শুক্রবার এর সন্ধ্যেবেলায় একটু ঘোরাঘুরি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
শুক্রবার মানেই ছুটির দিন। যদিও খুব ব্যস্ততার মাঝে দিনগুলো কাটছে। শুক্রবারেও ব্যস্ত ছিলাম। সকালে একটু কাজ ছিল তাই বেরিয়েছিলাম। কিন্তু দুপুর গড়াতে গড়াতেই ফিরে এসেছিলাম বাড়িতে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিকালটা শুয়ে শুয়ে রেস্ট নিচ্ছিলাম। ফোন চাপতে চাপতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি। সন্ধ্যায় ঘুম ভাঙলো আমার খালাতো ভাই নোহান এর ফোন পেয়ে।
শুক্রবার স্কুল প্রাইভেট সবকিছুই বন্ধ ছিলো তার। সকালে যদিও ক্রিকেট খেলতে বেরিয়েছিলো, কিন্তু সারাদিন বাসায় শুয়ে-বসে বোর হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমাকে ফোন দিয়ে বললো চলো একটু ঘুরে আসি আপু। বাইরে তো একটু যেতেই হতো আমাকে, তাই নোহানকে বললাম তুমি রেডি হয়ে আসো, আমিও রেডি হচ্ছি। বিকেলে সাধারণত আমি ঘুমাই না। যদিও কখনো ঘুমাই, তাহলে ঘুম থেকে উঠে একটু বাইরে থেকে ঘুরে না আসলে ঘুম ঘুম ভাবটা ছাড়ে না আমার। তাই উঠে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলাম।
রেডি হয়ে নোহান কে ফোন দিয়ে বললাম আমাদের বাসার মোড়ে আসতে। আমি বাসার মোড়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নোহান ও চলে এসেছে। মোড়ে দাঁড়িয়ে দুজনে আলাপ করছিলাম কই যাওয়া যায়। তারপর মনে হল ফুডিজ গুডিজ রেস্টুরেন্ট এ একটা প্লাটার এর অফার চলছে। ওখানে গিয়েই আড্ডা দেই আর খাওয়া দাওয়াটাও করে নেই। এই রেস্টুরেন্ট টি শাপলা চত্বর এ অবস্থিত। তাই আমরা রিক্সা করে দুই ভাই বোন রওনা দিলাম।
শুক্রবারের রাস্তাঘাট একদম যানজট মুক্ত ছিল। এরকম শান্তিপূর্ণভাবে যদি সব সময় চলাফেরা করা যেত কতই না ভালো হতো।
রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই দেখলাম তাদের ডেকোরেশন চেঞ্জ করেছে। এই রেস্টুরেন্ট এ সাধারণত যাওয়া হয় না। এর আগে দু-একবার গিয়েছিলাম। তখন ডেকোরেশনটা ভালোই ছিল। এবার অনেকদিন পর গেলাম। গিয়ে দেখি যাচ্ছেতাই অবস্থা। খাবারের কোয়ালিটি মোটামুটি ভালই লেগেছিলো আগেরবার। তাই ভাবলাম ডেকোরেশন যেমনই হোক না কেন খাবার ভালো হলেই হলো
দুই ভাই বোন গিয়ে বসে পড়লাম এক কোনায়। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো, শুক্রবার গুলোতে সাধারণত রেস্টুরেন্ট গুলো বসার জায়গা দিতে পারে না। আর এই রেস্টুরেন্ট একেবারেই ফাঁকা ছিলো। আর কেন ফাঁকা ছিলো এর কারণটা পরে বুঝতে পেরেছিলাম। আপনাদেরকেও কারণটা পরেই জানিয়ে দিচ্ছি।
সেদিন আকাশের চাঁদটা ছিলো খুব সুন্দর। আমি যেখানে বসেছিলাম সেখান থেকে স্পষ্ট চাঁদটাকে দেখা যাচ্ছিল। চাঁদ এর সৌন্দর্য মুগ্ধ করছিলো আমাকে। তাই এই সৌন্দর্য পূর্ণ চাঁদকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম। এরপর দেখলাম নিচে রাস্তা থেকে দুজন লোক চাঁদকে ক্যামেরাবন্দি করছিলো। আমিও আবার তাদের ছবি তোলার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পর খাবার চলে এলো। প্রথমেই হতাশ হয়ে গেলাম। যে প্লাটার আমরা অর্ডার করেছিলাম সেখানে চিকেন কারি ছিলো। সেটা নাকি স্টক আউট হয়ে গিয়েছে। তাই সেটার বদলে তারা চিকেন ফ্রাই দিয়েছে। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটা তারা আমাদেরকে আগে জানিয়ে দেয় নি। কিন্তু এখন তো কিছু করার নেই খাবার রেখে তো উঠে আসা যায় না তাই ভাবলাম খেয়েই নেই। কিন্তু খাবারটা মুখে দিয়ে আরও হতাশ হয়ে গেলাম। ডেকোরেশন যেরকম বাজে হয়েছে তারচেয়ে অনেক বেশি বাজে হয়ে গিয়েছে খাবার কোয়ালিটি। খেতে তো পারলামই না। টাকাগুলো নষ্ট করে আসলাম শুধু। একটি আইটেমও মুখে নেয়ার মত ছিল না। আর এজন্যই শুক্রবারেও এই রেস্টুরেন্ট এতটা ফাঁকা ছিলো। শুধু কোক টাই খেয়েছিলাম।
খাওয়া তো আর শান্তি মতো হলো না। তাই কিছুক্ষণ দুই ভাইবোন গল্প করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এলাম। রেস্টুরেন্টের নিচে ছিল একটি চায়ের দোকান। আমি আবার সেই রকম চা প্রিয় মানুষ। দিনে ৮/১০ কাপ চা লাগেই আমার। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে আকাশের চাঁদ দেখছিলাম আর গল্প করছিলাম। কি যে দারুন ছিল মুহূর্তটা তা লিখে বোঝানো সম্ভব না।
চা খাওয়া শেষে রিকশা নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলাম। ফাঁকা রাস্তা বেশি উপভোগ করছিলাম। গল্প করতে করতেই বাড়ি চলে এলাম। আমাকে আমার বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে নোহান রিকশা নিয়ে গেলো ওর বাড়ির দিকে। খাবারটা বাজে হলেও সময়টা খুব ভালো ছিল।
আজ বিদায় নিচ্ছি। আপনাদের কাছে আমার আজকের লেখাটি কেমন লাগলো তা অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে, নতুন একটি পোস্টে। সে অব্দি সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ও সাবধানে থাকবেন।
চিত্রধারণকৃত ডিভাইস | Tecno spark 5 pro |
---|---|
লোকেশন | রংপুর |
W3w | link |
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এজন্যই নতুন রেস্টুরেন্ট যেতে ভয় লাগে।যদি খাবার খারাপ হয় তাইলে মন ও খারাপ হয় আবার টাকার জন্যও আফসোস হয়।রেস্টুরেন্টটি বেশিদিন ব্যবসা করতে পারবে না,কারন খাবার ভাল না হলে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা টেকে না।তারপরেও আপনারা ভাল সময় কাটিয়েছেন দেখে ভাল লাগল।
দুই ভাইবোন মিলে খুব চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন দেখছি। আর অনেক মজা লাগলো দুজন ব্যক্তি যখন চাঁদের ফটোগ্রাফি করতেছে সেটি আপনি আবার আপনার ক্যামেরা বন্দী করে ফেলেছেন।যাই হোক সব মিলিয়ে খুব কোয়ালিটি সময় কাটিয়েছেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।