। যদিও আমরা চারপাশে খুব সুন্দর করেই দেখছিলাম ঘুরে ঘুরে। কিন্তু আমার কাছে এত ভালো লাগছিল সেখানে আরো কিছু সময় নিয়ে সেখানে থাকতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে আমাদেরকে চলে আসতে হয়েছিল।
পলওয়েল পার্কে বিশেষ করে একটা জিনিস খুবই ভালো লাগছিল সেটা হচ্ছে এটা একটি অনেক বড় পাহাড় ছিল। সেই পাহাড়ের কিছু অংশে লেক ছিল আবার কিছু অংশকে কেটে সুন্দর করে সিঁড়ি দিয়ে বসার জায়গা করেছিল। রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা করেছিল। তাছাড়া ও সেই আদিবাসীদের ঐতিহ্য বাঁশের তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস সেখানে দেখছিলাম। আরও দেখেছি সেখানে গ্রামীণ পরিবেশের সেই অনেক সুন্দর ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকির প্রচলন। সেই দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর করে খোদাই করে রাখা হয়েছে সেখানে। পলওয়েল পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ আমার যেমন ভালো লাগছিল তার চেয়ে আর অনেক বেশি ভালো লাগছিল ফুলের বাগান গুলো।
বিশেষ করে আমরা যখন শীতকাল সেই সিজনে গিয়েছিলাম। তখন গাঁদা ফুলের খুব সুন্দর একটি বড় বাগান দেখছিলাম। সেই বাগানে আমি অনেকক্ষণ সময় ধরে কাটিয়েছিলাম। কারণ ফুলগুলো অনেক মোটা সাইজের ছিল। এত বড় ছিল মন চাইছিল সেখান থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে হাতে নিতে। আসলে ফুলের সৌন্দর্য হচ্ছে গাছে থাকলে সুন্দর। ফুল যখন ছিঁড়ে হাতে নেওয়া যায় তখন সে ফুলের সৌন্দর্য কিছুক্ষণের পরেই নষ্ট হয়ে যায়। সেই চিন্তা করে আমি আর ফুল ছিঁড়ি নাই। তাছাড়াও পার্ক থেকে ফুল ছিঁড়া কেমন জানি লাগে। হঠাৎ করে যদি পিছন থেকে কেউ এসে কিছু বলে তাহলেই সর্বনাশ। তাছাড়াও আমি সেখান থেকে একটি ভিডিও নিয়েছিলাম। তবে ভিডিও একটি না কয়েকটি ভিডিও নিয়েছিলাম। যা আমি আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করে নিয়েছি।
পলওয়েল পার্কের আরো একটি সুন্দর দৃশ্য ছিল সেখানে খুব সুন্দর করে লাভ স্টাইলের ডিজাইন ছিল। সেখানে সবাই ফটোগ্রাফি করছিলেন। তাছাড়া ও লেকের মধ্যে অনেক সুন্দর করে ফুলগুলো রাখা হয়েছিল যারা পর্যটকরা আছেন তারা সেখানে লেকের মধ্যে ঘুরাঘুরি করছিলেন। তাছাড়া আরো অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখেছি তা হচ্ছে খুব সুন্দর করে বসার জায়গা রাখা হয়েছিল। চারপাশের মনোরম দৃশ্যগুলো সবুজ গাছগাছালি এমন পরিবেশে বসে থাকতে খুব ভালো লাগছিল। এত সুন্দর পার্কের ভিতর রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া ও আবাসিক হোটেল ছিল থাকার সব কিছু মিলিয়ে যেন বেশ সুন্দর একটি জায়গা আমার দৃষ্টিতে।
তবে যারা গিয়েছেন তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন কেমন সুন্দর। তবে যারা যাননি তাদের এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি রয়ে গেছে। যারা রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যাবেন চেষ্টা করলে পলওয়েল পার্কে ঘুরে আসতে পারেন কারণ দেখার মত একটি জায়গা। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে খেলাধুলার। তাছাড়া বড়দের জন্য বিনোদনের অনেক সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ একটি জায়গা বলতে হয়। বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের ব্লগ আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
সব সময় আপনারা মূল্যবান সময় দিয়ে আমার ব্লগ ভিজিট করেন আমাকে অনেক বেশি উৎসাহিত করেন তাতে আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুস্থ থাকবেন সবার সুস্থতা কামনা করছি। আজকের লেখা এখানে সমাপ্তি করছি আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | রাঙ্গামাটির পলওয়েল পার্ক |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার আজকের এই প্রশ্নের মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির দারুন একটি পার্ক দেখার সুযোগ মিললো। অনেক অনেক ভালো লেগেছে পার্কের সুন্দর এই দৃশ্যগুলো দেখতে পেরে। পার্ক ভ্রমণ করতে আমিও খুব পছন্দ করে থাকি। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর কৃত্রিম জিনিস দেখতে পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি অনেক কিছু দেখার সুযোগ মিললো।
সময় দিয়ে ব্লগটি ভিজিট করা জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। জায়গাটি অনেক সুন্দর ছিল আপু।
https://x.com/nahar_hera/status/1809317363445297223?t=hUnuI9rtHu7vR4pdM44b3w&s=19
পলওয়েল পার্কে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন আপু। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। আপনাদের রাঙ্গামাটি ভ্রমণের বেশ কয়েকটা পর্ব আগে দেখেছিলাম। যাইহোক পার্ক টা ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে সিঁড়িগুলো এবং এর আশেপাশে পাথরের মত জায়গা গুলো খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু সে খানকার সবকিছু অনেক সুন্দর ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে দেখলেন।
ঘুরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর ঘুরাঘুরি করলে মনটা অনেক বেশি ভালো এবং ফ্রেশ থাকে। আসলে এটা কিন্তু ঠিক কথা বলেছেন আপু, জীবনে যত বেশি আমরা ঘুরাঘুরি করবো, তত বেশি কিছু শিখতে পারবো। রাঙামাটির পলওয়েল পার্কের সৌন্দর্য টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে দেখতে। আপনি ঘুরাঘুরি করার সময় অনেক সুন্দর করে কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। যেগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছিলেন মুহূর্তটা।
একদম ঠিক বলছেন আপু যত ঘুরাঘুরি করা যায় যত জ্ঞান আহরণ হয়।
ভ্রমণ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আর এরকম কোন সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। রাঙামাটি গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো আপু। এবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।
অনেক সময় কাজ করার পরে ক্লান্তি চলে আসে। ঘুরাঘুরি করে আসলে মনটা প্রশান্তি খুঁজে পাই।
আপনি সবসময়ই আমাদের মাঝে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ভ্রমনের পোস্ট শেয়ার করে আসছেন৷ আজকেও খুবই সুন্দর একটি ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করেছেন৷ এখানে আপনি রাঙ্গামাটির এই পলওয়েল পার্কের সৌন্দর্য খুবই সুন্দর ভাবেই এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
ভ্রমণ করতে আমার খুব ভালো লাগে ভাইয়া।
ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ভ্রমণ করলে মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। আর এত সুন্দর জায়গায় ভ্রমণ করতে গেলে তো আর কোন কথাই নেই। আপনি খুব সুন্দর একটা জায়গায় ভ্রমন করতে গেছেন।পলওয়েল পার্কে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু ভ্রামণে মানুষ যেমন আনন্দ পাই তেমনি অনেক গুলো শিক্ষনীয় বিষয় থাকে।
জ্বি আপু একদম ঠিক কথা।