বন্ধু ফেরদৌসের সাথে সামরিক বাহিনী জাদুঘর দর্শন ( ষষ্ঠ পর্ব)।
এই ছবিটা তুলেছিলাম সম্ভবত সামরিক বাহিনী মিউজিয়ামের তৃতীয় তলা থেকে চমৎকারভাবে অনেকগুলো বন্দুক একসাথে গোল করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে দৃশ্যটা উপর থেকে দেখতে দারুন লাগছিল মনে হচ্ছিল কোন একটা বাঙ্কারের ভেতর অনেকগুলো শূন্য চারিদিকে বন্দুক ত্যাগ করে রেখেছে অনেকেই দেখলাম আগ্রহ নিয়ে এই ছবিটি তুলছে তাই আমিও একটি ছবি তুলে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
এটি একটি অ্যান্টি ট্যাংক মাইন্ড একটা সময় ছিল যখন ট্যাংক যুদ্ধক্ষেত্রে রীতিমতো রাজত্ব করত ব্যাংকের সামনে পদাতিক বাহিনী পুরোপুরি অসহায় বোধ করত তখন ট্যাংক বিধ্বংসী এখন তার মত এত প্রযুক্তি তৈরি হয়নি তখন এই এন্টি ট্যাঙ্ক মাইন্ড গুলো ছিল মূল ভরসা ট্যাংক যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করবে সে সমস্ত জায়গায় এই মাইন গুলো পুতে রাখা হোতো।
এখানে যেই রাইফেল গুলো দেখছেন সবগুলো অটোমেটিক রাইফেল। এই রাইফেল গুলো আধুনিক সময়ে অনেক সেনাবাহিনী ব্যবহার করে থাকে। এখানে m4 থেকে শুরু করে m16 বিভিন্ন রকমের রাইফেলের মডিফাইড ভার্সন রয়েছে। খেয়াল করে দেখুন কিছু রাইফেলের সাথে গ্রেনেড লঞ্চার সেট করা রয়েছে। এই রাইফেল গুলো যুদ্ধক্ষেত্রে খুবই কার্যকর। এগুলো একাধারে যেমন সিঙ্গেল শট ফায়ার করতে পারে তেমনি অটোমেটিক ফায়ারও করা সম্ভব এ রাইফেল গুলো দিয়ে। আমার কাছে কিন্তু এই রাইফেল গুলো দেখতে দারুণ লেগেছিলো। দেখে মনে হচ্ছিলো এরকম একটা রাইফেলের মালিক হতে পারলে মন্দ হোতো না।
উপরে যে চারটি ছবি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো বিভিন্ন রকম গোলাবারুদের ছবি। এর ভেতরে যেমন কামানের শেল রয়েছে তেমনি রয়েছে মর্টার শেল বা গোলা। এত রকমের গোলাবারুদ এর আগে আমি কখনো সামনাসামনি দেখিনি। গোলাবারুদ যে কতো রকম হতে পারে সেটা এখানে না আসলে বুঝতে পারতাম না।
উপরে যে বাহনটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি আসলে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হোতো। খেয়াল করে দেখুন জিপের উপরে লম্বা আকৃতির একটি ব্যারেল দেখা যাচ্ছে। এখান থেকে শক্তিশালী গোলা নিক্ষেপ করা হতো ট্যাংকের উদ্দেশ্যে। এই জীপটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিলো। জিপটি বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছিলো। শেষপর্যন্ত তাদের অস্ত্রে তাদের অনেক ট্যাংক ঘায়েল করেছিলো মুক্তি বাহিনীর দামাল ছেলেরা।
উপরের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেশ কয়েক ধরনের মর্টার। মর্টার যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার হওয়া অত্যন্ত কার্যকর একটি অস্ত্র। এই ড্রোনের যুগেও এখনো মর্টারের যুদ্ধক্ষেত্রে বেশ কদর রয়েছে। বিভিন্ন আকারের মর্টার হয়ে থাকে। কোনটার পাল্লা হয়ে থাকে কম আবার কোনোটার পাল্লা কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
উপরের ছবি দুটিতে আপনারা আরো কিছু রাইফেলের ছবি দেখতে পাচ্ছেন। এই ধরনের অস্ত্র মিউজিয়ামের ছিলো প্রচুর। রাইফেলের ভেতর যে কতো রকম ফের হতে পারে সেটা এই সামরিক বাহিনী জাদুঘরে না গেলে বুঝতে পারতাম না। এর ভিতর অনেকগুলো রাইফেল আছে যেগুলো দেখলে প্রায় একই রকম মনে হয়। তবে সামান্য পার্থক্যের কারণে তাদের কার্যকারিতা ভিন্ন হয়ে থাকে।
