পছন্দের কিছু ছবি নিয়ে ফটোগ্রাফি পোস্ট।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি সরিষা ক্ষেতের ছবি। আসলে এই ঋতুতে যখনই গ্রামের দিকে ঘুরতে যাই তখনই এই দৃশ্যটা আমার মন কেড়ে নেয়। হলুদ সরিষা ফুলে পুরো মাঠ ছেয়ে রয়েছে। আমরা যারা শহরে থাকি তাদের কাছে এই দৃশ্যটা অসাধারণ লাগে। কারণ এই দৃশ্যটা আমরা সচরাচর দেখতে পাই না। কয়েকদিন আগে বন্ধু ফেরদৌস এর সাথে গিয়েছিলাম চরে ঘুরতে। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিটি তুলেছিলাম একটি খালের পাড় থেকে। পদ্মা নদী থেকে একটি সরু খাল আমাদের শহরের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। সেখানে এই মৎস্য শিকারিদের দেখতে পেয়ে ছবিটি তুলেছিলাম। আমরা কয়েক বন্ধু বিকেলে ঘুরতে বের হয়ে এই দৃশ্যটি দেখেছিলাম। বন্ধু ফেরদৌসের আবার মৎস্য শিকারের প্রতি আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। যার ফলে সে মৎস্য শিকারিদের দেখলেই নানা রকম গল্প শুরু করে দেয়। যদিও সেদিন তাকে সেই সুযোগ দেইনি। ছবি তুলেই সেখান থেকে সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছিলাম।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ট্রলার থেকে একটি মোটরসাইকেল নামছে। আসলে চরের মানুষেরা প্রতিদিন এভাবেই যাতায়াত করে। পদ্মার চর থেকে ট্রলারে করে মানুষ শহরে আসে। আবার শহর থেকে বিভিন্ন মালপত্র কিনে নিয়ে এই ট্রলারে করে ওপারে চলে যায়। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়ি বা মোটরসাইকেলে করে তারা তাদের মালপত্র আনানেয়া করে। অবশ্য ঘোড়ার গাড়ি বা মোটরসাইকেল যে শুধু মালপত্র আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হয় তা নয়। ঘোড়ার গাড়ি বা মোটরসাইকেলে করে মানুষ যাতায়াত ও করে।
কিছুদিন আগে ঢাকা গিয়ে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলাম বিমান বাহিনীর মিউজিয়ামে। সেই মিউজিয়াম এলাকার ভেতরে বাচ্চাদের জন্য একটি পার্ক ছিলো। সেই পার্কের পাশেই এই ভাস্কর্য গুলো দেখতে পেয়েছিলাম। দেখে বেশ পছন্দ হওয়াতে সেটার ছবি তুলে নিয়েছিলাম। আমার মেয়েও অবশ্য এই ভাস্কর্য গুলি দেখে খুব খুশি হয়েছিলো।
অদ্ভুত দেখতে এই ভাস্কর্যটি রয়েছে আইডিবি ভবনের সামনে। এ ভাস্কর্যগুলো তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটারের বিভিন্ন বাতিল যন্ত্রাংশ দিয়ে। এই ভাস্কর্যের আইডিয়াটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। ভাস্কর্য দুটো দেখতে মনে হচ্ছিলো কোন হলিউড ফিল্মের রোবট।
এই হেলিকপ্টারটির ছবি তুলেছিলাম বিমান বাহিনীর মিউজিয়াম থেকে। বিমান বাহিনীর মিউজিয়ামের ভেতরে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ছিলো। তার ভেতর কয়েকটিতে ওঠার ব্যবস্থাও ছিলো। সেখানে দেখেছিলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহার করা হেলিকপ্টার ছিলো। আরো বেশ কিছু হেলিকপ্টার ছিলো যেগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা হয়েছিলো। সেগুলি দেখে বেশ ভালো লেগেছিলো তাই সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম।
এই ছবিটি তুলেছিলাম বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর জাদুঘর থেকে। সামরিক বাহিনীর জাদুঘরের বিল্ডিং এর এক পাশে একটি কৃত্রিম লেক তৈরি করে সেখানে যুদ্ধজাহাজের একটি মিনিয়েচার বানিয়ে রাখা ছিলো। কাছ থেকে দেখে অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল না যে এটি আসল যুদ্ধ জাহাজ না নকল। তবে যুদ্ধ জাহাজটি দেখে বেশ ভালো লেগেছিলো।
এই ছবিটি তুলেছিলাম বাইতুল মোকাররম মার্কেটের সামনে থেকে। সেখানে একটি খেলনার দোকান দেখতে পেয়ে বেশ ভালো লেগেছিলো। তাই চিন্তা করলাম এটার একটা ছবি তুলে নিয়ে যায়। নানা রকম রংবেরঙের খেলনায় দোকানটি ভরা ছিলো। একটা সময় মানুষ মনে করতো এই সমস্ত দোকানে কম দামে খেলনা পাওয়া যা।য় তবে ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও তেমন নয়। আজকাল এই সমস্ত দোকান ও একদামে জিনিসপত্র বিক্রি করা শুরু করেছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা, ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
পছন্দের কিছু ছবি নিয়ে ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছেন। দেখতে তো ভীষণ অসাধারণ। আমারও ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন ভাই এটা আমাদের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে কোথাও গেলে সুন্দর কোন দৃশ্য দেখলেই ফটোগ্রাফি করা। সরিষা খেত ছোট খাল ট্রলার সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর ছিল। বাংলাদেশ সামরিক জাদুঘরে আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম। বেশ চমৎকার ছিল ওখানকার সহ অন্য ফটোগ্রাফি গুলো ভাই।
আসলেই ভাই আমরা যারা ব্লগিং এর সাথে জড়িত,তাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে বাহিরে গেলেই ফটোগ্রাফি করার। যাইহোক আপনার শেয়ার করা ৮ টি ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে ভাই। বিশেষ করে সরিষা ফুলের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। কারণ সরিষা ফুল বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। আইডিবি ভবনের সামনের এই ভাস্কর্যগুলো দেখতে আসলেই অদ্ভুত লাগে। এই সমস্ত ক্রিয়েটিভ কাজগুলো অবশ্যই বেশ প্রশংসনীয়। সবমিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি থেকে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করতে খুব ভাল লাগে।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করলাম খুবই ভালো লাগলো।
বিশেষ করে সরিষা ক্ষেত।
আমিও শিলাদা ঘাট পার হয়ে দুইবার পাবনা গিয়েছিলাম এরকম ভাবে নৌকায় করে বাইক নিয়ে কেমন যেন একটা ভয় ভয় লাগে আমার কাছে।
ফটোগ্রাফি গুলো সম্পর্কে উপস্থাপনা ও খুব সুন্দর করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপনি ঠিক বলছেন ভাইয়া ইদানিং ফটোগ্রাফি করা একটা নেশার মত হয়ে গেছে। কোন কিছু ভাল চোখে পড়লেই ফটোগ্রাফি নেওয়ার চেষ্টা করি। বেশ ভালোই করলেন আপনি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি থেকে ৮ টি ফটোগ্রাফি সিলেক্ট করলেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফির মধ্যে ভিন্ন ধরনের বৈশিষ্ট্য লোকিত রয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।