রমজানের প্রথম জুম্মার নামাজ আদায়।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


গতকাল ছিলো রমজানের প্রথম জুম্মার নামাজ। এজন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম একটু আগে আগে মসজিদে যেতে হবে। না হলে মসজিদের ভেতর জায়গা পাওয়া সম্ভব হবে না। এমনিতেই শুক্রবারে ঢাকার মসজিদগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে। বেশিরভাগ জায়গায় দেখা যায় মানুষ রাস্তা পর্যন্ত চলে এসেছে মসজিদের ভেতরে স্থান সংকুলান না হওয়াতে। এই কারণেই আমি পরিকল্পনা করেছিলাম সাড়ে বারোটার ভেতর মসজিদে চলে যাবো। তবে সব কাজ শেষ করে গোসল করতে করতে প্রায় পৌনে একটা বেজে গিয়েছিলো।

IMG_20240315_142146.jpg

IMG_20240315_142221.jpg

শেষ পর্যন্ত যখন মসজিদে পৌঁছলাম তখন প্রায় বেলা একটা বেজে গিয়েছিলো। মসজিদে পৌঁছে দেখি নিচতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত কোন জায়গা নেই। শেষ পর্যন্ত ছয়তলায় বসার জায়গা পেয়েছিলাম। আর কিছুক্ষণ পরে গেলে হয়তো সেটাও কপালে জুটতো না। যাই হোক মসজিদে পৌঁছে নামাজ আদায় করে শেষ পর্যন্ত যখন মসজিদ থেকে বের হলাম তখন প্রায় বেলা দুটো বেজে গিয়েছে। তবে নিচে নামার আগে উপর থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি মসজিদের বাইরের রাস্তাটা লোকে লোকারণ্য হয়ে রয়েছে। এতটা ভিড় দেখে আমি কিছুটা অবাক হলাম। অবশ্য যখন নিচে নামলাম তখন বিষয়টা বুঝতে পারলাম।


IMG_20240315_142318.jpg

বনশ্রীর এই মসজিদের পাশের রাস্তাটা জুম্মার নামাজের পর রীতিমতো হাটবাজারে পরিণত হয়। সেখানে এমন কোন জিনিস নাই যা পাওয়া যায় না। টুপি, পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে মাছ, মুরগি, ফল, সবজি সবই সেখানে বিক্রি হয়। যার ফলে জুম্মার নামাজ পড়তে আসা লোকজন আগে থেকেই সেখান থেকে কেনাকাটার পরিকল্পনা করে আসে। ফলে নামাজ শেষ হলেও রাস্তার ভিড় সহজে কমে না। আমিও ঘুরে ফিরে সবগুলো হকারের কাছে দেখতে লাগলাম কে কি বিক্রি করছে ? খেয়াল করে দেখলাম সেখানে অনেক জিনিসই বাজার থেকে তুলনামূলক কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে আঙ্গুর আর কমলা দেখলাম বেশ কম দামে বিক্রি হচ্ছিলো। যে আঙ্গুর দোকানে ৩০০ টাকার নিচে কেজি বিক্রি হয় না। সেটা আড়াইশো টাকা করে বিক্রি করছিলো।


IMG_20240315_142327.jpg

IMG_20240315_142652.jpg

আবার বেশ বড় সাইজের কমলাগুলো মাত্র দুশো টাকা কেজিতে বিক্রি করছিলো। সেখানে সবকিছুর দামই কিছুটা কম ছিলো। সেখানে সে কারণেই মানুষজন ভিড় করে কেনাকাটা করছিলো। তবে আমি এইরকম ব্যবস্থা অন্য কোথাও দেখিনি। সাধারণত জুম্মার নামাজ পড়ে মানুষজন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যায়। রমজান মাস ছাড়া অন্য সময় মানুষজন জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে খেতে বসে। তবে আমি অন্য সময়ও দেখেছি এখানে একই রকম চিত্র থাকে। যাই হোক আমার ঘুরে ফিরে দেখা শেষ হলে রমজানের প্রথম জুম্মা আদায় তৃপ্তি নিয়ে আমি ধীরে সুস্থে বাসার দিকে রওনা দিলাম।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানবনশ্রী

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 5 months ago 

বনশ্রীর দিকে শুক্রবারে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আগে আগেই যেতে হয়। নয়তো মসজিদে একদমই জায়গা পাওয়া যায় না। কয়েকমাস আগে বনশ্রীর দুটি মসজিদে জায়গা না পেয়ে, শেষ পর্যন্ত বাশের পুল দিয়ে ওপারে গিয়ে, আফতাবনগরে মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছিলো, সেখানে কোনো মতে জুমার নামাজ আদায় করি। যাইহোক ভ্যান গাড়িতে ফলমূল মোটামুটি কম দামেই পাওয়া যায়। আমাদের এখানে ফলের দোকান গুলোতে আঙ্গুর ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়। কিন্তু বাসার সামনে ভ্যানে করে নিয়ে আসে হকারেরা, তাদের কাছ থেকে ২৫০-২৭০ টাকার ভিতরে পাওয়া যায়। মসজিদের সামনে এতো কিছু বিক্রি করলে বেশ ভালোই লাগে। নামাজ আদায় করে অনেক কিছু কিনে বাসায় ফেরা যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59452.12
ETH 2603.11
USDT 1.00
SBD 2.39