পুলিশের স্বভাব কি বদলালো?
যখন আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? তখন সে জানালো তার জানালা দিয়ে কেউ একজন একটু আগে উঁকি দিয়েছে। আমি তখন তাকে বললাম এলাকায় কিন্তু চোরের উপদ্রব শুরু হয়েছে। তাই একটু সাবধানে থাকবেন। এই কথা বলে আমি আমি উপরে গিয়ে দরজা খুলে যখন ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন দেখি আমার মোবাইলের চার্জারের তারটা জানালার কাছে রয়েছে। তখনই আমি বুঝতে পেরেছি কি হয়েছে। সাথে সাথেই আমি বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আশেপাশে খোঁজার জন্য। কিন্তু ততখানে প্রায় মিনিট দশেক পার হয়ে গিয়েছে। যার ফলে চোরকে আর খুঁজে পাইনি। যাই হোক তখন দেশের অবস্থা ছিলো খুবই অস্থিতিশীল। আমি পরদিন থানায় গিয়েছিলাম জিডি করতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি পুলিশ বাহিনীর লোকজন তখনও থানায় যোগদান করেনি। পরবর্তীতে আমি আরো একদিন গিয়েছিলাম সেদিনও তাদেরকে পাইনি।
এর বেশ কয়েকদিন পরে আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম থানায় এখন পুলিশ বাহিনীর লোকজন আছে। তখন আমি থানায় গেলাম জিডি করার জন্য। কিন্তু থানা থেকে আমাকে জানালো আমাকে আগে অনলাইন থেকে জিডি করে আসতে হবে। কথাটা শুনে আমি কিছুটা অবাক হলাম। কারণ আমি জানতাম জিডি করা থানার দায়িত্ব। যাই হোক আমি পুলিশের কথা শুনে থানার কাছের এক কম্পিউটারের দোকানে গেলাম অনলাইনে জিডি করতে। সে আমাকে জানালো ১২০ টাকা লাগবে জিডি করতে। এটা তার পারিশ্রমিক। জিডি করার মতো একটা সামান্য বিষয়ে ১২০ টাকা পারিশ্রমিক দিতে হবে শুনে আমার মেজাজ কিছুটা খারাপ হোলো। তখন আমি চিন্তা করলাম যেহেতু আমার বাসায় কম্পিউটার আছে আর অনলাইনে কাজ সম্বন্ধে টুকটাক একটু ধারণা আছে। তাই আমি নিজেই জিডি করার চেষ্টা করে দেখি।
কিন্তু আমি বাসায় ফিরে অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও জিডিটা করতে পারলাম না। আরও একটা জিনিস খেয়াল করে দেখলাম। যে অ্যাপসের মাধ্যমে জিডি করবো সেখানে চুরি বা ছিনতাই এর কোনো অপশন নেই। মানে আপনার ফোন যদি চুরি অথবা ছিনতাই হয় তাহলেও আপনাকে বলতে হবে আপনার ফোন আপনি হারিয়ে ফেলেছেন। এই বিষয়টা দেখেও খুব খারাপ লাগলো। কিছুদিন আগে আমাদের দেশের পুলিশ ভয়াবহ অবস্থার ভেতর দিয়ে গিয়েছে। তাদের ভেতর অনেকে এখনো ভয়ের জন্য কাজে যোগদান করেনি। কিন্তু পুলিশ বাহিনীর ভেতর এখনো মানুষকে সহযোগিতা করার মনোভাব দেখতে পাইনি। কারণ জিডি করার মতো বিষয়টা অবশ্যই থানায় থাকার দরকার ছিলো। এটা সম্পূর্ণ সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়াটা ঠিক হয়নি। যাইহোক বেশ কিছুদিন হয়ে গিয়েছে জিডি করেছি। কিন্তু আমি দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার কে ফোন দিলে সে আমাকে ফোনের ব্যাপারে কোন আপডেটই জানাতে পারলো না। বুঝতে পারলাম জিডি করাটা একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এরা এই ফোন খোঁজার কোনো চেষ্টাই করবে না। ফোনটা কিনেছিলাম মাত্র ৫ মাস আগে ৪৭ হাজার টাকা খরচ করে। মাত্র অল্প কয়েক মাস ব্যবহার করার পরেই ফোনটা চুরি হওয়াতে মেজাজ কিছুটা খারাপ হয়েছে। তারপরও বিষয়টা মেনে নিয়েছি। এখন দেখা যাক পুলিশ কোনো আপডেট দিতে পারে নাকি ফোনের ব্যাপারে। তবে আমি খুব একটা আশাবাদী না।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জানিনা ভাইয়া সত্যি কি পুলিশের স্বভাবর পরিবর্তন হয়েছে কিনা। আর এই বিষয় গুলো নিয়ে কিছুই বলতে চাই না। তবে আপনার মোবাইলটির জন্য কিন্তু আমার বেশ খারাপই লাগছে। আপনি যেমন করে লিখলেন তাতে তো বুঝা যাচেছ যে আপনিও অনেক কষ্ট পেয়েছেন ফোনটির জন্য। দেখা যাক সামনে কি হয়? পেয়ে গেলে তো ভালোই হয়।
কিছু হারিয়ে গেলে সত্যি ই আর পাওয়া যায় না।আমার ফোন আমি মার্কেটে হারিয়েছি।সাথে সাথে ধানমন্ডি থানায় ৫০০ টাকা খরচ করে জিডিও করেছিলাম ২০২০ সালে।কিন্তু মোবাইলের সাথে সাথে ৫০০ টাকাও গেলো। ফোন আর পাইনি।আপনার নতুন মোবাইলটি হারিয়ে ফেলেছেন জেনে খুবই কষ্ট লাগলো ভাইয়া। এরপর থেকে অনেক বেশী সর্তক থাকবেন আশাকরি।
আপনার পোস্ট নিয়মিত পড়া হয় বিধায়, আমি খুব ভালো করেই জানি আপনার ফোন চুরি হয়ে গিয়েছে কয়েকদিন আগে। যাইহোক কুকুরের লেজ সোজা হয় না ভাই। তাই পুলিশদের স্বভাব কখনোই পরিবর্তন হবে না। তাছাড়া ওরা আপনার ফোন খুঁজে দিবে না। তবে আপনি যদি ৩/৪ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেন, তাহলে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে পারে। যাইহোক আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
বাসা থেকে এভাবে ফোন চুরি হয়ে গেল শুনেই খারাপ লাগছে ভাইয়া। আমরা তো অনেক সময় অসাবধানতায় জানালার কাছেই ফোন রেখে দেই। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে হয় নিজেদের কাজকর্ম থেকে বিরতি নিয়েছে। তাই এতটা দেরি হচ্ছে ভাইয়া।