দাওয়াতে যাওয়ার আগে মিষ্টি কিনতে গিয়ে || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
খুব প্রচলিত একটি সামাজিক নিয়ম হচ্ছে, দাওয়াত খেতে গেল মিষ্টি নিয়ে যাওয়া। আমার গত পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম গ্রামে দাওয়াত খাওয়ার মুহূর্তগুলো। দাওয়াত খেতে তো আর খালি হাতে যাওয়া যায় না। তাই গ্রামে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মিষ্টি কিনতে গিয়েছিলাম আমরা। মিষ্টি কেনার জন্য আমরা নামলাম রূপসী বাংলায়। কুড়িগ্রামে এই রেস্টুরেন্টটিতেই মানসম্মত খাবার ও মিষ্টান্ন পাওয়া যায়। তবে মিষ্টি সেক্টরে আমি এর আগে কখনো যাইনি। এই প্রথম ঢুকেই অবাক হয়ে গেলাম। বেশ সুন্দর পরিবেশে বসে মিষ্টি খেতে পারবে এখানে। আর বিভিন্ন রকমের মিষ্টি আমি কুড়িগ্রামে এই রূপসী বাংলাতেই দেখলাম।
প্রথমেই বলেছি রূপসী বাংলার মিষ্টান্ন সেক্টরটি বেশ সুন্দর পরিপাটি। বেশ বড় না হল মোটামুটি জায়গা নিয়ে একপাশে তিনটি টেবিল বসিয়ে এবং তার দু পাশেই চার দিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর একপাশে মিষ্টি, পাউরুটি, চানাচুর, বিস্কুট এরকম এসব খাবারগুলো ডিসপ্লে করে রাখা আছে। আবার এখানে আইসক্রিম খাওয়ার ও ব্যবস্থা করেছে তারা। যেহেতু আমি প্রথমবার গেলাম এখানে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো এই পরিবেশটি।
মিষ্টির দোকানে ঢুকে আম্মু আর মামি মিষ্টি সিলেট করছিল কোনটা কোনটা নিবে। আর এদিকে আমি আমার মামাতো বোন, মামাতো ভাই এবং আর এক মামি বসে গেলাম আইসক্রিম খাওয়ার জন্য। সবাই অবশ্য আইসক্রিম খায়নি। আমি আর আমার মামাতো ভাই আইসক্রিম খেয়েছি, আর ওরা দুজন মিষ্টি খেয়েছে।
মামি আর আম্মু মিষ্টি দেখতে দেখতে আমাকেও ডাকলো দেখার জন্য কোন মিষ্টি গুলো নেয়া যায়। আমি আইসক্রিম হাতে উঠে এসে মিষ্টি দেখা শুরু করলাম। মিষ্টি আমার খুব পছন্দের। আর আমার কিছু পছন্দের মিষ্টি এই দোকানে ছিল। পছন্দের মিষ্টি সামনে পেয়ে আইসক্রিম খেতে খেতেই মিষ্টি নিলাম খাওয়ার জন্য। দোকানের ভাইয়াটার কাছে পিরিচ চেয়েছিলাম। ভাইয়া প্লিজ এনে দিলে আমি নিজেই মিষ্টি উঠিয়ে নিয়েছি।
মিষ্টি আর আইসক্রিম খেতে খেতেই মিষ্টি দেখছিলাম কোনগুলো নেয়া যায়। তিনজন মিলে সিলেক্ট করলাম ক্রিম জাম নিলাম ১ কেজি, বরফি ১ কেজি ও পেস্তাাপুলি ১ কেজি। এই মিষ্টি গুলো নিলাম দাওয়াত বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ভাইয়া মিষ্টিগুলো তিনটি প্যাকেটের সুন্দরভাবে আমাদেরকে প্যাকেটিং করে দিলো। মিষ্টিগুলো নিয়ে বিল দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে এলাম। এই মিষ্টি গুলো নিয়ে গিয়েছিলাম দাওয়াত খেতে। আর দাওয়াত খেতে গিয়ে কি রকম মজা করেছিলাম তা তো আপনারা আমার আগের পোস্ট থেকে জানতেই পেরেছেন।
সব মিলিয়ে মিষ্টি কেনার অভিজ্ঞতা ও দাওয়াত খাওয়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ ছিলো।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আমার আজকের এই পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো তা মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন।
ধন্যবাদ।
চিত্র ধারনকৃত ডিভাইস | Tecno spark 5 pro |
---|---|
লোকেশন | কুড়িগ্রাম |
w3w | link |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খাবার জায়গাটি সুন্দর ও ছিমছাম।কিছু রেস্টুরেন্ট আছে দেখলে আর খেতে ইচ্ছা হয়না।এই দোকানটি সম্পূর্ণ তার বিপরীত।আর মিষ্টির ও অনেক ভেরিয়েশন দেখছি।মিষ্টি গুলোও সুন্দর।কখনো কুড়িগ্রাম গেলে অবশ্যই ট্রাই করব।ধন্যবাদ আপু নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে জানানোর জন্য।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের প্রচলিত একটি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে দাওয়াত খেতে গেলে মিষ্টি নিতে হবে । খালি হাতে গেলে কেমন যেন লাগে । আপনি বেশ ভালোই আপনার মিষ্টির দোকানের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেছেন । তবে আমার কাছে মিষ্টির দোকানটি বেশ ভালো লেগেছে । যেখানে মিষ্টি খাবার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে । এরকম কখনো দেখিনি ।পরিবেশটা বেশ ভালই ছিল মনে হচ্ছে ।আইসক্রিম ও মিষ্টি একসঙ্গে খেয়েছেন দেখে বেশ মজা লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
বর্তমান সময়ের রীতিনীতি মিষ্টি নিয়ে আত্মীয় বাড়ি দাওয়াত খেতে যাওয়া। খুব সুন্দর একটা পোস্ট সৃষ্টি করেছেন আপনি। দাওয়াত খেতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে মিষ্টি ক্রয় করেছেন আর সেই মিষ্টি কেনার সুন্দর একটা অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর বর্ণনার সাথে উপস্থাপনা দেখে।
দাওয়াতে যাবেন, মিষ্টি না নিলে কি হয় 😁। তবে মিষ্টির কেজি প্রতি কত টাকা করে রাখলো আপু! বলেননি তো 😁। রূপসী বাংলার মিষ্টি যে ভালো হবে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আমারও লোভ লেগে গেল দেখে!
ঠিক বলেছেন আপু দাওয়াত খাওয়ার আগে মিষ্টি নিয়ে যাওয়া একটা ট্রেডিশন চালু রয়ে গেছে। কোথাও দাওয়াত খেতে মিষ্টি নিয়ে যাওয়া আমার জন্য অনেক বিরক্ত একটা বিষয়। মিষ্টির দোকান দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায় এবং অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এখানকার মিষ্টির দোকান গুলো খাওয়ার কোন ব্যবস্থা পাওয়া যায় না। কিন্তু আপনার এই দোকানে খাওয়ার ব্যবস্থা আছে বিষয়টি ভালো লেগেছে। সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।