দীর্ঘদিন পর গ্রাম্য হাটে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে কয়েকদিন। ইতিমধ্যে লোকজন সবাই যার যার বাড়িতে ফেরা শুরু করে দিয়েছে। অনেকে এর ভেতরে চলেও এসেছে। আমার বন্ধু ফেরদৌস কয়েকদিন আগে ফরিদপুর চলে এসেছে। ফেরদৌস আসার আগ পর্যন্ত আমি একরকম ঘরেই বন্দি ছিলাম। যার ফলে ফেরদৌসের পর থেকেই চেষ্টা করছি প্রতিদিনই দুই বন্ধু কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। এর ভেতরে একদিন নদীতে গোসলও করেছি কয়েক বন্ধু মিলে। গত পরশুদিন ফেরদৌসের সাথে বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। উদ্দেশ্য ছিলো ঘোরাফেরা করার সেই সাথে ফেরদৌসের একটি ব্যক্তিগত কাজও শেষ করা। সেই কাজে যাওয়ার পথে আমরা বন্ধু রাফসানের ওখানে থেমে ছিলাম। রাফসানের ওখানে থামার পরে জানতে পারলাম সেদিন ওই এলাকায় হাট চলছে।

IMG_20240408_121558.jpg

IMG_20240408_121550.jpg

গ্রামীণ হাট আমার কাছে বরাবরই বেশ ভালো লাগে। সেখানে শহরের হাটের থেকে কিছু ব্যতিক্রম জিনিসপত্র পাওয়া যায়। তাছাড়া গ্রামীন হাট গুলো এখনো শৈশবের স্মৃতি মনে আমাকে করিয়ে দেয়। রাফসানের কাছ থেকে যখন জানতে পারলাম ওদের এলাকায় হাট চলছে তখন আর দেরি করিনি। বন্ধু ফেরদৌসকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম সেই হাট দেখতে। তাছাড়া এমনিতেও আমার সেই হাটে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো। কারণ ওদের এই হাটে দেশি হাঁস পাওয়া যায়। সেই হাঁসগুলোর দরদাম কেমন সেটা জানার ইচ্ছা ছিলো। যাইহোক রাফ্সানের শোরুম থেকে বের হয়ে বন্ধু ফেরদৌসকে সাথে নিয়ে চলে গেলাম হাটে। সেখানে গিয়ে আমরা ঘুরে ফিরে সবকিছু দেখতে লাগলাম। রাফসানদের এলাকার এই হাটটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ সেটা এখনো আমাকে সেই ৯০ দশকের গ্রাম্য হাট গুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। এই হাটটা দেখতে এখনো সেই আগের মতোই রয়েছে।


IMG_20240408_121618.jpg

IMG_20240408_121639.jpg

বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় এখন গ্রামীণ হাট গুলো অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাফসানদের এলাকার এই হাটটা আমি দেখতে পেলাম ঠিক সেই আগের মতোই। সেখানকার দোকানদারদের বসার ব্যবস্থাটা আগের মতো তারা যে ধরনের পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে সেগুলো অনেকটা আগের মতো। পন্য সামগ্রী যেভাবে মেপে দেয় সেক্ষেত্রেও তারা অনেকটা আগের ধারা বজায় রেখেছে। সেদিন হাটে পৌঁছেই প্রথমে আমরা হাঁস মুরগির দাম জিজ্ঞেস করলাম। তবে হাটটা দেখতে আগেকার গ্রাম্য হাটের মতো হলেও হাটের ব্যবসায়ীরা কিন্তু আর তেমন নেই। কারণ সেখানকার দরদাম শুনে আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। তারা শহরের থেকেও বেশি দাম চাচ্ছিল হাঁস মুরগিগুলোর।


IMG_20240408_121645.jpg

যাই হোক তারপর আমরা আরো সামনে এগিয়ে হাটের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে লাগলাম। এই হাটের ভেতরে মিষ্টি জাতীয় জিনিসপত্রের একটা দোকান ছিলো। সে দোকান থেকে অনেকেই দেখলাম টুকিটাকি কেনাকাটা করছে। সেই সাথে হাটে আরো ছিলো গ্রাম্য টাটকা শাকসবজি। যেগুলো আমার কাছে এই হাটের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ বলে মনে হয়। তবে এই হাটে একটা সমস্যা হচ্ছে যদি তারা বুঝতে পারে আপনি শহর থেকে এসেছেন তাহলে আপনার কাছে দাম বেশি চাইবে। যাইহোক আমরা দুই বন্ধু মিলে হাটের ভেতরে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে তারপর আবার রাফসানের শোরুমে ফিরে গেলাম। দীর্ঘদিন পর গ্রাম্য হাট দেখে বেশ ভালো একটা অনুভূতি নিয়ে ফিরলাম।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

