তিন বন্ধুর পুরান ঢাকা অভিযান (প্রথম পর্ব)।
কিন্তু হঠাৎ করে বেলা সাড়ে দশটার দিকে ফেরদৌস আমাকে ফোন দিয়ে বললো তুমি কোথায়? আমি প্রথমে ওকে বকাঝকা করলাম তারপর বললাম আমিতো বনশ্রী তে আছি। তখন ফেরদৌস বলল আমার ঢাকায় আসতে আর এক ঘন্টা মত সময় লাগবে। আমি কোথায় তোমাদের জন্য অপেক্ষা করবো? তখন আমি ওকে পরামর্শ দিলাম শাহবাগ আসতে। তারপর আমি বন্ধুরা রাসেলের সাথে যোগাযোগ করে রাসেল কেও বললাম শাহবাগ চলে যেতে। এদিকে যেহেতু আমার তেমন একটা প্রস্তুতি ছিলো না। তাই আমার তৈরি হয়ে বের হতে বেশ কিছুটা সময় লাগলো। আমি জুম্মার নামাজ পড়ে তারপর বের হয়েছিলাম। শুক্রবার দুপুরে ঢাকার রাস্তাঘাট বেশ ফাঁকা থাকে। এই কারণে আমার শাহবাগ পৌঁছাতে খুব একটা সময় লাগেনি। আমাকে ওরা আগেই জানিয়েছিল ওরা জাদুঘরের গেটের সামনে অপেক্ষা করবে আমার জন্য। তাই আমি সরাসরি সেখানে গিয়ে উপস্থিত হলাম। সেখানে গিয়ে দেখি ওরা একটা চায়ের দোকানে বসে রয়েছে।
তখন আমি ওদেরকে জিজ্ঞেস করলাম জাদুঘরে ঢুকবে কিনা? তারপর আমি রাসেলকে জিজ্ঞেস করলাম জাদুঘরের ভেতর ছবি তুলতে দেবে কিনা? তখন রাসেল জানালো জাদুঘরের ভেতর সম্ভবত ছবি তুলতে দেবে না। এজন্য আমি জাদুঘরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিলাম। কারণ এর আগেও আমি জাদুঘর ঘুরে দেখেছি। যাই হোক তখন আমরা চিন্তা করতে লাগলাম এখন কোথায় যাওয়া যায়? তারপর আমরা তিনজনে মিলে ঠিক করলাম আমরা পুরান ঢাকার দিকে যাবো। সেখানে গিয়ে দুএকটা জায়গায় ঘোরাফেরা করবো। তারপর খাওয়া দাওয়া করে আমরা ফিরে আসবো। ঠিক করা হলো আমরা প্রথমে যাব লালবাগ কেল্লায় তারপর সেখান থেকে আহসান মঞ্জিল ঘুরে দেখে তারপর নাজিরা বাজার যাবো খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। এই পরিকল্পনা করে আমরা শাহবাগ থেকে একটি রিক্সা নিলাম লালবাগ কেল্লার উদ্দেশ্যে।
তিন বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে আমরা লালবাগ কেল্লার দিকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু রিক্সা যখন পুরান ঢাকার ভিতরে ঢুকলো তখন রিক্সার গতি একেবারেই কমে গেলো। যেহেতু এক রিকশায় তিনজন ছিলাম সেই কারণে আমাদের বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। তাছাড়া পুরান ঢাকার রাস্তাগুলি যেমন জনাকীর্ণ তেমনি ভাঙাচোরা। সেই কারণে সমস্যা বেশি হচ্ছিলো। যদিও লালবাগ কেল্লার দূরত্ব খুব একটা বেশি ছিলো না। কিন্তু রাস্তায় প্রচুর যানবাহন থাকার কারণে আমাদের সেখানে যেতে বেশ সময় লাগলো। প্রথমে মনে করেছিলাম হয়তো লালবাগ কেল্লার ঢোকার গেটের পাশেই টিকেট কাউন্টার রয়েছে। তবে পরবর্তীতে জানতে পারলাম সেখান থেকে টিকিট কাউন্টার সরিয়ে এখন অন্য দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টিকিট কাউন্টারের দূরত্ব লালবাগ কেল্লার ঢোকার গেটের থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে গিয়ে ফেরদৌস আমাদের তিনজনের জন্য তিনটি টিকেট কেটে আনলো। আমি আর রাসেল কিছুটা দুরে দাড়িয়ে ফেরদৌসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফেরদৌস যখন টিকেট নিয়ে ফিরে এলো তখন আমরা তিনজন লালবাগ কেল্লার গেটের লাইনে দাঁড়ালাম ভেতরে ঢোকার জন্য। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এদিন দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। এত বেশি লোকজন থাকার কারণে আমাদের ঢুকতে কিছুটা সময় লেগেছিলো। তবে ঢোকার পরে সামনের পরিবেশটা দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ্! ভালোই তো হলো, ফেরদৌস ভাইও চলে এসেছিল এবং তিন বন্ধু মিলে ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন। জাতীয় জাদুঘরে ছবি তোলা নিষেধ, তবে ছবি তোলা যায় লুকিয়ে লুকিয়ে। আমরা কয়েকমাস আগে গিয়েছিলাম এবং তখন অনেক অনেক ফটোগ্রাফি করেছিলাম,আবার ভিডিওগ্রাফিও করেছিলাম। যাইহোক লালবাগ কেল্লা এবং আহসান মঞ্জিলে ঘুরাঘুরি করতেও খুব ভালো লাগে। বেশ কয়েকবার গিয়েছি লালবাগ কেল্লা তে। লালবাগ কেল্লার গেইট থেকে কাউন্টার একটু দূরে। ২/৩ মাস আগে গিয়েছিলাম সেখানে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।