উপরের এই অস্ত্র টা দেখে আমি চিনতে পারিনি। সেটার পাশে কোন কিছু তেমন লেখা ও ছিলো না। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম এটা কোনো অ্যান্টি ট্যাঙ্ক রাইফেল হবে। একটা সময় ছিল যখন ট্যাংক ধ্বংস করার কাজে এই ধরনের রাইফেল ব্যবহার করা হোতো। যদিও আবার একটা পর্যায়ে আমার কাছে এটা মেশিনগানের মতো মনে হয়েছে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারিনি অস্ত্রটা আসলে কোন ধরনের অস্ত্র ছিলো। আপনারা যদি কেউ জেনে থাকেন সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, আগারগাঁও |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া এর আগেও আপনার এ পর্বগুলো আমি দেখেছি খুবই ভালো লেগেছিল। ঠিক তেমনি আজকে আপনি আমাদের মাঝে আবার এটির ষষ্ঠ পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া জাদুঘর ভ্রমন করে সেখান থেকে বেশ কয়েকটি সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভাইয়া আপনার সামরিক বাহিনীর জাদুঘর দর্শন এর পর্বগুলোতে বিভিন্ন অস্ত্রের ছবি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। ইচ্ছা করতেছে সাময়িক বাহিনীর জাদুঘর থেকে ঘুরে আসি। প্রথম চিত্রে চতুর্দিকে গোল করে সাজিয়ে রাখা রাইফেল গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগতেছে। তারপর এন্টি ট্যাংক মাইন্ড এই অস্ত্রটাকে দেখি তোমায় প্রথমে রাইস কুকার মনে করেছিলাম 😁। পরে ভালোভাবে পড়ে দেখলাম যে এটা একটা যোদ্ধাস্ত্র ছিল সে সময়ের। মর্টার নামে যে যুদ্ধঅস্ত্র তুলে ধরেছেন আজকে সেটা তো প্রায় ক্যামেরার মতো দেখাচ্ছে। আসলে আজকের প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে এবং বর্ণনাগুলো আরো অনেক ভালো হয়েছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর পোস্টটা আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঢাকায় গেলে সময় পেলে একবার এই সামরিক বাহিনীর জাদুঘর থেকে ঘুরে আসবেন। দেখবেন সময়টা ভালো কাটবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সাজেশন এর জন্যে।
আপনার বন্ধু সহ সামরিক জাদুঘর দর্শনের ৬ষ্ঠ পর্ব বেশ ভাল লেগেছে ভাইয়া। বিভিন্ন অস্ত্র আর গোলা বারুদ দিয়ে সাজিয়েছেন আজকের পর্বটি। সামরিক বাহিনী নিয়ে টোটাল প্যাকেজ এই জাদুঘটি।জাদুঘটি ঘুরে আসলে সামরিক বাহিনী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারা যায়। আপনি ধারাবাহিক ভাবে জাদুঘটি নিয়ে লিখছেন। অনেক অজানা জানতে পারছি। আজকের পর্বটি শেয়ার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
সেখানে আসলেই দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। সুযোগ পেলে কখনো গিয়ে জাদুঘরটি দেখে আসবেন। অনেক কিছু দেখতে এবং জানতে পারবেন।
আপনার এই বানানটি ভুল হয়েছে। অনুগ্রহপূর্বক বানানটি সংশোধন করে নিন।
ভাই সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জামাদি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রথম ফটোগ্রাফিটা এককথায় দুর্দান্ত লেগেছে। তাছাড়া অটোমেটিক রাইফেল গুলোও দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে। এই রাইফেল গুলো আসলেই বেশ কার্যকরী এবং দেখতেও চমৎকার। শেষের ফটোগ্রাফিটা দেখে মনে হচ্ছে মেশিনগান। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম সম্পূর্ণ পোস্টটি। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার কাছেও অস্ত্রটা প্রথমে মেশিনগান মনে হয়েছিলো। কিন্তু ব্যারেলটা অতিরিক্ত লম্বা দেখে পরে কিছুটা কনফিউশনে পড়ে গিয়েছিলাম।