রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট।
গত কয়েকদিন ধরে আমি আর বন্ধু ফেরদৌস বেশ ঘোরাফেরা করেছি। অনেকদিন পর এভাবে ঘোরাফেরা করতে বেশ মজাই লেগেছে। তবে কাল থেকে আবার আমার গৃহবন্দী জীবন শুরু। কারণ ফেরদৌস আবার একটি প্রজেক্ট এর কাজে ফরিদপুরের বাইরে চলে যাচ্ছে। গত কটা দিন দুজন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি নদীতে গোসল করেছি। আরো কিছু বন্ধুবান্ধব নিয়ে দূরের এলাকায় গিয়েছি খাবার খেতে। এই সমস্ত ঘোরাফেরার সময় বেশ কিছু ছবি তুলেছি। এখন কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে ছবি তোলাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আজকে সেখান থেকে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে
গত কয়েকদিন আগে আমরা কয়েক বন্ধু গিয়েছিলাম পদ্মা নদীতে গোসল করতে। অবশ্য গত কিছুদিনের ভেতর তিনবার আমরা পদ্মা নদীতে গোসল করেছি। গোসল করতে যাওয়ার পথে এই ছবিটি তোলা। ছবিতে আপনারা যেটা দেখছেন এটা আসলে কোন নদী নয়। এটা নদীর ভেতরে দুটো চরের ভেতরে তৈরি হওয়া একটি সরু খাল। এই ধরনের জায়গায় গোসল করতে দারুন মজা লাগে। অনেকটা ন্যাচারাল সুইমিংপুলের মত মনে হয়। কারণ এই সমস্ত জায়গার পানি থাকে একেবারে টলটলে পরিষ্কার।
এই ছবিটি তোলা গোসল করতে যাওয়ার একটু আগে। ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন কিছুটা দূরে নদীর ভেতরে জেগে ওঠা একটি ছোট্ট চর। সেই চরে নদীর তীরবর্তী কোন একটি বাড়ির এক শিশু খেলা করছে। যদি যদিও ছবিটি দূর থেকে তোলার কারণে বোঝা যাচ্ছে না যে বাচ্চাটির বয়স কতো। আমরা যারা শহরে থাকি তারা এই বয়সে বাচ্চাদের এমন জায়গায় আসার কথা চিন্তাও করতে পারি না। কিন্তু যাদের বাড়ি নদীর পাশে তাদের কাছে এটা কোন ব্যাপারই না।
কিছুদিন আগে আমি আর ফেরদৌস আমাদের প্রিয় একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পথে একটি ব্রিজের উপর থেকে ছবিটি তুলেছিলাম। গোধূলি লগ্নে নদীর বুকে অস্তমিত সূর্যের প্রতিবিম্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে ছবিটিতে। এ ধরনের দৃশ্য দেখলে মনটা কেমন যেন উদাস হয়ে যায়।
এই ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ঘোড়ার গাড়িতে করে কৃষক তার ফসল কেটে নিয়ে আসছে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ জায়গায় রাস্তাঘাট ভালো হলেও এখনো প্রত্যন্ত কিছু এলাকা আছে যেখানকার রাস্তাঘাটের অবস্থা ভালো নয়। সেখানে এই সমস্ত ঘোড়ার গাড়ি একমাত্র ভরসা। লোকজন যাতায়াত থেকে শুরু করে মালপত্র টানা সব কাজেই ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করা হয়।
এই ছবিটিও নদীতে গোসল করতে যাওয়ার সময় তুলেছিলাম। ছবিটি তোলা হয়েছিল নদীর পাড় থেকে। এই ছবিতে যে জায়গাটা দেখতে পাচ্ছেন আমরা মূলত সেখানেই এই কয়েকদিন গোসল করেছিলাম। জায়গাটা গোসল করার জন্য দারুন সুন্দর ছিল। লোকজনের কোলাহল থেকে বেশ খানিকটা দূরে নির্জন মত জায়গা। যদিও সেখানে অল্প কিছু স্থানীয় লোকজন আমাদের সাথে গোসল করেছিলো। তারপরেও জায়গাটা আমাদের খুবই পছন্দ হয়েছিলো।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন গ্রামীণ ফসলের মাঠ এবং একটি পুকুরের একাংশ। আমি আর ফেরদৌস বন্ধু রাফসানের এলাকায় গেলে তখন মাঝেমাঝে এই জায়গাতে গিয়ে আড্ডা দেই। এই ছবিটি তুলেছিলাম একটি ব্রিজের উপর থেকে। ব্রিজের উপর থেকে আসে পাশে ফসলের ক্ষেতের দৃশ্য দারুন মুগ্ধকর লাগছিলো।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি গ্রামীন নির্জন রাস্তা। প্রচন্ড তাপদাহের ভেতরে এই ধরনের রাস্তা দেখলে অজান্তেই মনের ভেতরে শান্তি লাগে। দেশের সমস্ত রাস্তাঘাট যদি এমন হতো তাহলে আজকে আমাদের দেশের তাপমাত্রা অনেকটা কম থাকতো।
