দুই বন্ধুর কমলা বাগান দর্শন (প্রথম পর্ব)।
সবসময় শুনে এসেছি পাহাড়ি এলাকায় কমলার চাষ হয়। কিন্তু আমাদের শহরেও যে কমলার চাষ শুরু হয়েছে এটা জেনে আসলেই কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। তবে এটা জানার পর থেকেই মনের ভিতরে একটি ইচ্ছা কাজ করছিলো সেই বাগানে ঘুরতে যাওয়ার। কারণ আমি কখনো কমলা বাগান দেখিনি। ফেরদৌস ফরিদপুরে থাকলে হয়তো ফেরদৌসকে নিয়ে যে কোনদিন চলে যেতাম কমলা বাগানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু ফেরদৌস না থাকায় আমি ঠিক করলাম এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের কয়েকজনের সাথে সেখানে যাবো। এই নিয়ে ওদের সাথে কথাও বললাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এলাকার যে বন্ধুবান্ধবগুলো রয়েছে তাদের ভেতরে সবারই কোনো না কোনো সমস্যা লেগেই থাকে।
শোভন নামের আমাদের এক ছোট ভাই রয়েছে। যার সাথে অনেকটা বন্ধুর মতো সম্পর্ক। সে যে কোন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে পরিকল্পনা করার সময় খুবই আগ্রহী থাকে। কিন্তু যখনই ঘুরতে যাওয়ার সময় হয় তখনই দেখা যায় তার কোনো না কোনো সমস্যা হয়েছে। এদিকে বন্ধু রুবেলের সাথেও কথাবার্তা বলেছিলাম। কিন্তু রুবেল জানিয়েছিল আপাতত সে কোথাও যেতে পারছে না একটি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে।
শেষ পর্যন্ত আমি বন্ধু রাশুর সাথে পরিকল্পনা করলাম আর কেউ না গেলে আমি আর রাসু দুজন মিলে কমলা বাগান দেখতে যাবো। যদিও সাথে শোভন কেও বলেছিলাম। কিন্তু শোভনের ব্যাপারে আমাদের দুজনেরই পরিষ্কার ধারণা থাকায় আমরা চিন্তা করলাম শোভন না গেলেও আমরা দুজন যথাসময়ে রওনা দিয়ে দেবো। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত শুক্রবার তিনটার দিকে আমরা কমলা বাগানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। রওনা দেয়ার আগে অবশ্য শোভনকে ফোন করা হয়েছিলো। সে জানিয়েছিল তার পেটের সমস্যা চলছে। তাই আমরা আর শোভনের জন্য অপেক্ষা না করে রওনা দিয়ে দিলাম কমলা বাগানের উদ্দেশ্যে।
কমলা বাগানের অবস্থান আমাদের শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। সেই কারণে প্রথমে আমরা রিকশা নিয়ে চলে গিয়েছিলাম বাসস্ট্যান্ডে। তারপর সেখান থেকে একটি বাসে উঠে যে এলাকায় কমলা বাগান সেখানে গিয়েছিলাম।তবে শুক্রবার বাস পেতে আমাদের বেশ কিছুটা সময় লেগেছিলো। সাধারণত বাসের জন্য আমাদের কখনো তেমন একটা দেরি করতে হয় না। তবে সেদিন লোকের কাছ থেকে জানতে পারলাম বাসের সংখ্যা অনেক কম ছিলো। কারণ শুক্রবারে নাকি অনেক বাস বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়ায় চলে যায়। সেই কারণে শুক্রবারে নাকি বাসস্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা কিছুটা কম থাকে। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর বোয়ালমারি গামি একটি বাসে উঠে পড়লাম। যদিও কমলা বাগান যে এলাকায় সেই এলাকাটা সম্বন্ধে আমাদের দুজনের কারোরই তেমন কোন পরিষ্কার ধারণা ছিলো না। অবশ্য একটা সময় ওই এলাকায় আমার অনেক যাতায়াত ছিলো চাকরি সূত্রে। কিন্তু দীর্ঘদিন হলো চাকরি ছেড়েছি। যার ফলে সেই এলাকার অবস্থান এবং রাস্তাঘাট আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | মধুখালি |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরিকল্পনা মোতাবেক সবাই সবকিছু করতে পারে না।যেমন আপনারা কয়েকজন মিলে কমলা বাগানে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেও শেষমেষ ২জন মিলে গেলেন কমলা বাগান দেখতে। আমার নানার বাড়িতে এমন একটা কমলা গাছ আছে।এগুলো দেখতে একদম সেগুলোর মতই লাগছে।শুক্রবারে এমনিতেই বাস কম থাকে,কারণ আমার আব্বু সেদিন আসার সময় গাড়ি পায় নি,পরে পেয়েছিল।যাইহোক আজকের পর্ব পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া।
কমলা বাগান দর্শনের ১ম পর্বে বন্ধুদের নিয়ে দারুণ লিখেছেন।একেবারে বন্ধুদের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। শেষ পর্যন্ত বন্ধু রাসুকে ভ্রমণ সঙ্গী করতে পেরেছেন।আশাকরি আগামী লেখায় কমলা বাগানের আদ্যপ্রান্ত জানতে পারবো। লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কয়েকজন মিলে কোথাও গেলে বেশ আনন্দ লাগে এবং সময়টা কিভাবে কেটে যায়, সেটা টের পাওয়া যায় না। তবে অনেক সময় তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তখন বাধ্য হয়ে ২/১ জন নিয়েই চলে যেতে হয়। যাইহোক শোভন ভাইয়ের যেহেতু পেটের সমস্যা চলছে, সেজন্য আপনারা দু'জন চলে গেলেন কমলা বাগান দেখতে। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।