সীতাকুণ্ড, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে একদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২৮শে ডিসেম্বর, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করেছিলাম কয়েকদিন আগে আমি ট্যুরে গিয়েছিলাম, সেখানকার কিছু ঘটনা আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
যাইহোক কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে টুর থেকে ফিরে আসার একটা অভিজ্ঞতা বেঁচে ফিরলাম 😁 শেয়ার করেছিলাম, এবং যাত্রাপথের একটা পোস্ট চন্দ্রনাথ পাহাড়,সীতাকুণ্ড যাওয়া আপনাদের কাছে শেয়ার করেছিলাম, আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পাহাড়ে ওঠার সেই ঘটনাগুলো।
পূর্বের পোস্টে যেখানে শেষ করেছিলাম সেখান থেকেই শুরু করলাম, ভোর হওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করে দিলাম।
এখনো আমরা পাহাড়ের সিঁড়িগুলো পাইনি সবেমাত্র আমাদের রাস্তা উপর দিকে উঠে শুরু করেছে, মনে খুবই এনার্জি কিন্তু এরকম ১০ মিনিট হাঁটার পর বুঝতে পারলাম এটা অতটা সহজ কাজ নয়।
আধাঘন্টার মধ্যেই আমরা বুঝতে পারছি জায়গায় জায়গায় ব্রেক না নিলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে যাব। বুঝতেই পারছেন এটা কতটা কঠিন বিষয়, আমাদেরকে এখানে সারাদিন থাকতে হবে অথচ কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি।
খানিকটা সিঁড়ি চড়ার মতো আপনি একটানা কয় তলা উঠতে পারবেন কিছু সময় পর পর আপনাকে বিরতি নিতে হবে তা না হলে আপনি ক্লান্ত হয়ে যাবেন।
আমরাও ফাঁকে ফাঁকে ফটোগ্রাফি করে নিচ্ছি, ফটোগ্রাফির জন্য আমার ফোনটাই নির্বাচন করা হলো, যত ধরনের ব্লগিং ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি আমার ফোনে করা হয়েছে কিছু ভিডিও আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব পরবর্তী সময়।
ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কত সরু সরু রাস্তা, এটা তো সবে মাত্র শুরু প্রথম দিকের ছবি হলো এগুলো, পরবর্তী আরও অনেক জটিল পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের পড়তে হয়েছিল।
যাইহোক তখন ১১ টা বাজে, আমরা অলমোস্ট ৫ ঘন্টা পাহাড়ে ওঠার পর একটা স্থানে এসে কিছু সময় ফটোগ্রাফির জন্য দাঁড়িয়েছিলাম।
আপনার বিশ্রাম নেয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় রয়েছে বসার জায়গা এবং কিছুক্ষণ পরপর পাহাড়ের মধ্যেই দোকান রয়েছে আপনি চাইলেই কিছুক্ষণ পরপর এটা ওটা খেতে পারবেন।
মনে মনে ভাবছিলাম এই মানুষগুলো প্রতিদিন এত উঁচুতে উঠে মাত্র শুধু ব্যবসা করার জন্য, তারা ছিলো বলেই হয়তো আমরা পাহাড়ের মধ্যে অনেক কিছু খেতে পেরেছি এবং মজা করতে পেরেছি।
দোকানের পাশে চমৎকার একটা জায়গা আমরা সেখানে কিছুক্ষণ বসলাম, চা খেলাম ফটোগ্রাফির করলাম। আমাদের ক্লাবের প্রাক্তন ভিপি হাহাহা, মজার একটা মানুষ আমার সাথে খুবই ফ্রেন্ডলি কি বুঝে পোজ দিতে গিয়ে পা উপরে উঠিয়ে দিয়েছে সেটা উনি ভালো বলতে পারে।
আপনার শুধু চিন্তা করুন তখন বেলা ১০ কি ১১ টা তখনো উপরে কত কুয়াশা জমে আছে, কুয়াশার কারণে অনেক কিছুই দেখা যাচ্ছে না কুয়াশার এই দৃশ্য গুলো উপভোগ করার জন্য আমরা ভোরবেলায় রওনা দিয়েছিলাম, এমন অনেক দৃশ্য চোখে বোঝা গেলেও ক্যামেরা তে বোঝা যাচ্ছিল না তাই অনেক কিছুই আপনাদেরকে দেখাইতে পারলাম না।
অনেক কিছুই ক্যামেরাতে বোঝা যায় না সেগুলো শুধুমাত্র নিজে সামনে থেকে উপভোগ করতে হয়।
এই পাহাড়ে প্রত্যেকটা জায়গায় কিছুক্ষণ পর পর আমরা মন্দিরের উপস্থিতি পেয়েছি, ছোট-বড় অনেকগুলো মন্দির রয়েছে এই পাহাড়ের মধ্যে। যেই মন্দিরের সামনে ছবি গুলো দেখেছেন এখানে কিছুটা সমতল জায়গা রয়েছে আমরা এখানে খানিকটা সময় কাটালাম এবং নিজেরা অনেক মজা করলাম।
