লাইফস্টাইলঃ-পরিবারের সবাই আল-গণি রেস্টুরেন্টে একদিন।
প্রিয় পরিবারের,
সকল সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম? আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই-বোনদেরকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আমি আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের সাথে যুক্ত থাকার। কারণ এখানে যুক্ত থেকে সবার সাথে নিজের অনুভূতিগুলো শেয়ার করে যতটা শান্তি পাই অন্য কোথাও তেমন শান্তি পাই না। তাই সব সময় চেষ্টা করি এমন সুন্দর প্রাণ প্রিয় জায়গায় বারবার ফিরে আসতে নতুন উদ্যোগে নতুন উদ্যমে। তাই আমি আজকে আবার উপস্থিত হয়েছি নিজের ভালো লাগার কিছু অনুভূতি নিয়ে।
আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পরিবারের সবাইকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার একটি মুহূর্ত। প্রায় সময় চেষ্টা করি পরিবারকে নিয়ে বাইরে ঘোরাঘুরি করার। যখন কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে আসে তখন বের হয়ে পড়ি বাচ্চাদেরকে নিয়ে। তাছাড়াও বিশেষ কোন মুহূর্তে আমরা বের হয়ে যাই বাইরে ঘুরতে এবং খাওয়া-দাওয়া করতে। যদিও সব সময় নয় কিন্তু কিছু কোয়ালিটি টাইম কাটাতে অনেক বেশি পছন্দ করি। কিছুদিন আগে চলে গেছিলাম সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে। আমাদের কক্সবাজার শহরে আল-গণি রেস্টুরেন্টের তিন চারটি শাখা রয়েছে। বর্তমান সময়ে কলাতলী রোডের আলগণির শাখার জন প্রিয়তা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যেহেতু কলাতলীর দিকে ট্যুরিস্টদের আগমন অনেক বেশি।
যখন কোন ভালো মানের রেস্টুরেন্টে খেতে মন চায় তখন বিশেষ করে কক্সবাজারের নাম করা আলগণি বা জামান হোটেল চলে আসেন অনেকেই। এক সময় সেরা ছিল এই রেস্টুরেন্ট গুলো। যদিও বদর মোকাম সড়কে আল-গণির তিনটি শাখা রয়েছে। প্রতিটি শাখা বেশ জনপ্রিয় সবার কাছে। কিছুদিন আগে যখন কলাতলী এ্যামব্রেলা শোরুমে যাই তখন আমি আল-গণি রেস্টুরেন্টের শাখা দেখতে পাই। তাছাড়াও আমার এক আংকেল বলছিলেন উনি সেখানে চাকরি করেন আল গণি কলাতলীর শাখায়। তখন আমি চিন্তা করলাম একদিন রেস্টুরেন্টে যেতে হবে। আসলে সময় করে যাওয়া যায় না যখন দুপুর টাইম থাকে তখন আমার হাজবেন্ডের অফিস টাইম থাকে। যখন একটি নিরিবিলি পরিবেশে বসে খাওয়া-দাওয়া করবো তখন একটু সময়ের দরকার হয়।
কিছুদিন আগে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তখন আমাকে বলছিল রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করবে। তো আমাদেরকে জিজ্ঞেস করছিল আমরা কোথায় যাবো। তখন আমরা এক বাক্যে বলে দিয়েছিলাম আমরা আল-গণি রেস্টুরেন্টে যেয়ে খাওয়া দাওয়া করবো। বাচ্চারা অনেক বেশি এক্সাইটেড ছিল যেহেতু তারা নতুন একটি রেস্টুরেন্টে যাবে। তাই আমরা রাত 9 টার দিকে রেডি হয়ে চলে গেলাম আল-গণি রেস্টুরেন্টের দিকে। যাওয়ার পরে দেখি অবাক কান্ড! এত ভিড় রাত 9 টায় বলে বোঝাতে পারবো না। যেহেতু সবাই ডিনার করতে আসলো সিট পাচ্ছিলাম না বসার জন্য।
