ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট।
আমি খাওয়া-দাওয়া করতে খুবই ভালোবাসি। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা এই বিষয়টা বেশ ভালই জানেন। তবে খেতে ভালবাসলেও খাবারের ছবি তোলার ব্যাপারে আমার কিছুটা অনীহা কাজ করে। আবার খাবার সামনে দেখলে না খেয়ে ছবি তুলতে ইচ্ছা করে না। অনেক সময় এমন হয় যে ছবি তোলার আগেই খাবারটা খেয়ে শেষ করে ফেলি। হা হা হা। পরবর্তীতে আফসোস করতে হয়। আসলেই মজাদার খাবার সামনে নিয়ে ছবি তুলতে আর মন চায় না। তখন মনে হয় খাবার সামনে আসার সাথে সাথে খাওয়া শুরু করি। সে কারণে আমার কাছে বেশিরভাগ সময় রেস্টুরেন্টে গেলেও খাবারের ছবি থাকে না পোস্ট করার সময়। তা তাছাড়া পুরাতন ছবিগুলো আমি কিছুদিন পরপর ডিলিট করে দেই। তারপরও আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে ফুড ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সামনে কয়েকটি খাবার ছবি তুলে ধরব সেই সাথে সেই খাবার সংক্রান্ত কিছু বর্ণনা ও দেবো। তাহলে চলুন আর সময় নষ্ট না করে শুরু করি।
এটি হচ্ছে বারবিকিউ চিকেন রাইস বোল। এই খাবারটি আমার অত্যন্ত পছন্দের খাবার। বিশেষ করে যে রেস্টুরেন্ট থেকে আমি এই খাবারটি খেয়েছি তাদের রান্নার আমি ভক্ত হয়ে গিয়েছি। এই খাবারটা ওই রেস্টুরেন্ট থেকে আমার কাছে এতটাই ভালো লেগেছিল যে কয়েকদিন বাসায় অর্ডার দিয়েও খেয়েছি। এই রাইস বোলে রাইসটা ছিল যেমন ফ্লেভারফুল তেমনি বারবিকিউ চিকেনটা ছিল অত্যন্ত মজাদার।
এই খাবারটির নাম হচ্ছে চিকেন চিলি অনিয়ন। এটিও আমার অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলে রাইসের সাথে আমি বেশিরভাগ সময় এই আইটেম নিয়ে থাকি। গরম ফ্রাইড রাইসের সাথে এই চিকেন চিলি খেতে দারুন লাগে।
কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম কাচ্চি খেতে। যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেখানকার মাটন কাচ্চি আমাদের শহরের ভেতর অন্যতম সেরা। যদিও সেদিনের মাটন কাচ্চিটা খেতে আমার কাছে ততটা ভালো লাগেনি। সেদিনের কাচ্চিতে একটু বেশি ঝাল হয়ে গিয়েছিলো। আমি আবার বেশি ঝাল খেতে পারি না। কিন্তু রাইসটা ঝাল হলেও মাংসটা ছিল অত্যন্ত সফট। রাইসটা খেতে ভালো না লাগলেও মাংসটা খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিলাম।
এটা বারবিকিউ চিকেন উইংস রাইস বোল। আমাদের শহরে একটি রেস্টুরেন্ট আছে যেটার নাম হচ্ছে স্টার কাবাব এন্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। সেখান থেকে এই খাবারটি ফুডপান্ডার মাধ্যমে পার্সেল আনিয়েছিলাম। খাবারটি ছিল অত্যন্ত মজাদার। দেখতে যেমন ভালো লাগছে খাবারটি স্বাদেও ছিল তেমন। এই খাবারটি আমি মাঝে মাঝেই খেয়ে থাকি। প্রথমবার এই খাবারটি খেয়েই খাবারের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে সেই প্রেম এখনো চলছে। হা হা হা
কিছুদিন আগে আমাদের শহরে ঢাকার অত্যন্ত পরিচিত একটি ফাস্টফুড চেইন শপ টেস্টি ট্রিট এর আউটলেট ওপেন হয়েছে। বেশ কিছুদিন থেকেই চিন্তা করছিলাম টেস্টি ট্রিটের আউটলেটে গিয়ে হালকা কিছু খেয়ে আসবো। এর ভিতরে মেয়ে বায়না ধরল সে বাইরে খেতে যাবে। তখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে টেস্টি ট্রিটে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এ খাবারের ছবি তোলা। আমার মেয়ে এই খাবার দুটি খেয়েছিল। খাবার দুটি খেতে বেশ মজার ছিলো।