এটাই সেই ব্রিজ যেই ব্রিজের উপর আমরা মাঝে মাঝে বসে আড্ডা দেই। সেদিন যখন আমরা সিঙ্গারা খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। তখন এই ব্রিজের উপর কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করেছিলাম অন্য বন্ধুদের আসার জন্য। যখন সেখানে বসেছিলাম তখন দারুণ বাতাস বয়ে যাচ্ছিলো। ব্রিজের উপর বসে থাকার জন্য আবহাওয়াটা ছিল একেবারে পারফেক্ট।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নদীর পাড়ে বেশ কিছু নৌকা ভেড়ানো রয়েছে। এর ভিতরে বেশিরভাগই জেলের নৌকা। এই নৌকা গুলির মাঝিরা সন্ধ্যা হলে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়ে। সারারাত মাছ ধরে ভোরের দিকে তারা পায়ে ফিরে আসে পরে সারারাত ধরে তারা যে মাছ ধরেছে সেই মাছ নিয়ে হাটে যায় বাজারে যায় বিক্রি করতে আর দিনের বেলাটা তারা ঘুমিয়ে কাটায়
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি তো দেখি ফেরদৌস বন্ধু না থাকলে পুরো একা ৷ কারন প্রতি ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত ছিল ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ৷ তবে নদীতে স্নান করার মুহূর্ত গুলো সেই শৈশব জীবনে আহা ৷ তবে এখনো ভালো লাগে নদীতে স্নান করতে ৷ যা হোক ভালো লাগলো আপনি নদীতে স্নান করার মুহূর্ত গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন ৷
পদ্মা নদী বন্ধু গোসল স্মৃতিগুলো যেন ধুলায় মলিন হয়ে গিয়েছে একসময় খুব করে এরকম ভাবে ঘোরাফেরা করেছি।।
কত যে পদ্মা নদীতে গোসল করেছি আর পদ্মা নদীর পাড়ে বনভোজন করেছি এর কোন শেষ নেই।।
ফেরদৌস ভাই এর সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন বেশ কিছুদিন জানতে পেরে ভালো লাগলো।। ফেরদৌস ভাই তো মাঝে মাঝে আসে আবার দেখে হুট করে দূরে চলে যায়।।
আজকের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।।
ফটোগ্রাফ গুলো দারুন ছিল ভাইয়া। সাথে বর্ণনাও।নদীর তীরে জন্মগ্রহণ করা বাচ্চা গুলো ছোট থেকেই সাতার পটু হয়ে ওঠে। আমার জন্মও নদী তীরে তাই বুঝতে পারি।গ্রাম বাংলা ও নদী তীরের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল ভাইয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফ গুলো শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু ফেরদৌস ভাইয়ার এতো এতো কথা,গল্প শুনে বোঝাই যাচ্ছে আপনি আর ভাইয়া একপ্রান।দুজন মিলে খুব ঘোরাঘুরি, নদীতে গোসল সবকিছুই যেনো আনন্দের বার্তা বয়ে আনে আপনাদের দুজনের মনে।ভাইয়া আবার কাজের জন্য শহরের বাইরে যাচ্ছে।আপনি এখন একা হয়ে যাবেন বেশ কিছুদিন।যাই হোক খুব সুন্দর কিছু নদীর তীরের, পথের,প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। অসাধারণ হয়েছে সবগুলো ফটোগ্রাফি। গ্রাম বাংলার এমন সৌন্দর্য সত্যি ই খুব ভালো লাগে। গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সবাই সাঁতার জানে। আফসোস আমি জানি না।যাক খুব ভালো লেগেছে ফটোগ্রাফিগুলো দেখে।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনার করা প্রকৃতির এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে কিন্তু ভাইয়া আমার শহরে মন বসছে না। ঐ যে একটা গান আছে না- আমার মন বসে না শহরে, ইট পাথরের দালানে। আমার তো এমন অবস্থাই হলো ভাইয়া। আসলে আমি মনে করি ফেরদৌস ভাইয়ের মত এমন একজন বন্ধু যার আছে তার আর জীবনে কোন কিছুর কমতি হওয়ার কথা নয়। দোয়া করি এমনি ভাবে আপনাদের বন্ধন অটুট থাকুক ভালোবাসার বন্ধনে চিরজীবন।
এমন পরিষ্কার পানিতে গোসল করতে খুব ভালো লাগে। যদিও এখন আর সেগুলো হয়ে উঠে না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার তো ইচ্ছে করছে আপনাদের সাথে গিয়ে নদীতে গোসল করতে। যাইহোক এমন মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে নদীর পাড়ের ফটোগ্রাফি এবং পুকুরের পাশে গ্রামীণ ফসলের মাঠের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অসাধারণ সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনার তোলা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ঘোড়ার গাড়িতে করে একটি কৃষক তার ফসল কেটে নিয়ে আসছে, নদীর পাড়ে নৌকা ভেরানো ছবি, ফসলের মাঠ ও পুকুরের একাংশ এই ছবিগুলো আমার মন মুগ্ধ করেছে।সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।