বেশ সুন্দর করে রাস্তার পাশের কর্নারে সোফা গুলো সাজানো ছিল। আমি চিন্তা করলাম যে রাস্তার সাইডে করে বসবো। গ্লাস দিয়ে ডেকোরেশন করা হয়েছে বাইরের সাইডের পরিবেশ খুব সুন্দর করে দেখা যাচ্ছিল। এদিক ওদিক তাকাতে বুঝতে পারলাম একটি জায়গা খালি হবে। তখন ওয়েটারকে বলে দিলাম যে সেই সিট আমাদের জন্য রেখে দেওয়ার জন্য। যখন সিট খালি হয়ে যায় তখন আমি বাচ্চাদেরকে পাঠিয়ে দিলাম বসার জন্য। আমরাও বসে পড়লাম সেখানে। বেশ ভালো লাগলো যদিও লোকজন অনেক বেশি ছিল।
সাথে সাথে আমরা খাবার অর্ডার করে দিলাম যেহেতু রাতে খেয়ে আবার চলে আসতে হবে। সবচেয়ে বাচ্চারা বেশি চিকেন বিরানিটা পছন্দ করেন। আমারও বেশ ভালো লাগে চিকেন বিরিয়ানি। তাছাড়া বাচ্চার বাবা মাটন বিরিয়ানি খাবে তাই মাটন বিরিয়ানি নিলো। আর আমরা মা মেয়ে তিনজনে মিলে চিকেন বিরিয়ানি নিলাম। সাথে আমরা লইট্টা ফিশ ফ্রাই অর্ডার করলাম। তাছাড়া ও মুরগির মাংস অর্ডার করলাম। যেহেতু বিরিয়ানির মধ্যে সব আইটেম থাকে খেতে মন চাইলে নেয়া যায়। না হয় নেওয়ার কোন দরকার হয় না। যেহেতু আমি রাতের খাওয়া দাওয়া কম করি কিন্তু সেই দিন বেশ ভালো খাওয়া দাওয়া করলাম।
প্রতিটি খাবার এতই ভালো লাগলো খুব তৃপ্তি নিয়ে খাওয়া-দাওয়া গুলো করলাম। আমরা অর্ডার দেওয়ার পরেই বেশি টাইম করে নাই দশ মিনিটের মধ্যে খাবার গুলো চলে আসলো। খাওয়া দাওয়া করে তাদেরকে পেমেন্ট গুলো দিয়ে দিলাম আমরা। আরো কিছুক্ষন বসে এদিক ওদিক দেখলাম। যখন রাত আরো বাড়ছিল লোকজন আরো বেশি বাড়তেছিল। সবাই যার যার মত খেয়ে চলে যাচ্ছে আসতেছে। কলাতলীতে হওয়ার কারণে রেস্টুরেন্টের কদর অনেক বেশি বেড়ে গেল। তো সেদিন খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম।
সেখান থেকে আমি কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করেছি। এছাড়াও নিচের ফ্লোরে খুব সুন্দর ডেকোরেশন করা ছিল। সেখানে এসে সোফাতে আরও কিছুক্ষণ বসলাম। বসার পরেই যেহেতু রাত বেড়ে যাচ্ছে তাই সবাই মিলে কয়েকটা ফটো নিয়ে বাসায় ফিরে আসি। যেহেতু এই রেস্টুরেন্ট থেকে আমাদের বাসায় আসতে বেশি সময় লাগে না দশ মিনিটের মত লাগে। খাবার গুলো অনেক ভালো লাগছিল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগ ভিজিট করলেন।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | আল-গণি রেস্টুরেন্ট- কলাতলী শাখা |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#qualitytime-withfamily #eatingfood #lifestyle #amarbanglablog #steemit #steemexclusive #algoni-restaurant
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। আপনাদের বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে আল গণি রেস্টুরেন্টে ডিনার করার বেশ সুন্দর অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন। তবে এটা জেনে অবাক হলাম যে খাবার অর্ডার করার মাত্র 10 মিনিটের মধ্যেই আপনাদেরকে সেগুলো সার্ভ করেছিল। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এগুলো বেশ টেস্টি এবং হেলদি। বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আপনাদের ভবিষ্যৎ জীবন এবং দাম্পত্য জীবন সুখের হোক এটাই কামনা করছি।
খাওয়া-দাওয়া গুলো খুবই মজার ছিল। তাছাড়া সময় টিও অসাধারণ ছিল।
আগে বলবেন তো আপু। তাহলে আমি দৌড়ে চলে আসতাম কক্সবাজার। আর আপনার বিবাহ বার্ষিকী উদযাপন করতাম। মাঝে মাঝে মনে করি আমি কক্সবাজারে গিয়ে একটি বাড়ি তৈরি করে। আর জীবনের বাকীটা সময় সেখানেই কাটিয়ে দেই। হি হি হি। বেশ দারুন লাগলো আপু। যেমন আপনার পোস্ট, তেমন ফটোগ্রাফি। আর সেই সাথে এত লোভনীয় খাবার।
