লাইফস্টাইলঃ- ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনে কেক কাটা ও সুন্দর একটি মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম/আদাব,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই আপনারা সবাই ভালো আছেন পরিবার-পরিজনকে নিয়ে। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সেষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। বন্ধু্রা উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার নতুন ব্লগে। অনেক দূর থেকে আপনাদের সাথে ব্লগিং করি। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার শহর থেকে আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত ব্লগিং নিয়ে যুক্ত থাকি। একদম মনে হয় না যে অনেক দূর থেকে ব্লগিং করতেছি। কারণ আমরা সবাই এত সুন্দর ভাবে কাজ করি মনে হয় যে সবাই আমরা এক জায়গায় একই পরিবারে বসেই কাজ করতেছি। তাই সব সময় ভালো মন্দ বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসি। আজকে আমার পোষ্টের টাইটেল দেখে আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আমি কি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সাথে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা হচ্ছে আমার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিন উপলক্ষে। হঠাৎ দেখতে দেখতে মেয়েটি বড় হয়ে যাচ্ছে। এইতো কয়দিন হলো সে আমার কোলে এসে আমার সমস্ত দুঃখ বেদনা ভুলে দিয়েছিল। সত্যি মনে হয়নি যে আমার দুইটি মেয়ে আছে। আমার মনে হয় যে সমস্ত পৃথিবী জুড়ে আমার দুইটি কলিজার টুকরা। প্রত্যক মা-বাবার কাছে এমনটাই মনে হয় সেটা ১০০%। কারণ প্রতিটি সন্তান বাবা-মার কাছে খুবই মূল্যবান। আসলে আমার যে দুইটা মেয়ে সেটা আমার একদমই অনুভবের মধ্যে নেই যে আমার কোন ছেলে নেই। ছেলে মেয়ে কোন পার্থক্য থাকে না মা-বাবার কাছে। সন্তানই হচ্ছে সন্তান সেটা যেমন হবে হোক। প্রত্যেক মা-বাবার কাছে সন্তান অমূল্য সম্পদ।
বিয়ের পরেই সন্তান হচ্ছে অন্যতম সুন্দর পরিবারের জন্য। আসলে যাদের কাছে সন্তান নেই যারা সন্তানের জন্য চেষ্টা করেন তারা বোঝেন সন্তানের গুরুত্ব কেমন। দুইটি বিবাহিত জীবনের সেই সুন্দর সংসারের মাঝে যদি সন্তান আসে ঘরে খেলাধুলা করে তাহলে পরিবারটি ভরে ওঠে। সংসার আরো সুন্দর হয়ে উঠে। পরিবারের অন্যতম সম্পদ হচ্ছে সন্তান। সুখী পরিবারের অন্যতম সম্পদ হচ্ছে সন্তান। অনেকে আছেন ছেলে সন্তানের জন্য অনেক বেশি আকাঙ্ক্ষা করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন মেয়ে সন্তানদের জন্য অনেক বেশি আশা করে থাকেন। যাদের যে সম্পদ সন্তান দিয়েছেন তাতে শুকরিয়া। আবার অনেকে আছেন যে ছেলে সন্তানও নেই মেয়ে সন্তানও নেই। সন্তানের জন্য হাহাকার হয়ে যায়। তবে ছেলে হোক মেয়ে হোক সবই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার দেওয়া অমূল্য সম্পদ।
বেশ কয়েকদিন ধরে মেয়ে অনেক বেশি আনন্দে ছিল। যেহেতু সেই এখন বড় হচ্ছে তার জন্মদিন সম্পর্কে তার অনেক ধারণা হয়ে গেছে। যদিও জন্মদিন সম্পর্কে তার তেমন আইডিয়া ছিল না আগে। বেশ কয়েকদিন যাবত সে বলে আসছিল তার জন্মদিন পালন করতে হবে। তাকে লাল ড্রেস কিনে দিতে হবে এবং বড় পার্টি করতে হবে। তাছাড়া ঘরের মধ্যে কেক কাটতে হবে তার বন্ধুবান্ধবদেরকে ডেকে এনে। কিন্তু এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গেছি আসলে কিছুই ভালো লাগেনা। সবদিক দিয়ে অশান্তি আর অশান্তি। তাই কোন ধরনের প্ল্যান করি নাই। মেয়ে তো সারাদিন অস্থির তার জন্য ড্রেস আনতে হবে। তার জন্য লাল ড্রেস কিনতে হবে এবং তার পছন্দের জুতা আনতে হবে।