ছবিতে যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন সেটা হচ্ছে বাটার নান। ঢাকা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম নেহারি খেতে। সেখানেই এই মজাদার নান পরিবেশন করেছিল। নান রুটি আমার এমনিতে খুব একটা পছন্দের খাবার না। কিন্তু এই দিন নান রুটিটা খেয়ে বেশ মজা পেয়েছিলাম।
ছবিতে যেই ড্রিঙ্কস টি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে ওয়াটার মেলন মোহিতো। এই ড্রিঙ্কসটি আমি রোজার ভিতর তৈরি করেছিলাম। ড্রিংসটি যখন তৈরি করি তখন বুঝতে পারিনি আসলে সাদ কেমন হবে। কিন্তু যখন ড্রিংকস তৈরি করা হয়ে গেল তারপর মুখে দিয়ে আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। এই ড্রিংকটি খেতে ছিলো অত্যন্ত মজার তাছাড়া এটি তৈরিতে খুব একটা ঝামেলাও ছিল না।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নানা রকমের আচার দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের মেলা গুলিতে এই দৃশ্যটা অত্যন্ত পরিচিত। ছবিতে যে আচার গুলি দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো সামনাসামনি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগে। তবে এগুলো খাওয়া কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত সেটা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনি তো গভীর রাতে সবার খিদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমন সব লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। প্রতিটা খাবার দেখতে খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় দেখাচ্ছে। রেস্টুরেন্টে গিয়ে এই ধরনের খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। ড্রিঙ্কস দেখে আমার গলা শুকিয়ে গেছে ইচ্ছে করছে এখনই এই এক গ্লাস খেয়ে নেই। প্রতিটা ফটোগ্রাফির খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
নতুন নতুন খাবার খেতে এবং খাবারের স্বাদ নিতে আমার খুবই ভালো লাগে।।
আপনার ফটোগ্রাফিতে প্রত্যেকটা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে খুব লোভ হচ্ছে।। বিশেষ করে প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয়। ইচ্ছে করছে এখনই তুলে খেতে শুরু করি।।
ভর দুপুরে যখন আপনার পোস্টটা পড়ছিলাম, তখন সত্যি বলতে গেলে কি ভাই, পেটের ভিতরে মোচড় দিয়ে উঠেছে, আমি বুঝতে পারলাম আমার মন ক্ষুধার্ত হয়ে উঠেছে।
বেশ লোভনীয় ছিল, খাবারের ছবি গুলো। ☺️🙏
আপনার মত আমিও অনেক সময় ছবি তোলার আগেই খাবারটা খেয়ে শেষ করে ফেল। এরপর আমারও আফসোস হয় যে খাওয়ার আগে ছবি তুললে বেশ ভালো হতো😁। আপনি ঠিকই বলেছেন,আসলেই মজাদার খাবার সামনে নিয়ে ছবি তুলতে আর মন চায় না 😃।আপনার সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভ লেগে গেল ভাইয়া😋। সবগুলো খাবারই দেখতে অনেক আকর্ষণীয় ও লোভনীয় ছিল👌। বিশেষ করে কাচ্চি ও বারবিকিউ চিকেন উইংস রাইস বোল দেখতে বেশী লোভনীয় ছিল😍। তাছাড়া সবগুলো ফটোগ্রাফিই সুন্দর হয়েছে❤️। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে এসেছে😋। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফুড ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।💜
ভাইয়া, আপনার তোলা প্রত্যেকটি খাবারের ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনাগুলো পড়ে মনে হচ্ছে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু। বারবিকিউ চিকেন উইংস রাইস বোল খাবারটি খুবই রুচির সম্মত এবং সুস্বাদু একটি খাবার। বিভিন্ন খাবারের খুবই চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।