বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আমাদের শহরে এখন বিভিন্ন রকমের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতো রকমের মেলা আগে কখনো দেখিনি। গত কয়েক বছর ধরে এই বিভিন্ন রকমের মেলার আয়োজন দেখছি। এই আয়োজনগুলোর পিছনে মূলত রয়েছে বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক সংস্থা। সেই সাথে শহরের উদ্যোমি কিছু তরুণ। কিছুদিন আগে সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করার জন্য। সেখানে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম একটি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তখন আমার স্ত্রী বলল যাওয়ার সময় এই মেলা থেকে ঘুরে গেলে ভালো হোতো। আমিও তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেলাম। পরবর্তীতে রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা বাড়ি না ফিরে রওনা দিলাম সেই মেলার উদ্দেশ্যে।

অবশ্য মেলায় গিয়ে সেদিন লোকজন দেখেছিলাম একেবারেই কম। কারণ আমরা যখন পৌঁছেছি ততক্ষনে বেশ রাত হয়ে গিয়েছে। স্টল গুলির লোকজনেরা ততক্ষণে গোছগাছ শুরু করে দিয়েছিলো বন্ধ করার জন্য। সেখানে পৌঁছে দেখতে পেলাম এই মেলাটি ছিল মূলত উদ্যোক্তা মেলা। সেখানে বিভিন্ন রকম উদ্যোক্তারা তাদের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে এসেছিলো। আমরা ঘুরে ফিরে সবগুলো স্টল দেখতে লাগলাম। মেলায় ঘুরেফিরে যে স্টল গুলি দেখেছিলাম সেই স্টল গুলির ছবির সাথে কিছু বর্ণনা আপনাদের সাথে এখন পর্ব আকারে শেয়ার করবো।


IMG20240305220106.jpg

ছবিটাতে আপনারা মেলার গেট দেখতে পাচ্ছেন। এই মেলাটা আসলে বিসিকের উদ্যোগে আয়োজিত উদ্যোক্তাদের মেলা ছিলো। এই ধরনের মেলা উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা যোগায়।

IMG20240305220041.jpg

নামে উদ্যোক্তা মেলা হলেও মেলায় ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়েছিলো খাবারের দোকান। বাঙালির মেলা উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে মজাদার খাবার দাবার। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। আসলে মেলায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া না করতে পারলে মনে হয় যে মেলায় ঘোরাফেরা করাটা সম্পূর্ণ হয়নি।

IMG20240305220030.jpg

ছবিটা আপনারা একটি ফুচকার দোকান দেখতে পাচ্ছেন। মেলায় গিয়ে ফুচকা বা চটপটি না খেলে কি চলে? বিশেষ করে মেয়ে এবং বাচ্চাদের কাছে এই দোকানগুলি থাকে সবচাইতে পছন্দের। যদিও মেলার ফুচকা চটপটি আমার কাছে কখনোই তেমন একটা ভালো লাগেনা।

IMG20240305215829.jpg

উপরের ছবিতে আপনারা একটি স্টল দেখতে পাচ্ছেন। এই স্টলে বাচ্চাদের কিছু খেলনা সামগ্রীর সাথে কিছু কাঠের তৈরি জিনিসপত্রও ছিলো। কাঠের তৈরি জিনিসপত্র গুলো দেখতে ভালো লাগছিলো। যদিও ছবিতে খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে আমার মেয়ে এই দোকান থেকে একটা মুখোশ কিনেছিলো।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসoppo reno 8t
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আসলে মেলায় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া না করতে পারলে মনে হয় যে মেলায় ঘোরাফেরা করাটা সম্পূর্ণ হয়নি।

ঠিক কথাই বলেছেন ভাইয়া। মেলায় গিয়ে ঘুরার পাশা পাশি একটু খাবার দাবার যদি না হয় তাহলে ঘুরার তেমন তৃপ্তি পাওয়া যায়না।

আর রাতে গিয়েছিলেন দেখে হয়তো মানুষ কম ছিল। বিকেলে গেলে হয়তো দাঁড়ানোর ও সুজুগ থাকতো না।

 2 months ago 

ভাই উদ্যোক্তা মেলা হোক আর যে-ই মেলা হোক না কেনো, খাবারের দোকান থাকবেই। এটা ঠিক মেলার ফুচকা বা চটপটি তেমন ভালো হয় না। তবে আমরা ছেলেরা ফুচকা খাই বা না খাই,মেয়েদের তো অবশ্যই ফুচকা খেতে হবে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। আপনারা বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় গিয়ে মোটামুটি ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাই। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.28
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 66989.66
ETH 3120.22
USDT 1.00
SBD 3.75