বলেছিলাম না আমাদের ভিপি মজার একটা মানুষ ছিল, এ সব সময় আমাদেরকে মাতিয়ে রাখার চেষ্টা করছে, কখনো বন্ধু কে ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করছে, কখন টারজানের মতো গাছের মধ্যে ঝোলাঝুলি শুরু করছে।😆😁😁
পাহাড়ের মধ্যে এখনো কিছু কাশফুল রয়েছেন দেখে খানিকটা অবাক লাগলো, ইচ্ছে করেই ক্যামেরা নিয়ে যায়নি কারণ জানি আমি সবার ছবি তুলে দিলাম আমার ছবি তুলে দেয়ার মানুষ নেই, এখন মনে হচ্ছে আমি প্রাকৃতিক অনেক দৃশ্যেই মিস করে ফেলেছি ছবি তুলতে যদি ক্যামেরা নিয়ে আসতাম এগুলো কিছু ফ্রেমবন্দি করতে পারতাম।
এরপর হঠাৎ আমরা আবার পাহাড়ের মধ্যে খানিকটা সমতল জায়গা পেলাম, এখানে দেখলাম বিভিন্ন ফল পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কয়েকটি পাহাড়ি পেঁপে খেলাম, আরো খেলাম শসা, গাজর।
মাঝখানে ফেসবুকে অনেক শুনেছিলাম লেবু পিনিক নামে একটা খাবার, সেটাও অর্ডার করলাম প্রথমে ভেবেছিলাম খেতে পারব না, তারপর দেখলাম সেটাই সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, যাইহোক এখানে খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম।
পোস্ট এর ধরন | ট্রাভেলিং |
---|---|
ডিভাইস | Xiaomi Redmi Note 10 Pro Max |
লোকেশন | https://w3w.co/hurdling.takeout.refuges |
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
পাহাড়ে ওঠা সত্যিই বেশ কষ্টকর। আমি দুই তিন বার পাহাড়ে উঠেছি পুরুলিয়া গিয়ে এইজন্য আমি বুঝতে পারি যে আসলে কতটা কষ্ট হয়। তবে এই কষ্টের পরিমাণ কিছুটা কমানো সম্ভব যদি আপনি নিয়মিত দৌড়াদৌড়ি বা খেলাধুলা করেন তাহলে। আর সব থেকে ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। পোস্টটা যেমন সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন তেমনি ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত হয়েছে।
আসলে আমরা শহরের মানুষ খুব একটা হাঁটাচলা করা হয় না যতটুকু সম্ভব শুয়ে বসেই কাজ করা হয়, হঠাৎ করে হলেও আমি দৌড়ঝাঁপ করতে পারি সহজে হাঁপিয়ে উঠি না, সবকিছুর মধ্যেও খুব ইনজয় করেছি দিনটি।
সেখানে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। আমার কখনো সীতাকুণ্ড যাওয়া হয়নি।কিন্তু আপনাদের দেখে খুব যেত ইচ্ছে করছে।ভাবছি একদিন গিয়ে আসবো।আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
কয়েকজন ক্লোজ বন্ধু বান্ধব একত্রে হয়ে হঠাৎ করেই চলে যেতে পারেন, অনলাইন কম্পিউটার ফোন ইত্যাদি থেকে খানিকটা দূরে প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।
সীতাকুণ্ড, চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমি অনেকবার গিয়েছি তবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের এত উপরে ওঠিনি। আমি শেষ ঝরনা পর্যন্ত উঠেছি, তবে দুটি কারণে উপরে উঠেনি। এক হচ্ছে সেখানে ছিনতাইকারীর ভয় রয়েছে। আর দ্বিতীয় হলো এতদূর এত কষ্ট করে ওঠার প্রয়োজন মনে করিনি। আপনারাও অনেক লোকজন একসাথে গিয়েছেন, তাই চিন্তাই এর কোন ভয় নেই। তবে এটা ঠিক প্রথমে বোঝা যায় অনেক দূর হেঁটে যাবো কিন্তু একটু হাঁটলেই বোঝা যায় যে ক্লান্ত হয়ে গেছি আর সম্ভব না। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ছিনতাই হবে এরকম কিছু হতে পারে এটা আমাদের মাথাতেই ছিল না, এখন ভাবছি ওই পরিবেশ যদি আমাদের কে আটকানো হত তাহলে বিষয়টা খুব মারাত্মক হয়ে যেত । যাই হোক আমরা অনেক মানুষ ছিলাম সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমরা সহীহ সালামত ফেরত আসতে পেরেছি এটাই ভালো।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই উপর আল্লার রহমতে ঠিকঠাক ফিরে এসেছেন। ওইখানে বেশিরভাগই ছিনতাই হয়।