ক্যামেরার লেন্সে প্রকৃতি ও মানুষের জীবন।
উপরের ছবিটা পদ্মার পাড় থেকে তুলেছিলাম। আমি এখন মাঝে মাঝেই হাটাহাটির এক পর্যায়ে পদ্মার পাড়ে চলে যায়। নদী আমাকে বরাবরই টানে। নদীর পাড়ের সৌন্দর্য আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে। তবে নদীর পাড়ে যদি আপনি একেবারে ভোরবেলায় যান তাহলে বেশি ভালো লাগবে। ছবিতে আপনারা নদীর পাড়ে কয়েকটি নৌকা দেখতে পাচ্ছেন। সেদিন পদ্মার পাড়ে গিয়ে খেয়াল করে দেখি পানি অনেকটা কমে গিয়েছে। আমার কাছে ভরা বর্ষার নদী সবচাইতে বেশি ভালো লাগে। নদীর পানি কমে গেলে তখন আর নদীর স্বাভাবিক সৌন্দর্য থাকে না।
উপরের ছবিতে আপনারা যে রাস্তাটা দেখতে পাচ্ছেন এই রাস্তাটা আমাদের শহরের একটা কলেজের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। আমি এই কলেজেই লেখাপড়া করেছি। আমাদের শহরের যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা নিজেদের এলাকাতেই থাকে। তারা সবাই এই কলেজ থেকেই অনার্স মাস্টার্স করে। কলেজের পাশ দিয়ে হাটার সময় পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো। এই রাস্তাটা আমার কাছে অনেক প্রিয় একটা জায়গা।
ছবিতে যে বিল্ডিং দুটো দেখতে পাচ্ছে। এটা আমাদের সেই কলেজের হোস্টেল। হোস্টেলের পেছনে রয়েছে চমৎকার একটি জলাশয়। সেই জলাশয়ে হোস্টেলের বিল্ডিং দুটোর প্রতিবিম্ব দেখা যাচ্ছে। দৃশ্যটা দেখে বেশ ভালো লেগে গেলো। তাই ঝটপট কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। আমরা যখন এই কলেজে পড়তাম। তখন এখানে অনেক পুরনো এক তলা একটা বিল্ডিং ছিলো। এখন সেই বিল্ডিং ভেঙ্গে নতুন বড় বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। কারণ এখন কলেজে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।
উপরের ছবিতে আপনারা একটি পুরাতন বিল্ডিং দেখতে পাচ্ছেন। এই বিল্ডিংটা বহু পুরনো। আমাদের শহরে এইরকম আরো কিছু বিল্ডিং রয়েছে। এই বিল্ডিংটিতে আমাদের শহরের একমাত্র ল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যদিও সামনের গাছপালা থাকার কারণে পুরো বিল্ডিংটা ভালো মতো দেখা যাচ্ছে না। তবে এই ধরনের পুরনো বিল্ডিং দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। এই বিল্ডিংগুলোর একটা বিশেষত্ব হচ্ছে। বাইরে যখন অনেক গরম থাকে তখন এই বিল্ডিংগুলোর ভেতরে বেশ ঠান্ডা থাকে।
কয়েকদিন আগে বন্ধু ফেরদৌসের সাথে গিয়েছিলাম বাইরে ঘোরাফেরা করতে। ঘোরাফেরার এক পর্যায়ে চাঁদের ব্রীজ নামক একটি ব্রিজের উপরে গিয়ে বসে ছিলাম। সেই ব্রিজের দুই পাশেই ছিলো বিলের মতো একটা জায়গা। ভরা বর্ষার সময় সেখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে জলরাশি দেখা যায়। যদিও এখন সেখানে পানি অনেকটা কমে গিয়েছে। তবে পুরোপুরি শুকিয়ে যায়নি। সেই ব্রিজের উপর থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। ছবিটা তো দেখতে পাচ্ছেন একটা ছোট্ট নৌকায় একজন মানুষ দুটো বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাচ্চা দুটো দেখলাম সময়টা বেশ দারুন উপভোগ করছে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া আপনার পোস্ট দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। হয়তো যেকোন বিষয় নিয়ে আপনি খুবই মন খারাপ করেছিলেন। এটা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছি। আবারো আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন এটা দেখে আমরা সত্যি অনেক আনন্দিত। সকালবেলায় হাঁটাহাঁটি করা অনেক উপকারী। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @rupok,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
সকালে হাঁটাহাঁটি করার বেশ কিছু সুবিধা আছে। প্রথমটা হলো শরীর ভালো থাকে। এবং দ্বিতীয় হলো সকালের অসাধারণ সুন্দর পরিবেশ। এই সুন্দর পরিবেশ দেখা সবার কপালে জোটে না। চমৎকার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। সকালের প্রকৃতি সবসময়ই সুন্দর। খুব ভালো লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য
আপনাকে।।
আসলে সকালে হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাসটা যদি কয়েকদিন কন্টিনিউ করা যায়, তাহলে কিন্তু এটাও এক ধরনের নেশা হয়ে যায়। আর এই নেশাটা সবারই করা উচিত। কারণ সকালে হাঁটাহাঁটি করলে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।