তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা (শেষ পর্ব)।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আমরা তিন বন্ধু অন্য একটি রাস্তা দিয়ে শহরের দিকে ফিরতে লাগলাম। তবে যে রাস্তা দিয়ে ফিরেছিলাম সেই রাস্তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিলো না। যার ফলে আমাদের ফিরতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিলো। ফেরার পথে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম কোথাও থেকে হালকা কিছু খেয়ে নেয়া দরকার। তখন আমরা পরিকল্পনা করলাম লক্ষ্মীপুর স্টেশনের কাছাকাছি একটি চপের দোকান আছে। সেখানকার চপ বেশ জনপ্রিয়। সেখানে গিয়ে আমরা তিন বন্ধু বিভিন্ন রকমের চপ খাবো। তবে সেই চপের দোকানে যাওয়ার আগেই পথের মাঝে আরো একটি চপের দোকান দেখতে পেলাম। যেটি নিয়ে ফেসবুকে আমি বেশ কিছু রিভিউ দেখেছি। তাদের মতে এই দোকানের চপ নাকি খুবই সুস্বাদু। তাই আমি ফেরদৌস ও রাসেলকে বললাম এখান থেকে চপ খাবি নাকি? এখানকার চপের অনেক সুনাম শুনেছি। এই কথা শুনে ওরা বলল তাহলে এখান থেকেই হালকা খাওয়া-দাওয়া সেরে নেই।

IMG_20230910_181246.jpg

তারপর আমরা সেই দোকানে গিয়ে দেখতে লাগলাম কি কি রয়েছে। সেখানে দেখতে পেলাম দুই তিন রকমের চপ রয়েছে আর সাথে রয়েছে কোয়েল ফ্রাই এবং চিকেন ফ্রাই। তবে খাবারের অবস্থা দেখে আমার কাছে খুব একটা সুবিধার মনে হলো না। তারপরেও আমরা প্রথমে কয়েকটি চপের অর্ডার দিলাম। চপটা খেয়ে আমাদের খুব একটা ভালো লাগেনি। অবশ্য খেতে যে খুব খারাপ ছিলো তেমনটাও নয়। চপ খাওয়া হলে আমরা চিন্তা করলাম এখন কি খাওয়া যায়? তারপর আমরা এক পিস চিকেন ফ্রাই অর্ডার করলাম। এক পিস অর্ডার করার কারন এই দোকান থেকে এর আগে চিকেন ফ্রাই খাওয়ার কোন অভিজ্ঞতা আমাদের ছিলো না। যার ফলে আমরা প্রথমে টেস্ট করার জন্য এক পিস চিকেন ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম। আমাদের পরিকল্পনা ছিলো যদি চিকেন ফ্রাই এর টেস্ট ভালো হয় তাহলে আরো অর্ডার করবো।


IMG_20230908_163029.jpg

আমরা বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমাদের সামনে চিকেন ফ্রাই পরিবেশন করলো। চিকেন ফ্রাইয়ের সাইজটা অবশ্য বেশ বড়ই ছিলো। তবে খেতে একেবারেই বাজে ছিলো। অন্য যে সমস্ত জায়গা থেকে আমরা চিকেন ফ্রাই খাই তাদের উপরের অংশটা ক্রিস্পি হলেও ভেতরের অংশটা বেশ নরম থাকে। কিন্তু এখানকার চিকেন ফ্রাই খেতে গিয়ে দেখলাম ভেতরের অংশটা খুবই শক্ত। যার ফলে খেতে খুবই খারাপ লাগছিলো। যাইহোক আমরা তিন বন্ধু সেই চিকেন ফ্রাই থেকে একটু একটু করে ভেঙে খেয়ে খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করলাম। তারপর বিলমিটিয়ে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। সেখানে খাওয়া-দাওয়ার পরে ফেরদৌস জিজ্ঞেস করল এখন কোথায় যাবো। কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে বন্ধু রাসেল বলল এখন আমরা বাঁধের উপরে দাঁড়াই। সেখানে আরো দুই একজন বন্ধুবান্ধব আসতে পারে। তখন তাদের সাথে আড্ডা দেয়া যাবে।


IMG_20230908_163024.jpg

আমরা বাঁধে পৌছে দেখি বন্ধু প্রদিপ আগে থেকেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাধের উপর পৌঁছে আমরা সবাই মিলে আড্ডা দিতে লাগলাম। তবে বেশিক্ষণ আড্ডা দেয়ার সৌভাগ্য হয়নি। কারণ কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পরই মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম। মাগরিবের আজান হয়ে যাওয়ার পর আমরা তিন বন্ধু গেলাম নামাজ পড়তে। নামাজ পড়ে এসে বন্ধুদের সাথে আরো কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। যেহেতু টেপাখোলা গিয়েছি। সেখানে গেলে আমি টেপাখোলা মাছ বাজার থেকে অবশ্যই একবার ঘুরে যাই। তাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়া শেষ হলে আমি মাছ বাজারে গেলাম দেখার জন্য যে কি কি মাছ রয়েছে। সেই গল্প অন্য আরেকদিন করবো। মাছ বাজারে ঘোরাফেরা শেষে আমি বাড়ির দিকে ফিরতে লাগলাম।


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসহুয়াই নোভা 2i
ফটোগ্রাফার@rupok
স্থানফরিদপুর

@rupok

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 11 months ago 

আমার কাছে না ভাইয়া আপনাদের এই তিন বন্ধুর ঘোরাফেরা বেশ ভালই লাগে। আপনারা কিন্তু অনেক মজা করেন ঘুরতে যেয়ে তাইনা ভাইয়া? এবারও তো বেশ মজা করলেন। প্রকৃতি দেখলেন, মজার মজার চপ খেলেন। আরো কত কি। দোয়া করি আপনাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক চিরজীবন।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

বন্ধুদের নিয়ে ফেরার সেই পথটি খুব একটা ভালো ছিল না তাই ফেরার পথে খুব কষ্টই হলো।এরপর কিছু খেয়ে নিয়ে বাঁধে এসে দাঁড়ালেন। এসে এক বন্ধু কে পেলেন।কিছু সময় বন্ধুদের সাথে থাকার পর আজান দিল মাগরিবের। এরপর নানাজ থেকে এসে আরো কিছু সময় গল্প করে টেপাখোলা মাছ বাজারে গেলেন।পরের পর্বে জানতে পারবো কি কি মাছ সেদিন দেখেছেন।বন্ধুদের নিয়ে সময়টা বেশ ভালোই উপভোগ করলেন।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59887.64
ETH 2670.13
USDT 1.00
SBD 2.47