বেশ কিছুদিন পর বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা।
আমি এমনিতেও প্রচন্ড কাজের চাপে রয়েছি। যার ফলে সময় কোথা দিয়ে চলে যায় সেটা বুঝতেও পারি না। তবে এরকম অবস্থায় বাইরে ঘোরাফেরা করাটা জরুরী। বিশেষ করে কিছুটা সময় নিজের মতো করে কাটাতে পারলে কাজ করার আরো শক্তি পাওয়া যায়। এ কারণেই বাইরে ঘুরতে যাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়েছিলাম। আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়েন তারা জানেন আমি ঘরে বসে থাকতে একেবারেই পছন্দ করি না। ঘোরাফেরা করতেই আমার বেশি ভালো লাগে। তাই আজ সকালেই বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ফোনে কথা বলে ঠিক করলাম বিকালে দুজন ঘুরতে বের হবো। ফেরদৌস আমাকে বলল ঠিক চারটার সময় নির্ধারিত জায়গায় উপস্থিত হতে। যেহেতু বিকালে ঘুরতে যাবো তাই আমি চেষ্টা করছিলাম আমার হাতের কাজগুলো দ্রুত শেষ করতে। যদিও পুরোপুরি শেষ করতে পারিনি বাইরে যাওয়ার আগে।
যাই হোক আমি ঠিক সময় মত বাসা থেকে রওনা দিয়ে নির্ধারিত সময়ে ইউসুফ ভাইয়ের চায়ের দোকানে উপস্থিত হলাম। সেখানে পৌঁছে দেখি ফেরদৌস এখনো আসেনি। তারপর ফেরদৌসকে আমি ফোন দিলে সে আমাকে কিছু একটা বললো। কিন্তু সে কথাগুলি আমি নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে শুনতে পাইনি। তবে শুনতে না পেলেও আমি ফেরদৌসকে বললাম তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো। তারপর আমি বসে ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর মনে মনে চিন্তা করছিলাম ফেরদৌস কতক্ষণ দেরি করবে আসতে? কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখি মাত্র কয়েক মিনিটের ভেতরে ফেরদৌস সেখানে এসে উপস্থিত হয়ে আমাকে ডাকছে। ফেরদৌস আর মোটরসাইকেল থেকে নামেনি। আমি চায়ের দোকান থেকে বের হয়ে সোজা ফেরদৌসের মোটরসাইকেলে উঠলাম।
তারপরে ফেরদৌস আমাকে জিজ্ঞেস করল কোন দিকে যাবো। আমি ওকে বললাম যেকোনো একদিকে গেলেই হবে। তারপর আমরা আমাদের পছন্দের একটি জায়গার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেই জায়গার ছবি এর আগেও আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তবে তখন সেখানে একেবারেই পানি ছিলো না। সেখানে নদী শুকিয়ে একেবারে সরু খালের আকার ধারণ করেছিলো। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিলো বর্ষাকালে সেখানকার চেহারা কেমন হয় সেটা দেখার। যাই হোক দুই বন্ধু গল্প করতে করতে সেই জায়গার উদ্দেশ্যে যেতে লাগলাম। শহর ছেড়ে কিছুটা দূরে আগানোর পরেই শুরু হলো গ্রামীণ পরিবেশ। রাস্তার দুপাশ দিয়ে কখনো ফসলের ক্ষেত আবার কখনো বিলের মত জায়গা দেখতে পাচ্ছিলাম। সে জায়গাগুলো দেখছিলাম আর গ্রামের মানুষদের শোভাগ্যের কথা চিন্তা করে রিতীমতো হিংসা হচ্ছিলো। যাই হোক দুই বন্ধু গল্প করতে করতে আস্তে আস্তে আমাদের কাঙ্খিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। আর আমি পথের ভেতরে মাঝে মাঝে ছবি তুলছিলাম।
আমার একটা সমস্যা হচ্ছে আমি রাস্তাঘাট সহজে মনে রাখতে পারি না। তবে এবার আমাদের কাঙ্খিত জায়গার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ফেরদৌস একটা সময়ে রাস্তা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করলো। আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো আমরা ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি তো? আমি চারপাশটা দেখে শুনে বললাম হ্যাঁ আমরা ঠিক রাস্তায় আছি। কারণ সামনে যে জায়গাটা দেখতে পাচ্ছি এই জায়গাটা আমার মনের ভেতরে গেঁথে রয়েছে। এভাবে আমরা যেতে যেতে এক সময়ে সেই নদীর কাছাকাছি উপস্থিত হলাম। তবে শেষবার যখন আমরা সেই নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন সেখানে যাওয়ার রাস্তাটা ছিলো মাটির রাস্তা। এবার গিয়ে দেখি ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে থেকে সেই নদীর পাড় পর্যন্ত ইট বিছানো রাস্তা হয়ে গিয়েছে। অবশ্য রাস্তার কাজ পুরোপুরি এখনো শেষ হয়নি। রাস্তার শেষ মাথার দিকে গিয়ে দেখলাম সেখানে এখনো নির্মাণ কাজ চলছে।
(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ফেরদৌস ভাইয়া কে নিয়ে ঘুরতে যাবেন বলে বের হলেন।কিন্তু ভাইয়া না আসাতে আপনি ইউসুফ ভাইয়ার চায়ের দোকানে গেলেন।এরপর ভাইয়া এলে দুজন বের হয়ে গেলেন।আপনি রাস্তাঘাট মনে রাখতে পারেন না।আসলে অনেকেই ভুলে যায়।আপনি ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।রাস্তাদুটো কিন্তু চমৎকার। একটার দুপাশে সারি সারি গাছ।অন্যটির দুপাশে পাটের শোলা। বেশ ভালোই লাগলো।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টি মানুষের জন্য আশীর্বাদ। তবে একটানা বৃষ্টি হলে অনেক সময় মানুষের মধ্যে একটু বিরক্ত চলে আসে। কারণ মানুষ মন খুলে কোন জায়গায় যেতে পারেন এবং কোন কাজও তেমন করতে পারে না। দুই বন্ধু মিলে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। আসলে ভাই গ্রামের মানুষগুলো অনেক সৌখিন এবং গ্রামে সুন্দর্য আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটে রয়েছে। আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার বন্ধুর ফেরদৌসের সাথে খুব সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন। আপনাদের এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাঘুরির কিছু অভিজ্ঞতা। আসলে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে ভাই। আসলে দুই বন্ধু মিলে গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে কিন্তু বেশ মজা লাগে ভাই আমি যখন বাড়িতে যাই তখন এই অনুভূতিগুলো পেয়ে থাকি। প্রথমে আপনি ইউসুফ ভাইয়ের দোকানে গিয়েছিলেন তারপরে বন্ধুর সাথে সেখান থেকে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলেই কাজের বেশি চাপ থাকলে ঘুরাঘুরি করা খুব দরকার। তাহলে কিছুটা হলেও মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। নতুন উদ্যমে আবারো কাজ শুরু করা যায়। আপনি ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে ঘুরাঘুরি করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। যাইহোক ফেরদৌস ভাইয়ের সাথে বাইকে চড়ে দারুণ একটি জায়গায় ঘুরতে গেলেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।