বন্ধু ফেরদৌসের সাথে নদীতে গোসল করার অভিজ্ঞতা।
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে বা আকাশে মেঘ থাকলে তখন বেশিক্ষণ গোসল করা যায় না। কিছুক্ষণ গোসল করার পরে তখন ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। যাই যাইহোক এবারও দুই বন্ধু নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলাম। আজকে সেই গল্পই আপনাদের কাছে করবো। যথারীতি নির্ধারিত সময়ে আমি নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছেছিলাম। ফেরদৌসের সাথে দেখা করার জন্য। অবশ্য আমি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে ফেরদৌসকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়েছিলাম। কারণ ফেরদৌস মাঝে মাঝে শেষ মুহূর্তে এসে প্রোগ্রাম ক্যানসেল করে দেয়। সময় মতো আমি সেখানে পৌঁছে দেখি ফেরদৌস আমার আগেই সেখানে এসে বসে রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমি খুব কমই ঘটতে দেখেছি। বেশিরভাগ সময় ফেরদৌস আসতে লেট করে। সেখানে গিয়ে আমরা প্রথমে টুকটাক কিছু কেনাকাটা করলাম। আমরা যখনই গোসল করতে যাই তখনই সাথে করে কিছু খাবার নিয়ে যায়। কারণ আমরা দীর্ঘক্ষণ ধরে নদীতে গোসল করি। আর দীর্ঘক্ষণ ধরে আপনি গোসল করলে তখন আপনার ক্ষুধা লাগবে। গোসল করার ভেতর টুকিটাকি বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র খেতে বেশ ভালো লাগে।
এই প্র্যাকটিসটা আমাদের অনেক আগেকার। একটা সময় ছিলো যখন আমরা সব বন্ধুরা মিলে গোসল করতে যেতাম। তখন আমরা যাওয়ার সময় নানা রকমের ফল, কেক, বিস্কুট এগুলো কিনে নিয়ে যেতাম। সেই সাথে কোল্ড ড্রিঙ্কস নিয়ে যেতাম খাওয়ার জন্য। গোসল করার ফাঁকে ফাঁকে আমরা সেগুলো খেতে থাকতাম। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে বুকের ভেতরটা এখনো হু হু করে ওঠে। যাই হোক এখনকার গল্পে ফিরে আসি। কেনাকাটা শেষ করে দুই বন্ধু রওনা দিলাম নদীর পাড়ের উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছতে আমাদের খুব একটা বেশি সময় লাগে নাই। যেহেতু মোটরসাইকেল নিয়ে গিয়েছিলাম তাই অল্প সময়েই আমরা নদীর পাড়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে পৌঁছে মোটরসাইকেল থেকে নেমে আমরা আর বেশি দেরি করিনি। দ্রুত কাপড়চোপড় পাল্টে আমরা নদীতে নেমে গেলাম। তবে নদীতে নামার সময় বুঝতে পারছিলাম আজকে খুব একটা বেশি সময় ধরে গোসল করতে পারবো না। কারণ ততক্ষণে আকাশে হালকা মেঘ দেখতে পাচ্ছিলাম। সেই সাথে নদীর পাড়ে হালকা বাতাসের ছোঁয়াও পাচ্ছিলাম।
আমি অবাক হয়ে একটা জিনিস খেয়াল করলাম। আমি যখন বাসা থেকে রওনা দিলাম তখন শহরের ভেতরটা বেশ গরম দেখেছি। কিন্তু নদীর পাড়ে গিয়ে সেখানে মৃদু বাতাসে আমার কাছে কিছুটা ঠান্ডা লাগছিলো। যাইহোক তারপরও দুই বন্ধু নদীতে নেমে গোসল করতে লাগলাম। আশেপাশে দেখতে পেলাম আমাদের মত আরও অনেকেই গোসল করছে। কম বয়সি অনেক ছেলেপেলেরা বন্ধু বান্ধবের দল নিয়ে এসেছে। যেমনটা আমরা অতীতে করতাম। তারা রীতিমতো লাফালাফি ঝাপাঝাপি হই হুল্লোড় করছিলো। এগুলো দেখতে দেখতে দুই বন্ধু গল্প করছিলাম। আর মাঝে মাঝে একটু সাঁতার কাটছিলাম। আপনারা জানেন সাঁতার কাটা হচ্ছে সবচাইতে ভালো ব্যায়াম। যদিও সাঁতার কাটা বেশ কষ্টের কাজ।