ঘর করতে হবে না আপু আমার বাসায় চলে আসেন।
https://x.com/nahar_hera/status/1793930031611408516?t=GyhRR48ZmH-1WVm6wTrNDQ&s=19
প্রথমেই আপনাদের বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাই।
বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে বেশ চমৎকার একটি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন। পুরো রেস্টুরেন্ট অনেক চমৎকার দেখতে এবং সাজানো গোছানো পরিবেশ। আর খাবারগুলো ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে। আর পুরো পরিবারের সবাই বেশ চমৎকার উপভোগ করেছেন দেখলাম। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি উপহার দেয়ার জন্য।
অনেক ভালো লাগলো খুব সুন্দর ভাবে অনুপ্রাণিত করলেন আপনি সাবলীল ভাষায়।
আসলে আপু আমাদের মাঝে মধ্যে মনে হয় একটু রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসে এবং সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করে আসি। সত্যি আপু, আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনাদের ওখানে নতুন রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে তাতে বাচ্চাদের বলাটাই তারা অনেক এক্সাইটেড আসলে তারা অনেক খুশি হয়েছে। তাই রাত নয়টার সময় বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লেন গিয়ে দেখলেন রাত ৯ টা বাজে তবুও সেখানে অনেক ভিড়। আসলে রেস্টুরেন্টটা হচ্ছে সুন্দর একটা পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং খাবারের স্বাদের উপরে নির্ভর করে। যাইহোক সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকটি খাবার অর্ডার দিলেন এবং খেয়ে বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত উপভোগ করলেন। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
যে রেস্টুরেন্ট দেখতে সুন্দর খাবারের মান ভালো সেখানে সবাই ভিড় জমাই।
পরিবার নিয়ে এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মাঝে মাঝে কোথাও গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপু আপনার পরিবারের সবার জন্যই অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিক বলছেন আপু মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরে আসতে অনেক ভালো লাগে।
কক্সবাজারের নামকরা একটা রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন সেখানে। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা আসলেই খুব সুন্দর। বিশেষ করে গ্লাসের বাইরে রাস্তার ভিউ টা বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। দারুন খাওয়া দাওয়া করেছেন সবাই মিলে। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভনীয় লাগছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালো লাগছিলো আপু খাবার গুলো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপু সব কিছু বুঝলাম,পরিবারের সবাই আল-গণি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। তবে আল-গণি রেস্টুরেন্টের নামে নিচে স্মার্ট চাই,আমি সিংগেল এগুলো লেখা কেন..? এগুলোর কারন কি...সেখানে গেলে আবার পাত্রী পাবো না কি,হে হে হে। ধন্যবাদ।
এখানে এগুলো নিয়ে যার যেভাবেই হাতে নিয়ে পিকচার নিতে পারেন সেজন্য আপনাদের সুবিধা করে দিছে হি হি হি।