চিন্তার কারণ কুকুরের উপদ্রব।
তাছাড়া কিছুদিন আগে ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখতে পেলাম। যেখানে বাচ্চাদেরকে হঠাৎ করে কুকুর এসে আক্রমণ করছে। এই ভিডিও গুলো দেখার পরে টেনশন টা আরো বেড়ে গিয়েছে। এখন সবসময় রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে থাকি। একটা সময় ছিলো যখন কুকুরের সংখ্যা বেশি বেড়ে গেলে পৌরসভা থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যেতো। কিছু কুকুর হয়তো তারা মেরে ফেলতো। কিন্তু প্রাণী অধিকার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে পৌরসভা এই কাজটা বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে এখন কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে অনেক বেশি। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের তেমন কোনো দায়বদ্ধতা নেই। যার ফলে এটা নিয়ে তাদের কোন চিন্তাও নেই। পৌরসভার লোকজনকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ প্রাণী অধিকার আন্দোলনের ফলে আমরা এখন কুকুর মারতে পারছি না। এই কথা বলে তারা দায়িত্ব থেকে বেঁচে যায়।
কিন্তু মূল ভোগান্তিটা পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। আশেপাশে এখন প্রায়ই শোনা যায় কুকুরের কামড়ে বাচ্চারা আহত হয়েছে। শুধু যে বাচ্চারা হচ্ছে তা নয় কুকুর বড় মানুষদেরও ছাড়ে না। কুকুর কি কারণে মানুষকে আক্রমণ করছে সেটা আমার জানা নেই। হতে পারে ক্ষুধার্ত হওয়ার কারণে মানুষকে আক্রমণ করছে। আবার হতে পারে তারা জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু যেটাই হোক এখন যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে সাধারণ মানুষের জন্য সামনে আরো বড় ভোগান্তি অপেক্ষা করছে। শেষ পর্যন্ত হয়তো এমন অবস্থা হবে যে এলাকার লোকজন সবাই মিলে কুকুর মারতে বেরিয়ে পড়বে। তখন দেখা যাবে পুরো এলাকা কুকুর শূন্য হয়ে পড়বে। আমি কুকুর পছন্দ করি না তাই বলে এমন না যে কুকুর দেখলেই মারতে বের হয়ে পড়ি। তবে আমি চাই কুকুরের এই উৎপাত থেকে মুক্তি সেটা যেভাবেই হোক।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, আজকাল কুকুরের উপদ্রব যেন বেড়েই চলেছে। একটা দলে ৮-১০ কুকুর থাকলে এমনিতেই ভয় লাগে। আপনার মেয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে কুকুরগুলো থাকে সেজন্য আপনার আরও বেশি টেনশন হয় মেয়ের জন্য। কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেলে পৌরসভা থেকে কুকুর ধরে নিয়ে যে মেরে ফেলত কিন্তু এখন আর তেমন ধরে নিয়ে যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বিষয়টা নিয়ে আসলেই বেশ চিন্তিত রয়েছি আপু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার মতো আমিও কুকুর একেবারেই পছন্দ করি না। আমার বাসার সামনে তো সারারাত কুকুরের আনাগোনা লেগেই থাকে। একেবারে দলবদ্ধ হয়ে ঘুরাঘুরি করে কুকুরগুলো। মাঝেমধ্যে কুকুরের ঘেউঘেউ শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ফজর নামাজ পড়তে যাওয়ার সময়, তারা সামনে আসলে ভয় দেখালেই চলে যায়। তবু্ও একটা বিরক্তিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আপনার মেয়ের সাথে অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করবেন। কারণ কুকুরের কামড় মারাত্মক। একবার কামড় দিলে ভোগান্তির শেষ থাকে না। যাইহোক আপনাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল ভাই।
