শীতের বিকালে তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা, আড্ডাবাজি ও ব্যাডমিন্টন খেলা (দ্বিতীয় পর্ব)।
ও আমাদেরকে নদীর পাড়ে অপেক্ষা করতে বলে ওর শোরুমের উদ্দেশ্যে চলে গেলো। আমরা সেখানে পৌঁছে দেখি নদীর পাড়ে একটি দোকানে গরম ভাজাপোড়া রয়েছে। প্রথমে আমরা দুই বন্ধু দুটি আলুর চপ খেয়ে দেখলাম। গরম গরম আলুর চপ খেয়ে বেশ মজা লাগলো। ভালো লাগার কারণে আমরা দুই বন্ধু সেখানে দাঁড়িয়ে আলুর চপ, সিঙ্গারা, পিয়াজু এগুলি খেলাম। রীতিমতো ভর পেট খেয়ে ছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমি আজান শুনতে পেলাম। তখন আমি ফেরদৌসকে অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ পড়ে এসে দেখি ফেরদৌস নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারপর দুই বন্ধু কিছুক্ষণ নদীর পাড় ধরে হাঁটতে লাগলাম। সেই সাথে আমরা পরবর্তীতে কোথায় ক্যাম্পিং করবো সেটা নিয়েও আলাপ আলোচনা করছিলাম।
নদীর দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম নদীতে চর জেগে উঠেছে। সেই চর দেখে আমার আর ফেরদৌসের পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো। নদীর বুকে জেগে ওঠা এই ছোট্ট চর গুলিতে গোসল করতে আমাদের দারুন লাগে। যদিও আমরা শীতের দিনে কখনো নদীতে গোসল করি না। তবে শীত শেষ হলে মার্চ এপ্রিলের দিকে আমরা প্রতিবছরই নদীতে গোসল করি। তখন গোসল করার জন্য আমরা নদীর ভিতরে জেগে ওঠা এই ছোট্ট চরগুলিকে বেছে নেই। কারণ বালু দিয়ে গঠিত এই চরগুলো গোসল করার জন্য দারুণ জায়গা। যাই হোক আমরা নদীর ওপারের দিকে তাকিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম ক্যাম্পিং করার জন্য নদীর ওপারটা মন্দ হবে না। কারণ নদীর ওপারে এখনো তেমন একটা জনবসতি গড়ে ওঠেনি। যার ফলে সেখানে কোন সমস্যা হবে না।
যাইহোক এভাবে চিন্তাভাবনা করতে করতে ফেরদৌস বললো রাফসান বোধ হয় আজকে আর আসবে না। চলো আমরা ওর শোরুমের দিকে ফিরে যাই। এই কথা বলে দুই বন্ধু মিলে রাফসানের শোরুম এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। যখন আমরা রাফসানের শোরুমের সামনে পৌঁছলাম তখন দেখি রাফসান শোরুম বন্ধ করছে নদীর পাড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদেরকে দেখে ও জিজ্ঞেস করল কিরে তোরা চলে এলি যে? আমরা বললাম আমরা মনে করেছিলাম তুই আর নদীর পারে যাবি না। তখন ও বললো তাহলে চল সবাই মিলে সেই ডাবল হিটের চা খেয়ে আসি। আমরাও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলাম। তারপর তিন বন্ধু মিলে রওনা দিলাম চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে। সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানটি রাফসানের শোরুম থেকে অল্প কিছুটা দূরে অবস্থিত। সেখানে গিয়ে আমরা তিনজনের জন্য চা অর্ডার করলাম। চা খাওয়া শেষ হলে আমরা তখন চিন্তা করছিলাম যে এখন কি চলে যাবো নাকি? তখন রাফসান বলল একটু পরেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু হবে। ব্যাডমিন্টন খেলে তারপর যা।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
![logo.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmZEaz6VZmitMY1N8dSXHuT2tfgXFnDKjY8iV7jNGuNwEE/logo.png)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নদীর পাড়ে বিকেলে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। বিকেলের নাস্তা হিসেবে গরম গরম ভাজাপোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়, কিন্তু মাঝেমধ্যে খাওয়া যেতেই পারে। আর শীতকালে ভাজাপোড়া খেতে এমনিতেও বেশ ভালো লাগে। এরপর রাফসান ভাইয়ের শো-রুমের দিকে গিয়ে ডাবল হিটের চা খেয়ে, নিশ্চয়ই ব্যাডমিন্টন খেলেছিলেন। আশা করি পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।