কিন্তু আমাদের মনে এত বেশি আনন্দ ছিল না। তারপরও বাচ্চা মানুষ যখন তার আশা গুলো আনন্দ গুলো পূরণ করতে হবে। মেয়েকে নিয়ে বাবা অনেকগুলো শোরুমে ঘোরাঘুরি করলো কোন ধরনের লাল ড্রেস পাওয়া যায়নি। একদিকে হচ্ছে দেশের অবস্থা খারাপ অন্যদিকে হচ্ছে এখন আন সিজন তাই কোন ধরনের ভালো জামা পাওয়া যায়নি। ভালো জামা পাওয়া যায়নি বলতে লাল ড্রেস পাওয়া যায়নি। এই তো কিছুদিন আগে আরো দুই তিনটা ড্রেস কিনে দিয়েছে তাকে। কিন্তু সেগুলো দিয়ে হবে না তার জন্য আবারও নতুন ড্রেস কিনতে হবে। মেয়ে তার বাবার সাথে গিয়ে ড্রেস কিনলো। জামা কিনলো যদিও লাল জামা পায়নি।
ঘরে এসে বললো তার জন্য কেক কাটতে হবে। কিন্তু কি আর করার ভেবে চিন্তে বেরিয়ে পড়লাম মেয়েকে নিয়ে। একটি রেস্টুরেন্টে বসে একটি কেক নিয়ে নিলাম লাল কালারের। সেটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে বললাম। সাজিয়ে দেওয়ার পরে কেউ তো নেই আমরা পরিবারের চারজন। এখন বেশ কয়েক জনকে ফোন দিলো আসলে এই পরিস্থিতিতে কেউ তেমন একটা বের হতে চায় না। আমাদের এক পরিচিত ভাই আসছিল আপনাদের ভাইয়ের কলিগ। তো আমরা মেয়ের আনন্দের জন্য কেক কাটলাম তাকে খাওয়ালাম সেখানে বসে হালকা পাতলা কিছু নাস্তাও খেলাম। যেহেতু আমাদের রাতের খাবার খাওয়ার প্লান ছিল তাই আমরা ভারি কোন ধরনের নাস্তা খাইনি।
সেখানে কোন মতে কেক কেটে নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে বসে সময় কাটালাম। সময় কাটানোর পরে আমরা ডিনারের জন্য অন্য একটি রেস্টুরেন্ট চলে যায়। কিছুক্ষণ আগে যখন আমরা নাস্তা খেয়েছি তাই আমাদের তেমন কোন খিদে ছিল না তাই আমরা হালকা করে বিরিয়ানির আইটেম অর্ডার করি। বাচ্চারা চিকেন বিরিয়ানি খেতে বেশ পছন্দ করেন আমারও অনেক ভালো লাগে বিরিয়ানি খেতে। তাই সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলাম। খাওয়া-দাওয়া করার পরে দেখি রাত এগারোটা বেজে গেছে অলরেডি।
আর দেরি না করে আমরা সোজা বাসায় চলে আসি। সত্যি বলতে দিনটি অনেক ভালো কেটেছে আমাদের। যদিও মেয়ের কারণে আনন্দ গুলো উপভোগ করতে পেরেছি। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার -পিজ্জা প্যালেস |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#happybirthday #mylittledaughter #eatingfood-familytime #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমে আমার পক্ষ থেকে আপনার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল। কেক কেটে বেশ দারুন ভাবে জন্মদিনের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। ঠিক বলেছেন আপু আসলে জন্মদিনের আনন্দটা ছোট ছেলে মেয়েদের উদযাপন করতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মুহূর্তটি অনেক ভালো কেটেছে। বিশেষ করে মেয়ে অনেক আনন্দিত ছিল ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
যদিও অনেকটা দেরি হয়ে গেছে তবে রাইদার জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। রাইদার জন্য অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল। সবাই মিলে কেক কেটে খুব সুন্দর ভাবে জন্মদিনটা সেলিব্রেট করেছেন। রেড ভালভেট কেক আমার ভীষণ পছন্দের। ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন সবাই। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি আপু আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করলেন।
