এই ঝামেলার ভেতরে ঢাকা থেকে ফরিদপুর ফেরার অভিজ্ঞতা (প্রথম পর্ব)।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সৌদি থেকে দেশে ফেরার আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম দেশে ফিরে ঢাকায় একদিন থাকবো। পরদিন সকালে উঠে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। কারণ দীর্ঘদিন স্ত্রী এবং একমাত্র মেয়েকে না দেখে মনের ভেতরে অস্থির লাগছিলো। তাই মনে হচ্ছিলো কবে দেশে ফিরতে পারবো আর কবে আবার তাদের দেখতে পারবো। কিন্তু দেশে ফেরার পরেই পরিস্থিতি সম্পুর্ন অন্যরকম হয়ে গেলো। যাইহোক ঢাকায় পৌঁছানোর পরেই বুঝতে পারলাম সহজে ঢাকা থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই। এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো গতি নেই। কয়েকদিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমি খোঁজ খবর নিতে শুরু করলাম কিভাবে ফরিদপুরে যাওয়া যায়। বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নিচ্ছিলাম।

1000009605.jpg

এর ভেতরে একদিন হঠাৎ করে একটা বিকল্প রাস্তার কথা মাথায় এলো। আমি যখন চাকরি করতাম তখন একবার সেই রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় এসেছিলাম। আমি মনে মনে পরিকল্পনা করলাম যদি সম্ভব হয় তাহলে আমি একা একা সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর চলে যাবো। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তখন এসে আবার আম্মাকে নিয়ে যাবো। এই পরিকল্পনা মাথায় আসতেই আমি ফরিদপুরে আমার এক পরিচিত লোককে ফোন দিয়ে সে বিকল্প রাস্তার কথা ভালোভাবে জিজ্ঞেস করলাম। কারণ আমি সেই রাস্তা দিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম দীর্ঘদিন আগে। এখন সেখানকার কি অবস্থা সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়ার জন্য আমার এক প্রাক্তন কলিগকে ফোন দিয়েছিলাম।


শুনেছিলাম সে নাকি ওই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করে। তাকে ফোন দিতেই সে আমাকে বলল ভাই আপনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আমি আমার পরিচিত লোকদেরকে ফোন দিয়ে রাস্তা ঘাটের অবস্থা সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে আপনাকে জানাচ্ছি। পরবর্তীতে সে আমাকে ফোন দিয়ে জানালো সেই বিকল্প রাস্তা দিয়ে আসতে কোন সমস্যা নেই। আমি খুব সহজেই সেই রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে চলে আসতে পারবো। তবে সেই রাস্তা দিয়ে আসার জন্য আমাকে হয় কদমতলী না হয় মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে মৈনট ঘাট পর্যন্ত যেতে হবে। সেখান থেকে ট্রলার অথবা স্পিডবোটে করে নদী পার হলেই আমি ফরিদপুরের সীমানায় প্রবেশ করবো।


পরবর্তীতে সেখান থেকে অটোরিক্সা নিয়ে খুব সহজেই ফরিদপুর শহরে চলে যাওয়া যায়। যাই হোক তার সাথে কথাবার্তা হওয়ার পরে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম পরদিন ফরিদপুর চলে যাবো। আমি আমার সিদ্ধান্তের কথা আমার মা এবং বোন দুলাভাইকে জানালাম। তারা অবশ্য আমাকে আরো একটু অপেক্ষা করতে বললো। তারা বলছিলো যদি রাস্তাঘাটে হঠাৎ করে কোন বিপদ হয় তখন কি হবে? আমি তখন তাদেরকে বুঝিয়ে বললাম এই রাস্তাটা নিরাপদ। আর আমি সাথে কোনো বড়ো লাগেজ নেবো না। ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে আমি ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবো। যাই হোক পরদিন যথারীতি আমি সকালবেলায় আপুর বাসা থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। গুলিস্তান পর্যন্ত পৌঁছে দেখি সেখানে গোলাপ শাহের মাজারে যাওয়ার আগের রাস্তাটা আর্মি বন্ধ করে রেখেছে। সেখানকার অবস্থা দেখে আমি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলাম। পরবর্তীতে আমি এক আর্মি সদস্যকে জিজ্ঞেস করলাম যে সামনে কোনো সমস্যা আছে নাকি? সে আমাকে বললো না ভয় পাওয়ার কিছু নেই।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসHONOR 90
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

logo.png

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

standard_Discord_Zip.gif


break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png



🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩


@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

দেশের পরিস্থিতি এত খারাপ ছিল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করতে সমস্যা হয়েছিল। ভাগ্যিস আপনি বিকল্প রাস্তা খুঁজে পেয়েছিলেন। কিন্তু কতটুকু আসতে পারলেন সেটা তো বুঝতে পারি নাই। পরবর্তী পর্বে আশা করি জানতে পারবো।

 last month 

মৈনট ঘাটকে তো মিনি কক্সবাজার বলা হয়ে থাকে। বেশ কয়েকমাস আগে মৈনট ঘাটে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলাম, তবে শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। যাইহোক বিকল্প রাস্তা দিয়ে ফরিদপুর যাওয়ার আইডিয়াটা দারুণ ছিলো ভাই। যেহেতু অনেক দিন সুমা আপু এবং আপনার মেয়েকে দেখতে পাননি,তাই তাদেরকে দেখার জন্য অস্থির হওয়াটা স্বাভাবিক। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।

 last month 

আপনার সাহস আছে বলতে হয় দাদা। সেটা না হলে বিকল্প রাস্তা খুঁজে এই পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে আপনি ফরিদপুর আসার চেষ্টা করতেন না। তবে এরকম আসলে আমার সাথে একবার হয়েছিল, যখন করোনা চলছিল সারা বিশ্ব জুড়ে তখন। আপনার শেয়ার করা বিকল্প রাস্তা কিন্তু বেশ শান্তশিষ্ট মনে হচ্ছে। যাইহোক, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আর কি জানা যায় এই নিয়ে, কোন বাধার সম্মুখীন আপনি হয়েছিলেন নাকি ভালোভাবে পৌঁছাতে পেরেছিলেন গন্তব্যে।

 last month 

আপনি এমন একটা সময়ে দেশে পৌঁছে ছিলেন তখন সত্যি ই দেশের যাতায়াত পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল।আপনি বিকল্প রাস্তার কথা বললেন ফরিদপুর যেতে।সেই মৈনট ঘাট আমরা পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম।আপনি সেই পথ ধরে যাওয়ার জন্য বের হলেন।এরপর আর্মি বলল ভয় নেই।কিন্তু তারপরে আসলে কি করেছিলেন?? পরবর্তী পর্বে আশাকরি জানতে পারবো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 57475.27
ETH 2375.39
USDT 1.00
SBD 2.34