আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুন এক জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের।
স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে পাকিস্তানি বেঙ্গল রিয়্যাকশন নামক ইউটিউব চ্যানেল থেকে।
যাই হোক ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্লেষণ শুনছিলাম। সবাই একই কথা বলছিলো যে প্রথমে যারা বোলিং করবে তাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ থাকবে অনেক বেশি। কারণ পিচে নাকি পেস বোলাররা ভালো সুবিধা পাবে। যাইহোক দেখতে দেখতে টস হয়ে গেলো। টসে বাংলাদেশ জিতে প্রথমে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নিলো। বাংলাদেশ টস জেতাতে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। তারপর যথারীতি আফগানিস্তানের দুই ওপেনার ব্যাটিংয়ে নামলো। কিন্তু শুরু থেকে যেটা আশা করেছিলাম সেটা মোটেও হয়নি। বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটারদের বিশ্লেষণ শুনে মনে করেছিলাম পিচে পেস বোলারদের জন্য সুইং থাকবে। কিন্তু দেখলাম পিচে কিছুটা বাড়তি বাউন্স ছাড়া তেমন কোন সুবিধা পেস বোলাররা পাচ্ছে না। যে সুযোগটা আফগানিস্তানী ওপেনাররা বেশ ভালোভাবে কাজে লাগালো।
আফগানিস্তানের দুই ওপেনার দারুন ব্যাটিং করেছিলো। একটা সময় মনে হচ্ছিল ম্যাচটা আস্তে আস্তে বাংলাদেশের আয়ত্তের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু এর ভিতরে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন্স সাকিব আল হাসান প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিলো। প্রথম উইকেট পড়ার পরে আফগানিস্তান আরো একটি পার্টনারশিপ গড়েছিলো। সে যুটিও ভাঙলো সাকিব। তারপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। দুপাশ থেকে শাকিব এবং মিরাজ দারুন অটোসাটো বোলিং করে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরকে আটকে রেখেছিলো। চাপে পড়ে আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে। প্রথম কয়েক ওভারের পর থেকেই বাংলাদেশী বোলাররা দারুণ বোলিং করে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদেরকে ক্রিজে আটকে রেখেছিলো। সেই সাথে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও নিয়েছিলো।
যার ফলে আফগানিস্তান মাত্র ১৫৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ৩৭ ওভারে। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। প্রথমে তানজিদ তামিম অকারণে রান আউটের শিকার হয়। তারপরে লিটন দাস তার বাজে ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আউট হয়ে যায়। এরপরেই বাংলাদেশের দারুন একজুটি গড়ে ওঠে মিরাজ এবং শান্তর ভেতরে। মিরাজ এই দিন যেমন দুর্দান্ত বোলিং করেছে ব্যাটিং টাও হয়েছে তার দারুন। যদিও সে কয়েকটা সুযোগ দিয়েছিলো। কিন্তু আফগানিস্তানের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তারা সেই সুযোগগুলি কাজে লাগাতে পারেনি। যার ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৩৫ ওভারের আগে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে নেয়।
ঠিক যেমন একটা সূচনা চেয়েছিলাম বাংলাদেশ দল তেমনি একটা শুরু করেছে। তবে এদিন আমাদের ওপেনেররা হতাশ করেছে। তাদের কাছ থেকে আরো ভালো কিছু আশা করেছিলাম। কারণ ওপেনাররা ভালো শুরু এনে না দিলে বড় দল গুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশ চাপে পড়ে যাবে। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে অবশ্যই ওপেনারদেরকে ভালো খেলতে হবে। তবে এক্ষেত্রে লিটন দাসের অফ ফর্ম একটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ইংল্যান্ড দারুন একটা দল। যদিও তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে বাজে ভেবে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছে। সেই কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের দিন ইংল্যান্ড দল তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করতে চাইবে। তারা চেষ্টা করবে বাংলাদেশকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিতে। এই জন্য বাংলাদেশ দলের যে জায়গাগুলোতে ঘাটতি আছে সেই জায়গাগুলোর সঠিক সমাধান প্রয়োজন। এখন দেখা যাক সামনের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশ কেমন করে। আশা করি আপনারা আজকের ম্যাচটা আমার মতই দারুন ভাবে উপভোগ করেছেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমিও ভেবেছিলাম বাংলাদেশের পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাবে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম স্পিন বেশ কার্যকরী হয়েছে। আফগানিস্তান শুরুতে ভালোই ব্যাটিং করেছিল। তবে সাকিব এবং মিরাজ তাদেরকে গুঁড়িয়ে দেয়। এতে করে আফগানিস্তান অল্প রানেই অল আউট হয়ে যায়। মিরাজ এবং শান্ত এর ব্যাটিং দারুণ উপভোগ করেছি। আশা করি পরবর্তী ম্যাচ থেকে আমাদের ওপেনাররা ভালো করবে। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশাল জয় পেয়েছি, এটা খুব ভালো লেগেছে। কারণ আফগানিস্তানের রশিদ খান বাংলাদেশকে ছোট করে প্রায়ই অনেক কথা বলে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
তবে বাংলাদেশের ওপেনারদের নিয়ে একটা চিন্তা রয়েই গেলো। ওপেনাররা ভালো না করতে পারলে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সামনে আগানো মুশকিল হয়ে যাবে।
হ্যাঁ ভাই ওপেনাররা ভালো করতে না পারলে, সামনে আগানো সত্যিই মুশকিল হয়ে যাবে। তবুও আশাবাদী এবার ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। যাইহোক আমার মন্তব্যের ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ দারুন হয়েছে। আমরা সবাই অনেক উপভোগ করেছি। প্রথম দিকে আফগানিস্তান বেশ ভালো খেলছিল। আর তাদের পারফরম্যান্সও দারুন ছিল। এরপর সাকিব তাদের খেলাটা একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমরা সবাই প্রত্যাশা করি বাংলাদেশ ভালো কিছু করুক এবং ভালো কিছু উপহার দিক।
ম্যাচটা আসলেই দারুন ছিলো আপু। তবে শুধু বাংলাদেশের সাপোর্টারদের জন্য। হা হা হা...
