চন্দ্রনাথ পাহাড়,সীতাকুণ্ড যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
২১শে ডিসেম্বর, বুধবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।ভার্সিটি জীবনের চমৎকার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে তুলে ধরবো, ট্যুরে যাওয়া বেশ ভালো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
অনেক কষ্টের পর দিনক্ষণ ঠিক হলো এবং আস্তে আস্তে আমাদের ট্যুরে যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসল, প্রথমে কথা ছিল আমরা ট্রেনে করে যাব কিন্তু বিভিন্ন কারণে আর সেটা বাস্তবায়ন করা হলো না, আমরা হাইস গাড়ি ভাড়া করলাম, আরামসে ১২ চলে যাব চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে। আমাদের গাড়িটি বাড্ডা থেকে ছাড়বে, রাত বাজে তখন ৯ টা মোটামুটি সবারই ছুটি পেয়ে বাড়িতে যাচ্ছে। গিটার কাহন ইত্যাদি নিয়ে বাসে উঠতে খুবই কষ্ট হয়েছে। সিএনজি ও পাচ্ছিলাম না তাই কষ্ট করে বাসে করেই বাড্ডা গেলাম।
যদিও গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল ১০:৩০ মিনিটে কিন্তু জ্যামের কারণে সবার আসতে আসতে বেশ রাত হয়ে যায়। আমরাও বেশ গল্প-টল্প করতে করতে রাত কয়টায় বের হয়েছি ঠিক মনে নেই তবে সাড়ে এগারোটা বারোটার দিকে হয়তো বের হয়েছি।
আমাদের ভার্সিটির অনেক সিনিয়র একজন বড় ভাই, বেশ অনেক বছর আগে ভার্সিটি থেকে বের হয়েছে কিন্তু যেকোনো অনুষ্ঠান কিংবা পার্টিতে আমরা তাকে খুব কাছে থেকেই পাই । এখনো তার ভার্সিটি লাইফ ইনজয় করার জন্যই মূলত আমাদের কাছে আসেন যেকোনো সময়, রাতে সম্ভবত কুমিল্লায় কোন একটা রেস্তোরাঁতে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম রাতের খাবারের জন্য।
খুব বেশি একটা খাওয়া-দাওয়া করা হয়নি কারণ আমরা বাসা থেকে একটু আকটু খাওয়া-দাওয়া করেই বের হয়েছি যেহেতু বেশ রাতে রওনা দিয়েছি তবুও হালকা-পাতলা নাস্তা করে নিলাম বেশ খানিকটা পথ আমাদের পাড়ি দিতে হবে।
সকলের সৃতি রাখতে রাখতে আমারই ছবি তোলা হয়নি, বামপাশের ভাইটি আমাদের ডান পাশের এই বড় ভাইয়ের অনেক বড় ভক্ত, আসলে অনেক মজার মানুষ তার সাথে সব সময় ছবিতে থাকতে চায় এর বিশেষ কারণ কী তা জানিনা ।
একটা জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছি কিন্তু এরকম একটা দুর্ঘটনা চোখের সামনে দেখবো থাকতে পারেনি, জাস্ট আমাদের সামনে একটা ট্রাক ছিল অতিরিক্ত জিনিস লোড করার কারণে ব্যালেন্স রাখতে না পেরে রাস্তার মধ্যে পড়ে যায়।
অবশেষে আমরা সম্ভবত রাত সাড়ে চারটার সময় সীতাকুন্ড এলাকা তে পৌঁছায়, আমরা মূলত একটা পম্পি স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, সেখান থেকে আমরা আমাদের গাড়িটা কে ছেড়ে দিব সকাল হলেই আমরা চায়ের বিরতি এবং আড্ডা দিচ্ছিলাম।
ড্রাইভার এবং বড় ভাই দিয়েছে ঘুম, আমরা সবাই বাইরে ইনজয় করছি আর তারা দুজন ঘুমাচ্ছে। ড্রাইভার এর কথা ঠিক আছে কিন্তু বড় ভাই ঘুমাচ্ছে তাকে তো ঘুম থেকে তোলা সম্ভব না তাই ছবি তুলে রাখলাম।
খানিকটা পথ আমাদের হাঁটতে হলো এখানে নাস্তা করার জন্য অনেক ছোট ছোট দোকান ছিল, ওই যে রাতের অন্ধকারে দোকান টা দেখছেন এটাই এই পাহাড়ের শেষ দোকান এরপর থেকে পাহাড়ি রাস্তা শুরু হবে। আমরা রাতের কিছুটা সময় এখানে ছিলাম এবং সকালে নাস্তা করে নিলাম।
রাতের অন্ধকারে এই জায়গাটায় আমরা কিছুক্ষণ গান-বাজনা করলাম, একটু আলো যখন আসলো তখন ফটোশুট চলল কিছুক্ষন, তারপর আমরা সবাই ড্রেস চেন্জ করলাম ও নাস্তা শেষ করলাম এবং আস্তে আস্তে আমরা পাহাড়ে উঠার জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাই রে ভাই সবচেয়ে প্রিয় জায়গার নাম হলো চন্রনাথ পাহাড় সীতা কুন্ড৷ আমার ও স্বপ্ন কোনো একদিন যাবো ৷ ভার্সিটির সবাই মিলে বাসে করে যাওয়া সত্যি চমৎকার ভাই ৷ আসলে ভ্রমন মানেই তো আনন্দ ৷ যাওয়ার মূহুর্ত টা সত্যি অনেক ভালো ছিল ৷ এবার দেখবো সেখানে কাটানোর মুহূর্তের আলোকচিত্র কী বলেন ভাই ৷ ঠিক বলছি তো ৷ আরও ভালো কিছু দেখতে চলেছি ৷
আমরা বাস দিয়ে যায়নি আমাদের হাইস গাড়ি ছিল, ভার্সিটির বড় ভাইদের সাথে গিয়েছি খুবই আনন্দ করেছি, সময়ের অভাবের পরবর্তী পার্ট গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হচ্ছে না, তো খুব শীঘ্রই পেয়ে যাবেন।
আপনি তো দেখছি বন্ধুদের নিয়ে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। কুমিল্লায় কোন একটা রেস্তোরাঁতে দাঁড়িয়েছিলাম রাতের খাবারের জন্য।একটি ট্রাক অতিরিক্ত মাল বহনের জন্য পড়ে গিয়েছে, আসলে অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ। আপনারা গান বাজনা করে অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মূহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপনি তো দেখছি আমার পোস্ট সম্পূর্ণটাই পড়েছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরাও এরকম একটা ট্যুর প্ল্যান করে রাখছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় বন্ধুরা ছুটিই পাচ্ছে না।স্টুডেন্ট লাইফ টা শেষ হলে এমনই হয়। আপনাদের দেখে ভাল লাগছে ভাই।অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন সবাই মিলে।সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আমরা যত কিছু প্ল্যান করেছি সেগুলো কখনো হয়নি, এটা হুট করে দুই দিনের মধ্যে আমরা প্লান করে বাস্তবায়ন করে ফেলেছি তাই হয়তো হয়ে গেছে।