যাই হোক এইভাবে গোসল করতে করতে দীর্ঘক্ষণ পার হয়ে গেলো। একটা সময় রীতিমতো শীত লাগতে লাগলো। তখন আমি ফেরদৌসকে বললাম চলো এখন ওঠা যাক। এই কথা বলার সাথেই দুই বন্ধু মিলে সেদিনের মতো গোসল শেষ করলাম। তারপর ফেরদৌসের কাছ থেকে এ সপ্তাহের মতো বিদায় নিয়ে আমি বাসার দিকে ফিরতে লাগলাম। বিদায় নেয়ার কারণ হচ্ছে পরদিন সকালেই ফেরদৌসের ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাওয়ার কথা। তাই আর আপাতত ফেরদৌসের সাথে দেখা হবে না। আর এভাবেই আমাদের এবারের পদ্মা নদীতে গোসল করা শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এর আগেও দেখেছি আপনারা বন্ধুরা মিলে নদীতে গোসল করেন তখন নানা রকমের খাবার ও সাথে করে নিয়ে যান।আসলে সাঁতার কাটা হচ্ছে একটি ব্যায়ামের মতো।তাই ক্ষুধা লেগে যাওয়ারই কথা।দুই বন্ধু মিলে খুব তাড়াতাড়িই পদ্মা নদীর পাড়ে চলে গেলেন।আপনাদের মতো আরো অনেকেই এসেছিল গোসল করতে।বেশী রোদ থাকলেই নদীতে গোসল করে আরাম।মেঘলা আকাশ বা বৃষ্টি হলে বেশী সময় আসলে গোসল করা যায় না।তাতে ঠান্ডা লাগে।আপনারা নদীতে গোসল শেষ করে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন।ফেরদৌস ভাইয়া পরের দিনই চলে যাবেন।যাক সময়টা ভালো ই কেটেছে আপনাদের।অনুভুতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সময় সুযোগ পেলে কখনো পরিবার নিয়ে নদীতে গোসল করে দেখবেন। দারুন লাগবে আপু।
নদীতে গোসল করতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। তবে এবার যে ফেরদৌস ভাইয়া আপনার আগে এসেছে এটা ভেবে সত্যি অবাক লেগেছে। কারণ আপনি সবসময় ভাইয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। যাই হোক ভাইয়া খাবার কিনে নিয়ে যাওয়ার আইডি এটা বেশ ভালো ছিল। কারণ বেশিক্ষণ সময় নদীতে গোসল করলে অনেক সময় ক্ষুধা লেগে যায়। দল বেঁধে ছেলেদের ছুটাছুটি করার দৃশ্য দেখে ভালো লাগলো।
আসলে পানির ভেতরে হাত-পা নাড়াচাড়া করলে প্রচুর এনার্জি খরচ হয়। এই জন্যই মনে হয় অনেক ক্ষুধা লাগে। সেই জন্যই সাথে করে খাবার নিয়ে যাই। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
গরমের তীব্রতা দিনদিন যেভাবে বাড়ছে,আমারও মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে নদীর পানিতে নেমে ইচ্ছেমতো গোসল করতে। যদিও সাঁতার কাটতে পারি না বলে সেটা সম্ভব হয় না। তাছাড়া আমাদের এখানকার শীতলক্ষ্যা নদীর পানি থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ বের হয়। যাইহোক ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে পদ্মা নদীতে গোসল করে দারুণ সময় কাটিয়েছেন ভাই। পদ্মা নদীর পানি তো একেবারে স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার। তাই গোসল করে অনেক শান্তি পান আপনারা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যদি কেউ সাথে না থাকে তাহলে নদীতে গোসল করতে ভালো লাগেনা। একা একা নদীতে গোসল করতে খুবই খারাপ লাগে আর কোন মজা হয় না। নদীতে বা পুকুরে গোসল করার সময় কিছুটা ক্ষুধা অনুভব হয়। এই সময় হালকা-পাতলা খাবার হলে বেশ ভালোই লাগে। সাথে কোল্ড ড্রিঙ্কস হলে ব্যাপারটা আরো কমে যায়।আপনি ও আপনার বন্ধু মিলে ভীষণ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে ছিলেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি এবং আপনার বন্ধু ফেরদাউস দুজনে মিলে নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আমাদের এদিকে নদী নেই তবে পুকুরে গোসল করেছি অনেক। কিন্তু অনেকক্ষণ গোসল করার পরেও আপনার মত গোসল করতে করতে কখনই কিছু খেতে মন চায় না আমার। বেশ মজাই করতাম ছোটবেলায় পুকুরে গোসল করার সময়। যাইহোক দুজনে মিলে নদীতে গোসল করার অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুধু আপনার বন্ধু না দাদা, এরকম আমারও কিছু বন্ধু আছে, যারা মাঝপথে এসে প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে দেয়। তবে দাদা, স্নান করতে করতে খাবার খায়, এরকম লোক আসলে আমি কোনদিন দেখিনি। হা হা হা...🤭🤭 যাইহোক, আপনার এবং আপনার বন্ধুর নদীতে স্নান করার অভিজ্ঞতা জেনে সত্যিই বেশ খুশি হলাম। যদিও নদীতে স্নান করার কোনো অভিজ্ঞতা আমার নেই, তবে কোনদিন আপনাদের মত করে স্নান করার সুযোগ পেলে অবশ্যই করবো।