ছবিতে চরের সৌন্দর্য।
পদ্মার চড়ে ঘুরতে আমার কাছে বরাবরই বেশ ভালো লাগে। চরের যে জিনিসটা আমার কাছে সবচাইতে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে চরে বেশিরভাগ বাড়িতেই হাঁস-মুরগি গরু ছাগল সবকিছু পালন করতে দেখা যায়। আমাদের দেশের সাধারণ গ্রামাঞ্চলে কিন্তু এখন আর আগের মত হাঁস মুরগি গরু ছাগল পালন করতে দেখা যায় না। আগে গ্রামের প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই হাঁস মুরগি গরু ছাগল কিছু না কিছু থাকতো। কিন্তু এখন গ্রামে খুব অল্প বাড়িতেই এগুলো দেখা যায়। তবে পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে আমি বেশিরভাগ বাড়িতেই হাঁস মুরগি গরু ছাগল পালন করতে দেখেছি। এখান থেকে তারা তাদের আমিষের চাহিদা মেটায়। আর বাড়তি অংশটুকু বিক্রি করে।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি মাটির রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে মানুষজন যাতায়াত করছে। চরে গিয়ে আমি যে জিনিসটা দেখেছি সেখানে বেশিরভাগ মানুষ মোটরসাইকেলে করে যাতায়াত করে। কারণ চরে এখনো খুব বেশি রাস্তাঘাট হয়নি। যতটুকু রাস্তাঘাট হয়েছে সেই সমস্ত রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল করে চলাফেরা করা যায় বেশ সহজে। এই কারণে চরের মানুষ যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল এর উপরেই নির্ভর করে থাকে।
উপরের ছবিতে আমার ভ্রমণ সঙ্গীদের দেখতে পাচ্ছেন। তারা সবাই ফটোসেশনে ব্যস্ত। মানুষের হাতে ক্যামেরা চলে আসার পরে মানুষের ছবি তোলার আগ্রহ বেড়েছে অনেক বেশি। ছবি তোলা এখন খুবই সহজ হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছা হলেই মানুষ যে কোন সময় অসংখ্য ছবি তুলতে পারে। আমার ভ্রমণ সঙ্গীদের ভেতরে কয়েকজন ছিলো যারা শুধু নিজেদের ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলো।
আমরা চরে যখনই ঘুরতে যাই তখন আমাদের উদ্দেশ্য থাকে সেখান থেকে টাটকা কোন শাকসবজি বা ফলমূল পেলে সেগুলো কিনবো। সেদিনও আমরা ঘোরাফেরার ভিতরে হঠাৎ করে দেখতে পেলাম এক লোক মাথায় করে কিছু জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে। তখন তাকে ডাক দিলে তার ঝুরির ভেতরে কাঁচা কলা এবং পাকা পেঁপে দেখতে পেলাম। যদিও সে পেঁপের দাম চাচ্ছিলো অনেক বেশি।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজন রাখাল তার গরু চরাতে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষের কাছে এই দৃশ্যটা হয়তো খুবই সাধারণ। তবে আমরা যারা শহরে থাকি তাদের কাছে এই ধরনের দৃশ্য সম্পূর্ণ অন্যরকম লাগে। এইজন্যই আমি বারবার গ্রামের দিকে ছুটে যায়। গ্রামীণ জীবন এবং জনপদ আমাকে খুবই টানে।
উপরের ছবিতে বেশ কয়েকটা ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন। এই ঘোড়ার গাড়িগুলো হচ্ছে চরের মানুষের মালপত্র মালপত্র টানার একমাত্র বাহন। চরে গিয়ে আমরা অন্য কোন বাহন দেখতে পাইনি মালপত্র টানার জন্য। এমনিতে আমাদের জেলায় ঘোড়ার গাড়ির তেমন একটা প্রচলন নেই। তবে শুধু চরে আসলেই ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
এই ছবিতে আপনারা চরের একজন কৃষকের নিজের উৎপাদিত পণ্য মাথায় করে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে দেখতে পাচ্ছেন। গ্রামে এবং চরাঞ্চলের মানুষ নিজেদের প্রয়োজনের বেশিরভাগ জিনিস নিজেরাই উৎপাদন করে থাকে। যার ফলে তাদেরকে খুব বেশি কিছু কিনতে হয় না। একদিক থেকে চিন্তা করতে গেলে তারা বেশ খানিকটা সাবলম্বী।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চরের সৌন্দর্য নিয়ে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার ছবিতে চরের জীবন যত্রার সুন্দর চিত্রে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি ছবি ও বর্ণনা অসাধারণ হয়েছে। ঘোড়ার গাড়িতে করে চরের মানুষ এখনো মালামাল আনা নেওয়া করে এটা জানা ছিলনা! রাখাল গরু চরাতে নিয়ে যচ্ছে ছবিটি বেশি ভালো লেগেছে। এরকম চিত্র আগে গ্রামে দেখা যেত।এখন শুধু চরেই দেখা যায়। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। বহু বছর পর এমন ঘোড়ার গাড়ি দেখতে পেলাম। এমন পরিবেশে ঘুরাঘুরি করে সময় কাটাতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি প্রায় প্রত্যেক শুক্রবারেই পদ্মার চরের দিকে গিয়ে থাকেন জেনে ভালো লাগলো। আর আজকে সেখান থেকে বেশ কিছু ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার ফটোর মাধ্যমে গ্রামীন দৃশ্যগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখছি। আসলে এটা ঠিক বলেছেন গ্রামের মানুষের কাছে এসব দৃশ্য খুবই সাধারণ কিন্তু যারা শহরে থাকে তাদের কাছে এগুলো বেশ ইন্টারেস্টিং হয়ে থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে বর্ণনা সহ এই ছবিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চরের জীবন একটু কষ্টের হয়ে থাকে। শহরের অনেক সুযোগ সুবিধা যেগুলো আমরা পাই সেগুলো থেকে তারা বঞ্চিত। এই রাস্তার কথায় ধরেন। এখনও মাটির রাস্তা অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে আর চলাচলের অবস্থা থাকে না হা হা। তবে তারা যে ফসল শাক সবজি গুলো আবাদ করে সেগুলো বেশ ফ্রেশ হয়। দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। এবং সব বন্ধুরা মিলে বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন।।
পদ্মার চরে ঘুরতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো ভাইয়া। সত্যি ভাইয়া চরাঞ্চলে গেলে এখনো দেখা যায় সব বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু-ছাগল সবকিছুই পালন করা হয়। আর তারা প্রয়োজনীয় কিছু সবজি চাষ করে এবং সেগুলো বিক্রি করে। হয়তো সেই বিক্রেতা বুঝতে পেরেছে আপনারা দূর থেকে গিয়েছেন। তাই পেঁপের দাম বেশি চেয়েছে। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।