আজকের খেলাটা বেশ উপভোগ করেছি। বিশেষ করে সাকিবের বোলিং টা বেশি ভালো লেগেছে। সাকিব বোলিং এ এসে ম্যাচটা পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া মেহেদী মিরাজের এমন ফর্মে আসাটা বাংলাদেশের জন্য সত্যি দারুন সুখবর।
মেহেদী যদি তার ফর্ম ধরে রাখতে পারে। তাহলে ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশের জন্য একটা বড় এসেটে পরিণত হবে।
সত্যিই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টা অসাধারণ হয়েছে। একই সাথে বিশ্বকাপের যাত্রাটা শুভ সূচনার মধ্য দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশের। আমাদের বাংলাদেশের প্লেয়াররা যেন এভাবেই তাদের নৈপুণ্য প্রদর্শন করে আগামী ম্যাচগুলোতে বিজয়ী হতে পারে এমনটাই আমি প্রত্যাশা করি।
প্রথম ম্যাচে এই ধরনের জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মাঠের আউটফিল্ডে কোন কারণে বল আটকে যাচ্ছিল। সম্ভবত ঘাসটা বেশি বড় ছিল। বিষয়টি আমার কাছেও ভালো লাগেনি। তবে আমাকে সবচাইতে বেশি আবাক করেছে সাকিবের ক্যাপ্টেন্সী টা। এককথায় অসাধারণ ছিল। আর আমাদের মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটে বলে কী অসাধারণ খেলল। সবমিলিয়ে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। এবং আমি বলব আফগানিস্তানের অহংকার এর পতন হয়েছে।।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ দারুন একটি ক্রিকেট ম্যাচ রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। খেলা শেষ না হতেই বেশ দারুন পোস্ট তৈরি করে ফেলেছেন। আসলে প্রথম 15 ওভার আফগানিস্তান বেশ দারুন ব্যাটিং করেছিল। অবশেষে পর পর সাকিব আল হাসান যখন ২ উইকেট পেল তখনই আফগানিস্তান বেশ ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে আফগানিস্তান ১৫৬ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশকে। লিটন দাস এর আউট দেখে আমি একটু হতাশ হয়েছিলাম। অবশেষে বাংলাদেশের চারটি উইকেট পড়েছিল খেলায় জয়লাভ করতে। বেশ উপভোগ করেছিলাম খেলাটি ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আশাকরি ভাইয়া ভালো আছেন? বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আমি দেখেছি । বাংলাদেশ জয় লাভ করেছে দেখে সত্যি খুবই আনন্দিত হলাম। আফগানিস্তান অল্প রানেই অল আউট হয়ে যাওয়াতে বাংলাদেশের জয়ের পথ কিছুটা সহজ হলো। পারফরম্যান্স দারুন ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের । বাংলাদেশের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। এভাবে প্রতিটি ম্যাচ জয় লাভ করুক। এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ বেশ দুর্দান্ত খেলেছে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
একটা সময় খেলা অনেক দেখতাম তবে এখন তেমন একটা দেখা হয় না। এই ম্যাচটিও মিস করেছি ভাই। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে কিছুটা হলে উপলব্ধি করতে পারছি।অনেক ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন সব সময় ।
বাংলাদেশের প্রথম জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তবে বাংলাদেশে এই ম্যাচটা এত সহজে জয়লাভ করবে এটা আমার ধারণা ছিল না। প্রথমদিকে তেমন নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলেও মাঝে দিক থেকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ একাধারে তাদের নিজের আয়ত্তে রেখেছিল এই ম্যাচটি। সব মিলে খুবই ভালো খেলেছে। যার ফলে তারা ছয় উইকেটে আফগানিস্তানকে পরাজয় করেছে। এই পারফরমেন্স ধরে রাখলে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে আশা করা যায়।