পরিবার নিয়ে কেনাকাটা ও বাইরে খাওয়ার অভিজ্ঞতা (শেষ পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে আমরা পছন্দসই একটি টেবিলে বসলাম। টেবিলে বসার কিছুক্ষণের ভেতরেই ওয়েটার চলে এলো। একটি মেনু কার্ড নিয়ে আমরা মেনু কার্ড থেকে পছন্দ করে একটা বারবিকিউ চিকেন নাচোজ আর একটা সিজলিং চাওমিন অর্ডার করলাম। রিভেইরা লাউনজ নামের এই রেস্টুরেন্টটি আমাদের শহরের একটি নদীর পাড়ে অবস্থিত। এই রেস্টুরেন্টের সবই আমাদের কাছে ভালো লাগে শুধু একটি বিষয় বাদে। সেটি হচ্ছে তারা খাবার পরিবেশন করতে অনেক সময় লাগায়। অবশ্য তারা বলে আমরা সব সময় ফ্রেশ খাবার সার্ভ করি এই জন্য আমাদের সময় বেশি লাগে।

IMG_20230913_202750.jpg

যাই হোক ওই রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে আমরা মনে মনে একটু দেরি করার প্রস্তুতি নিয়েই যাই। খাবার অর্ডার দেয়ার সময় জিজ্ঞেস করেছিলাম কতটা সময় লাগবে। ওয়েটার জানালো প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগবে। আমি তখন ওয়েটারকে বললাম তাহলে চিকেন নাচোজটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিন। আর সিজলিং চাওমিনটা চেষ্টা করবেন ৩০-৩৫ মিনিটের ভিতরে দিতে। খাবার অর্ডার দিয়ে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম। মনে করেছিলাম চিকেন নাচোসটা তারা তাড়াতাড়ি পরিবেশন করবে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরও দেখি খাবার পরিবেশন এর কোন নাম গন্ধ নেই। এর ভেতরে অন্য আরেকজন ওয়েটারকে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম খাবারের কতদূর? তখন সে জানালো নাচোসটা আর কয়েক মিনিটের ভেতরে পরিবেশন করবে।
তবে সিজলিং চাওমিনটা হতে আরো একটু সময় লাগবে।


IMG_20230913_202057.jpg

এই কথা বলার কয়েক মিনিট পরেই দেখি ওয়েটার আমাদের টেবিলে চিকেন নাচোজ দিয়ে গেলো। তার কয়েক মিনিট পরেই দেখি সিজলিং চাউমিনটাও টেবিলে চলে এলো। যাই হোক অনেকক্ষণ বসে থেকে এমনিতেই ক্ষুধা লেগেছিলো। তাই টেবিলে খাবার আসতে দু একটা ছবি তুলে আমরা খাওয়া শুরু করলাম। দুটো আইটেম অর্ডার করেছিলাম দুটোই ছিল দারুন মজাদার। অবশ্য প্রথমে আমরা বারবিকিউ চিকেন নাচোজটা খেয়েছিলাম। তারপরে খাওয়া শুরু করলাম গরম ধোঁয়া ওঠা সিজলিং চাউমিন। সিজলিং চাওমিনটাতে খেয়াল করলাম মিষ্টির পরিমাণ একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। বাদবাকি সব ঠিকই ছিলো।


IMG_20230913_200642.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে দ্রুত বিল মিটিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দিতে চাইলাম। কিন্তু মেয়ে তখন আবদার করল আমরা এখন একটু রিক্সায় করে কিছুক্ষণ ঘুরবো। অগত্যা কি আর করা ? মেয়ের সেই আবদার মেনে নিতে হলো। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আমরা কয়েকটি ছবি তুলি। তারপর একটি রিক্সা করে ঘুরতে বের হলাম। অবশ্য রাত্রে রিকশা করে ঘুরতে এমনিতেও অনেক ভালো লাগে। অনেকদিন আমি আর আমার স্ত্রী পরিকল্পনা করেছি যে সন্ধ্যার পরে আমরা রিক্সা করে ঘুরতে বের হবো। কিন্তু সেই পরিকল্পনাটা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। সেদিন মেয়ের আবদারের কারণে অবশেষে আমাদের সেই পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত হয়েছিলো।


IMG_20230913_201025.jpg

আমরা রিকশা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম ফরিদপুর শহরের ভেতরে অবস্থিত একটি লেকের পারে। এই লেকেরপাড় আমাদের কাছে বেশ পছন্দের একটি জায়গা। যদিও রাতের অন্ধকারে লেকের সৌন্দর্য একেবারেই বোঝা যাচ্ছিল না। তার পরেও রিক্সা করে সেই লেক পর্যন্ত যাওয়া তারপর সেখানে কিছুক্ষণ বিরতি দেয়া তারপর আবার রিক্সা করে বাসায় চলে আসা সবকিছু মিলিয়ে অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালই ছিলো। ঘোরাফেরা শেষে আমরা বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছিলাম। সেদিনের ঘোরাফেরা আর খাওয়া-দাওয়া সবকিছু মিলিয়ে সময়টা আমাদের বেশ দারুন কেটেছিলো।



আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা ২আই
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

@rupok

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 10 months ago 

সবমিলিয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে একটু সময় লাগবেই। তবে অনেকে আছে আবার খাবার সার্ভ করতে একটু বেশিই সময় নিয়ে নেয়। এটা আবার বেশ বিরক্তিকর। খাওয়ার পর আবার মেয়ের আবদারে রিক্সায় লেকের পাড়ে। চমৎকার ভাই। সবমিলিয়ে সবাই একসঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই।।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

এই খাবারটা গত সপ্তাহে ও সবাই মিলে খেয়েছিলাম আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে খাওয়া দাওয়া শেষে যেহেতু রিকশা নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন সেহেতু সেটা আরো মজার ছিল মনে হয়। তার জন্য অবশ্য ভাবিকে মনে হয় বেশি ক্রেডিট দিয়েছেন।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

মেয়ের আবদারে আপনাদের ইচ্ছাটাও পূর্ণ হয়ে গেল ভাইয়া। রিকশায় ঘুরতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। যাই হোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে বুঝতে পারছি ভাইয়া। আসলে ফ্রেশ খাবার সার্ভ করার জন্যই হয়তো তারা অনেকটা সময় নিয়েছে। আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য এবং আপনার পরিবারের সবার জন্য শুভকামনা রইল।

 10 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68221.63
ETH 3277.70
USDT 1.00
SBD 2.66