গ্ৰাম-গঞ্জের হাট গুলো শহরের হাট গুলো থেকে একটু ব্যতিক্রম হয়ে থাকে।গ্ৰামের হাট গুলোর মধ্যে সকল প্রকার জিনিস পত্র পাওয়া যায়, কিন্তু অপরদিকে শহরের হাট গুলোর মধ্যে সকল প্রকার জিনিস পত্র পাওয়া গেলেও জিনিস পত্রের দাম একটু বেশি। আপনি ঈদ উপলক্ষে গ্ৰামে চলে এসেছেন এবং আপনার এলাকার একটি পাশ্ববর্তী হাটে ঘোরাঘুরি করেছেন। আসলে গ্ৰাম্য হাট গুলোর মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে ও অনেক বেশি ভালো লাগে।

 2 months ago 

গ্রাম্য হাটে ঘোরাঘুরি করে চমৎকার একটি পোস্ট লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম গ্রামীণ হাটে জিনিসপত্র ক্রয় করার মধ্যে বেশ আনন্দ রয়েছে। একই সাথে আপনার ঘোরাঘুরির গ্রাম্য হাটের মিষ্টি জাতীয় খাবারের দৃশ্যটি দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

ভাইয়া পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে ঈদ উপলক্ষে গ্রামে চলে এসেছেন অলরেডি। আর গ্রামের সবচেয়ে ভালো লাগার একটা বিষয় হচ্ছে গ্রাম্য হাট বাজার। আপনি দেখছি গ্রাম্য হাট বাজার খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন এবং সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছেন এছাড়া খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 2 months ago 

আমার কাছেও দাদা গ্রামীণ হাট গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি যেহেতু আপনার বন্ধুকে সাথে নিয়ে গ্রাম্য হাটে ঘুরতে গিয়েছিলেন, তাহলে তো সেটা অবশ্যই অনেক বেশি উপভোগ্য হয়েছে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া আমিও এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছি , হাঁস-মুরগির দাম গ্রামের হাটের তুলনায় শহরের হাটে বেশি সস্তা। আর এটা সত্যি কথা যে, বিক্রেতারা যখনই বুঝতে পারবে আপনি শহর থেকে এসেছেন, তখনই দাম বেশি চেয়ে বসবে সবকিছুর। হা হা হা...🤭 দাদা, টাটকা শাকসবজি গ্রাম্য হাটেই অনেক বেশি পাওয়া যায়, এটা আমিও দেখেছি।

 2 months ago 

অপরিচিত কাউকে দেখলে তারা একেবারে অনেক দাম চেয়ে বসে থাকে। তারা মনে করে যারা দূর থেকে এসেছে তাদের বাজার দর সম্পর্কে খুব একটা আইডিয়া নেই। তাই তো যা চাইবে তাই দিয়ে দিবে। তবে ভাইয়া এটা ঠিক গ্রামীণ হাট বাজারগুলোতে গেলে শৈশবের অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। আর সেইসাথে টাটকা শাকসবজি কেনা যায়। তবে আজকাল হাঁস,মুরগি, মাছ সবকিছুর দামই অনেকটা বেশি। শহরের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। ভাইয়া আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো।

 2 months ago 

সারাবছর অনেক বন্ধু বান্ধবের সাথে দেখা না হলেও,ঈদের সময় সবাই বাড়িতে ফিরে আসে এবং সবার সাথে দেখা হয়। যাইহোক গ্রাম্য হাটে ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার। বিশেষ করে একেবারে টাটকা সবজি পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশী হাঁস,মুরগিও পাওয়া যায়। এর আগের পোস্টে দেখেছিলাম এই হাটে তো অনেক ছাগলও বিক্রি করে। বাজারের তুলনায় হাটের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলক ভাবে কম হওয়া উচিত। নয়তোবা হাটে ক্রেতারা যেতে চায় না। আপনারা দু'জন বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন হাটে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.23
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 66972.83
ETH 3505.42
USDT 1.00
SBD 3.18