বাহ বাহ আপু,আমাদের রেখেই তাহলে মেয়ের জন্মদিন সেলিব্রেট করে ফেললেন।আমাদের আগে বললে হয়তো চলে যেতাম।অবশ্য পরিস্থিতি যতটা খারাপ তার মধ্যে বাইরে বেরোনোটা মুশকিল ছিল।আর রাঈদা লাল ড্রেস পায়নি শুনে খারাপ লাগলো আপু।তবে দেরিতে হলেও ওর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।
প্রথমে আপনাকে সরি আপু। আসলে এমন কোন প্ল্যান ছিল না হঠাৎ করে মেয়ের অস্থিরতার কারণে করা হলো।
আরে আপু,সামনের বছর ইনশাল্লাহ আসবো,মনে করিয়ে দেবেন একটু,ভুলে যাই এখন।
প্রথমেই আপনার মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু। বেশ সুন্দর লাগছে আপনার মেয়েকে। বেশ মজা করে মেয়ের জন্মদিন উদযাপন করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনার মেয়েকে দেখে বোঝা যাচ্ছে সে ভীষণ আনন্দিত।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম আপু এমন কেন কিছু বিষয় আছে যেগুলো বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য করা হয় যদিও ইচ্ছে থাকে না।
https://x.com/nahar_hera/status/1822975288713887870?t=PgzGCswZCdbStxYQ6htHXA&s=19
আমার কাছে মনে হয় আপু ছেলে মেয়ে উভয়ই সমান। যাইহোক, প্রথমে আপনার মেয়েকে অনেক অনেক জন্মদিনের শুভেচ্ছা আপু। আর মেয়ের লাল জামা কেনার ইচ্ছে পূরণ হলো না, এটা জেনে একটু খারাপ লাগলো। তবে কেকটা তো লাল হয়েছে, আশা করি এটা পেয়েও আপনার মেয়ে খুশি হয়েছে। হা হা হা...আসলে সবাই মিলে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, এত সুন্দর একটা আনন্দঘন দিনে, এটাই সব থেকে বড় কথা।
একদম ঠিক বলছেন দাদা মেয়ে তো লাল কেক পেয়ে বেশ খুশি হয়েছিল।
প্রথমে মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইলো আপু- শুভ জন্মদিন। আপনার মেয়ে যেন মানবিক মানুষ হয়ে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। মেয়ের জন্মদিনে সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। জন্মদিনের কেক দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
যদিও কোন প্ল্যান ছিল না আমাদের কিন্তু মেয়েকে খুশি করার জন্য এই ব্যবস্থা করা।
আসলেই বেশ সত্য এবং দারুণ কিছু লেখা লিখেছেন আপু। ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন, সন্তান হচ্ছে সম্পদ- এই বুঝ টুকু উপরওয়ালা সকলকে দান করুক। রাইদা মনির জন্মদিন এ অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আমার পক্ষ থেকে। দোয়া করি যেন খুব ভালো মনের মানুষ হয় ❤️
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামত পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো।
প্রথমে আপনার মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইলো আপু। রাইদার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক দোয়া ও ভালবাসা রইল। আপনারা সবাই মিলে কেক কেটে খুব সুন্দরভাবে রাইদা মামনির জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। মেয়েকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেয়ে অনেক খুশি এবং আনন্দিত। সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।