মরণ পুকুর
আসসালামু আলাইকুম
আমি @sajjadsohan from 🇧🇩.
১৩ই জানুয়ারি, শুক্রবার।
আ মার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।অনেকদিন ধরেই মাথায় একটা গল্প ঘুরপাক খাচ্ছে, একটা ভৌতিক গল্প নিজের মতো করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব আশা করি ভালো লাগবে।
সে এক বহু কাল আগের কথা, যুদ্ধেরও ২০ বছর আগে, গায়ের পথ ধরে প্রাইমারি স্কুল টা থেকে উত্তর দিকে কয়েক গজ হেঁটে গেলেই দত্ত বাড়ি। পূর্বপুরুষের বেশ অনেকখানি জমি ছিল তাদের। সুনীল দত্ত নিহাইতেই অলস মানুষ তা না হলে কি পূর্বপুরুষের এত এত সম্পদ বিক্রি করে দেয়? একসময় পূর্বপুরুষের নাম ডাক ছিল তখন পূর্বপুরুষ অনেক সম্পদ তৈরি করেছে সুনীল দত্ত একটা একটা করে বিক্রি করছে এবং পায়ের উপর পা তুলে খাচ্ছে।
তারই ছেলে আশিস দত্ত , সে কিন্তু অন্য একটা বাড়িতে মাসিক টাকায় কাজ করে দেয়, বাবার এরকম সম্পদ বিক্রি করে দেয়া কখনোই ছেলের পছন্দ ছিল না, কারণ বাবার পরে উত্তরাধিকারী সূত্রে সম্পদ গুলো তারই হওয়ার কথা দুটো বোন রয়েছে তাদের বিয়ে হলেই আশিস দত্ত তার মাথা থেকে বোঝা নামে।
সুনীল দত্ত কিছুদিন আগেও একটা চাষের জমি বিক্রি করে দিয়েছে, সেই টাকা রেখেছে আরো কিছু টাকা জমিয়েছে তার মাথায় প্লান ছিল অন্য কিছু।
গ্রামের মোড়ল গ্রামে তার নাম ডাক অনেক, মানুষের জমি কিনা তার নেশা জমি কিনতে না পারলে তার ভালো লাগেনা। হঠাৎ করেই সুনীল দত্তের ভিটে বাড়ির দিকে তার একটা কুনজর চলে আসে। সে সরাসরি সুনীল দত্তের কাছে একটা প্রস্তাব দেয়, কি মিয়া কিছুদিন আগেও তো একটা জমি বিক্রি করলা, তো তোমার এই বাড়িটা আমার নামে লিখে দাও, বদলে আমার বাড়ির পাশের খানিকটা ফাঁকা জায়গা তোমার নামে লিখে দেবো আর ক্যাশ টাকাও দিলাম কি কও মিয়া?
সুনীল দত্ত ভুরু কুঁচকে সাফ সাফ না করে দিল, মিয়া ভাই এটা আপনি কি করলেন? বাপ দাদার ভিটাবাড়ি এটা কি বিক্রি করা যায়? এহন হাতে কিছু টাকা পয়সা আছে মেয়েদের বিয়ে দিতে হবেনি তাই ভাবতেছি বাড়িটা একটু পাকা করব। এই জমি মিয়া ভাই আমি বেচবো না।
মোড়ল তো রেগে মেগে আগুন, তুই মোড়লকে না করিস, চাইলেই তোর জমি নিয়ে নিতে পারতাম ভালো টাকা পেয়েতি, মনে মনে ভাবতে ভাবতে মোড়ল বাড়ির দিকে চলে গেল। কিন্তু মোড়ল কোনভাবেই লোভ সামলাতে পারছিল না এবং সামনে থেকে একটা মানুষ তাকে না করে দিল এটা তার সম্মানে গিয়ে লেগেছে।
গ্রামের মোড়ল সে চায়না কোন মারামারি কিংবা খুন খারাবা করতে, সুনীল দত্তের ছেলে তার বাড়িতেই কাজ করতেন, তার ছেলেকেই তিনি সরাসরি বলল তোর বাবাকে বল জমিটা আমাকে লিখে দিতে ভালো দাম দিব আমি।
সুনীল দত্তের ছেলে অর্থাৎ মোড়লের বাড়ির চাকর মুখের উপর না করে দিল কি বলেন কর্তা এ জমি বিক্রি করা যাবে না।
চাকরের মুখে এমন কথা শুনে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো তিনি, তার লোভ সামলাতে না পেরে সে এক তান্ত্রিকের কাছে গেল তারই পাশের এলাকার একজন, তান্ত্রিক কে সবকিছু খুলে বলল।
তান্ত্রিক রাজি হয়ে গেল সে এই কাজটা করতে পারবে, শুধুমাত্র দত্ত বাড়ির একটা মানুষকে এখানে নিয়ে আসতে হবে। কথাটা শুনে তিনি খুবই খুশি হলেন তার চোখে লোভের অগ্নিশিখা জ্বলজ্বল করছে।
আমি সাজ্জাদ সোহান
আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একজন শিক্ষার্থী। আমি ঢাকাতে বসবাস করি। আমি ট্রাভেল করতে অনেক ভালোবাসি, এছাড়া অবসর সময়ে মুভি দেখি, ফটোগ্রাফি করি, গান করি। আমি একটু চাপা স্বভাবের তাই কম কথা বলি কিন্তু আমি একজন ভালো শ্রোতা। ভালোবাসি নতুন জিনিস শিখতে, মানুষকে ভালবাসি তাই মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মোড়লের তো দেখছি অনেক জমি কেনার আশা৷ যে সুনীল দত্ত এর বাড়ির ভিটে কিনবে ৷ যা হোক দেখা যাক তান্ত্রিক কি করে ৷ সত্যি বলতে গ্রামে এখনো কিছু তান্ত্রিক আছে ৷ পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ৷
খুব ভালো লাগলো আপনার আমার গল্প পড়েছেন এবং পরবর্তী পার্ট চেয়েছেন এতে করে আমার আগ্রহ বৃদ্ধি পেল, আমি অবশ্যই এই গল্পের শেষ টুকু নিয়ে আসবো।
আপনার এই গল্পের দৃশ্যটা আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুই বিঘা জমি কবিতা সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। যখন আমি এই গল্পটি পড়ছিলাম তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সেই কবিতার কথা মনে পড়ছিল। আমি মনে মনে হয়তো ভাবছিলাম দুই বিঘে কবিতায় শেষের দিকে যেমনটা হয়েছিল এটাও মনে হয় তেমনটাই হবে কিন্তু না আপনি পুরো ব্যাপারটা উল্টিয়ে দিলেন। আসলেই সমাজে এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বিত্তশালী মানুষেরা সব সময়ই জোর করে অন্যদের থেকে জমি ছিনিয়ে নেয়, এই কাজটা আগে অনেক বেশি হত এখনো হয় তবে অনেকটাই কমে গেছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ভাই।
হাহাহা হুম খানিকটা এরকম অর্থাৎ দুটোর মধ্যে মিল রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিষয়, তবে আমার এই গল্পটা রোমাঞ্চকর একটু ভৌতিক দিকের দিকে নিয়ে যাব আমি আশা করি পরবর্তী পার্ট আপনারা পড়বেন।
গল্পটা বেশ ভালই লিখেছেন তবে গ্রামের এমন অনেক জমিদার ছিল যারা খুব লোভী ছিলেন তাদের একমাত্র নজর ছিল মানুষের সুন্দর সুন্দর ভিটে বাড়ির দিকে।আপনি অনেক পুরনো একটি গল্প শেয়ার করেছেন আসলে তখনকার এমন অনেক মানুষ ছিল যারা মানুষের ভিটে বাড়ি দখল করার লোভে যে কোন খুন খারাপি করতে ও তোয়াক্কা করত না।তবে পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
অবশ্যই খুব শীঘ্রের মধ্যে আপনারা এর পরবর্তী পার্ট পেয়ে যাবেন, গল্পের অডিয়েন্স পেলে অবশ্যই গল্প লেখার ইচ্ছে থাকে।
গল্পটা সত্যিই খুব দুর্দান্ত ছিল, আমি তো পুরো গল্পটাই খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছি। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে মোড়ল সুনীল দত্তের উপর কি রকম অ্যাকশন নেয়। আসলে গল্প যদি এরকম ইন্টারেস্টিং হয় তাহলে পড়তেও খুব ভালো লাগে।
আশা করি আমার গল্পের মধ্যে ইন্টারেস্ট একশন সবকিছুই পাবেন, পুরো গল্পেরই মোর ঘুরে যাবে পরবর্তী পর্বে আশা করি আপনারা আমার সাথে থাকবেন।
অবশ্যই থাকবো.. তবে পারলে একটা ম্যানশন দিয়েন। আমি আসলে এত ব্যাস্ত থাকি যে ভুলে যাই অনেক কিছু।
অবশ্যই কেন নয়, আমি আপনাকে মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। আপনাদের থাকার কারণেই হয়তো গল্পগুলো লেখার ইচ্ছে জাগে বা উৎসাহ পাচ্ছি।
@rupaie22 দাদা এর পরবর্তী পর্ব নিয়ে এসেছি যদি সময় হয় দেখে আসতে পারেন। মরণ পুকুর (দ্বিতীয় পর্ব)
আমি অবশ্যই পড়বো সময় বের করে😊