বিকালের মনোরম পরিবেশে দুই বন্ধুর সাথে ঘোরাঘুরি (শেষ পর্ব)।
আমাদের শহর থেকে মোহাম্মদপুরে যাওয়ার রাস্তাটা বেশ চমৎকার। গ্রামীন এ রাস্তাটার দুপাশ দিয়ে রয়েছে প্রচুর গাছপালা। সবুজের ভেতর দিয়ে চলাফেরার যে আনন্দ সেটা আমরা পুরোপুরি অনুভব করতে পারছিলাম। তবে সেই সাথে একটা সমস্যাতে পড়েছিলাম। আমরা কিছুদূর আগানোর পর দেখি বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টির ভিতর সামনে আগাবো নাকি ফিরে যাবো সেটাই চিন্তা করছিলাম। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করলাম এই বৃষ্টি হয়তো থাকবে না। কারণ বৃষ্টির সাথে বাতাসও ছিলো। তাই আমরা সামনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা যখন মোহাম্মদপুরে সেই বিলের কাছে পৌঁছেছি তখন সেখানে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখতে পেলাম। দীর্ঘদিন পর সেখানে রংধনু দেখতে পেলাম। তবে রংধনুটা আমরা খুব একটা ভালোভাবে উপভোগ করতে পারিনি।
কারণ সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরই বেশ জোরে বৃষ্টি শুরু হোলো। আর সেই জায়গাটা এমন যে আশেপাশে কোন বাড়িঘর নেই। যার ফলে কোথাও গিয়ে যে বৃষ্টি থেকে বাঁচবো সে উপায়ও ছিলো না। যার ফলে সেখানে আমাদেরকে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছিলো। কিছুক্ষণ বৃষ্টিতে ভেজার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম অন্য কোথাও যাওয়ার। ততক্ষণে বৃষ্টি কিছুটা কমেছিল। তারপর আমরা রওনা দিলাম অন্য একটি জায়গার উদ্দেশ্যে। আমি আর ফেরদৌস মাঝে মাঝে একটা ব্রিজের উপর গিয়ে বসতাম। সেই ব্রিজটার নাম চাঁদের ব্রিজ। বন্ধু রাসেল সেখানে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমরা সেদিকে রওনা দিলাম। তবে রওনা দেয়ার কিছুক্ষণের ভিতরে আবার বৃষ্টির কবলে পড়লাম।
তখন আমরা একটি জায়গায় দাঁড়ালাম বৃষ্টি থেকে আশ্রয় নেয়ার জন্য। সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরে সিদ্ধান্ত নিলাম এখন আর সামনের দিকে যাওয়া যাবে না। কারণ ততক্ষণে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। আমরা যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম তার পাশেই ছিল একটি বাজার। বন্ধু রাসেল প্রস্তাব দিলো চল সেখানে গিয়ে হালকা ভাজাপোড়া খাওয়া যাক। বন্ধুদের সাথে বিকালে ঘুরতে বের হলে ভাজা পোড়া না খেলে মনে হয় ঘোরাফেরা টা পরিপূর্ণ হয়নি। রাসেল প্রস্তাব দেয়ার সাথেই তিন বন্ধু মিলে পাশের সেই বাজারে গিয়ে একটা দোকানে বসে। হাল্কা কিছু ভাজাপোড়া খেলাম। খেতে খেতে মাগরিবের আজান দিয়ে দিলো। তারপর সেখান থেকে নামাজ পড়ে তিন বন্ধু মিলে সেদিনের মতো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর এভাবেই বন্ধুদের সাথে ঘোরাফেরার অভিজ্ঞতা শেষ হোলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই দিনে ঘুরাঘুরি করতে বের হলে বৃষ্টির জন্য ঝামেলায় পড়তে হয়। আর কোথাও ঘুরতে বের হওয়ার পর যদি বৃষ্টি নামা শুরু হয়, তখন আমার খুব মেজাজ খারাপ হয়। যাইহোক সুইচ গেট জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। তাছাড়া মোহাম্মদপুরের বিলটাও খুব সুন্দর। রংধনু দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। যদিও রংধনু ছোটবেলায় দেখেছিলাম। যাইহোক সবমিলিয়ে তিন বন্ধু ঘুরাঘুরি করে মোটামুটি ভালোই সময় কাটিয়েছেন। তবে বৃষ্টি না হলে আরও বেশি মজা করতে পারতেন। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।