বিষয়টা কিভাবে সমাধান করা যায় সেটাই চিন্তা করছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এরকম যদি কুকুরের উৎপাত হয় তাহলে তো এলাকায় চলাফেরা করা খুবই দুষ্কর হয়ে যাবে ভাইয়া। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের। তবে অনুরোধ রইলো ভাইয়া সর্বদা সচেতন থাকবেন আপনার নিজের ব্যাপারে এবং আপনার মেয়ের ব্যাপারে। যদিও বা বর্তমান পৌরসভার লোকেরা কিছু কথা বলে তাদের দায়বদ্ধতা সেরে নিচ্ছে কিন্তু যদি তারা এই বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আসলে ভবিষ্যতে এলাকার মানুষকে ই একটা সময় কুকুর মারার জন্য বেরিয়ে পড়তে হবে। তখন আবার সম্পূর্ণ এলাকা কুকুরমুক্ত দেখাবে।
শেষ পর্যন্ত মনে হয় এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে কুকুর নিধনে নামতে হবে। তাছাড়া বাঁচার আর কোন পথ দেখতে পাচ্ছি না।
যদি কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাই তাহলে হয়তো শেষ পর্যায়ে সত্যি সত্যি সাধারণ মানুষই কুকুর মারতে বের হয়ে পড়বে। এটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তর এরা আরও বেশি খারাপ। তারা এগুলো কে তো ঠিকমতো পূর্ণবাসন করতে পারে না অথচ কারো দ্বারা যদি কোন প্রাণী ভুল করেও মরেছে আর কোথায় যাবা।
সরকারি কোনো অধিদপ্তরই কোনো কাজ করে না। এজন্য সমস্যাগুলো দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে।
কুকুরের কামড় আসলেই অনেক ভয়ানক হতে পারে। কিছুদিন আগে ফেইসবুক এ দেখলাম কুকুরের কামড়ের পর একজনের জলাতঙ্ক রোগ হয়ে সে পানি খেতে পারছে না। আমি দেখেই লোকটার কষ্ট অনুভব করতে পারছিলাম। আপনি ভাইয়া ঠিক ই বলেছেন , এভাবে যদি কুকুরের সংখ্যা বাড়তে থাকে তাহলে কিছু সময় পর সাধারণ মানুষের জন্য বড়ই আতংকের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে এটি ।
ঠিক বলেছেন আপু। এইভাবে চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের জন্য আসলেই আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
বিষয়টি সত্যি ই ভাবনার বিষয়। ঢাকায় আমার এলাকায় ও কুকুরের অভাব নেই ভাইয়া।সকালে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করি।আমিও ভয়ে ভয়েই হাঁটি। কুকুর যেপাশে থাকে আমি অন্য পাশে চলে যাই।আর যখন কোন লোক লাঠি দিয়ে কুকুরকে তাড়া করে তখন আরো বেশী ভয় লাগে।কখন এসে রাগে কামড়ে দেয়। খুবই চিন্তার বিষয় আসলে।আর একটা দুটো হলে কথা ছিলনা।এরা ৪/৫ টা করে একসাথে থাকে।আশাকরি বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খুব ভয়ংকর হয় ভাইয়া কুকুর। আমিও ফেসবুকে দেখেছি যে কুকুর বাচ্চাদের আক্রমণ করে। আর এসব দেখার কারণে আমি কুকুর কে ভীষণ ভয় পাই।আমি খাগরাছরিতে যখন ছিলাম কখনোই নিচে নামতাম না কুকুরের ভয়ে।আপনার মেয়েকে একা ছারবেন না কারণ কুকুর ভীষণ ভয়ংকর। মাঝে মাঝেই কুকুরের কামড়ে বাচ্চারা আহত হয় জেনে ভীষণ খারাপ লাগছে।
প্রাণী অধিকার আন্দোলনের ফলে আমরা এখন কুকুর মারতে পারছি না এটা বলে পৌরসভার লোকজন পার পেলেও সাধারণ জনগণের ভোগান্তির শেষ নেই এই কুকুরের জন্য।