মায়ের জন্য মাছ কেনার অনুভূতি।
এর ভিতর রাতে ফোন পেলাম পরদিন সময় করে আমাকে ফরিদপুর জজ কোর্ট যেতে হবে একটা কাজে। যার ফলে বুঝতে পারছিলাম পরদিন আমার বেশ ব্যস্ততায় কাটবে। পরদিন সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে গিয়েছিলাম বাজারে। বাজারে গিয়েছিলাম মূলত মাছ এবং সবজি কেনার জন্য। প্রথমে আমি ঠিক করেছিলাম মাছ কিনবো। মাছ কেনা শেষ হলে তারপর সবজি কিনবো। কারণ সবজি কিনতে হবে অনেক। যার ফলে ব্যাগের ওজন অনেক বেশি হয়ে যাবে। এতো ভারী ব্যাগ নিয়ে পড়ে মাছ কিনতে আমার সমস্যা হবে। যদিও মাছ বাজারে যাওয়ার আগে দু রকমের সবজি কিনে ফেলেছিলাম। যাইহোক মাছ বাজারে গিয়ে আমি ঘুরে ফিরে বেশ কিছু মাছ কিনলাম। যে সমস্ত মাছ কিনেছিলাম সব অবশ্য আমি খাইও না। দীর্ঘদিন পর মা বাড়িতে এসেছে। আমার মা আবার মাছ খেতে পছন্দ করে। সে কারণেই তার জন্য বেশ কিছু রকমের মাছ কিনেছিলাম।
প্রথমেই বাজারে গিয়ে কিনেছিলাম একটি বোয়াল মাছ। তারপর আস্তে আস্তে শোল মাছ, টেংরা মাছ, বেলে মাছ, টাটকিনি মাছ আর নদীর ছোট মাছ কিনেছিলাম। আমার মা সবসময় ছোট মাছ খেতে পছন্দ করে। বড় মাছ নাকি তার ভালো লাগেনা। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার ফলে দেশের টাটকা মাছগুলো সে খুব মিস করতো তার কথা থেকে বুঝতে পারছিলাম। এজন্যই এই মাছগুলো কিনেছিলাম। মাছ কেনা শেষ হলে গিয়েছিলাম সবজি বাজারে। সেখান থেকে পছন্দমত সবজি কিনলাম। তবে প্রচুর বাজার করার ফলে দুই হাতে ব্যাগ দুটোর ওজন হয়ে গিয়েছিলো অনেক বেশি। আমি যখন বাজার করি তখন এভাবেই বাজার করার চেষ্টা করি।
তবে চিন্তা করছি এখন থেকে কয়েক দফায় বাজার করতে হবে। না হলে একবারে বেশি কেনাকাটা করলে তখন ব্যাগগুলো টানতে বেশ কষ্ট হয়। আমি বেশিরভাগ সময় মাসের মাছ মাংস একবারে কিনে ফেলি। যদিও সেটার খুব একটা প্রয়োজন নাই। কারণ আমার বাসা থেকে বাজারের দূরত্ব খুব একটা বেশি না। তাই চিন্তা করেছি এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে বাজার করবো। যার ফলে আমাকে আর অতিরিক্ত ভারী ব্যাগ টানতে হবে না। সেইসাথে টাটকা মাছ মাংস ও খাওয়া যাবে। মাসের শুরুতে একবারে বাজার করে রাখলে যেটা হয় পুরো মাস ফ্রিজে সংরক্ষিত মাছ মাংস খেতে হয়। হাতের ব্যাগ দুটো অতিরিক্ত ভারি হয়ে যাওয়ার ফলে আমার রিক্সা পর্যন্ত হেঁটে যেতেও বেশ কষ্ট হচ্ছিলো। কারণ যেখানে আমি বাজার করা শেষ করেছিলাম সেখান থেকে রিক্সা গুলোর দূরত্ব ছিল বেশ কিছুটা। একটু কষ্ট করে হলেও ব্যাগগুলো নিয়ে একটি রিক্সায় উঠে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। অনেকদিন পর মন মতো বাজার করতে পেরে মনের তৃপ্তি নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
| ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90 |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @rupok |
| স্থান | ফরিদপুর |
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনার মায়ের পছন্দের মাছ কেনার অনুভূতি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন ভাইয়া।দেশী সব মাছের স্বাদেই আলাদা। দেশী ছোট মাছ আমারও ভিষণ প্রিয়। ভালো লেগেছে পোস্টটি। একদম ঠিক বলেছেন, মাছ-মাংস,সব্জি একসাথে বেশি না কিনে ১ সপ্তাহের জন্যই কেনা ভালো।তাতে টাটকা স্বাদ পাওয়া যায়। ব্যাগের ওজনও কম হয়। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এরপর থেকে প্রতি সপ্তাহে বাজার করার চেষ্টা করবো। কারণ একবারে বাজার করতে গিয়ে আসলেই বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়।
ভাইয়া,মা অনেক দিন পর দেশে এসেছে।আর মায়ের জন্য পছন্দের মাছ কিনতে গেলেন। খুব ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি গুলো শুনে। মাছ একবারে বেশি না কিনে তাজা তাজা কেনাই ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু। এরপর থেকে একবারে বেশি মাছ না কিনে টাটকা মাছ কেনার চেষ্টা করবো।
আসলে ভাইয়া আমাদের মা-বাবার জন্য যদি আমরা কিছু কিনতে পারি আর যদি সেটা তাদের পছন্দের হয় তাহলে মনের মধ্যে অন্যরকম একটা প্রশান্তি কাজ করে। ঠিক তেমনি আপনার মা দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর দেশে এসে আপনি তার প্রিয় ছোট মাছ কিনেছিলেন। একসাথে বোয়াল মাছ সহ আরো বেশ কয়েক ধরনের মাছ কিনেছিলেন। তবে ভাইয়া আমি ছোট হয়ে একটি ছোট পরামর্শ দেই সেটি হচ্ছে একেবারেই যদি আপনি সবসময় পুরো মাসের বাজার করেন তাহলে সে বাজারগুলো ফ্রিজে থাকার কারণে হয়তো পোস্টটি গুনাগুন একটু হলেও নষ্ট হবে তাই আমি ছোট ভাই হিসেবে এটাই চাইবো যে আপনি প্রতি সপ্তাহে যে বাজার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটাই বজায় রাখলে ভালো হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মায়ের জন্য মাছ কেনার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে আপনি প্রকাশ করেছেন।
আসলে কাজের চাপে রেগুলার বাজার করা আমার জন্য খুব সমস্যা হয়ে যায়। তারপরেও এরপর থেকে চেষ্টা করবো।
জি ভাইয়া। আপনি চেষ্টা করলে অবশ্যই সেটা পারবেন এটা আমার বিশ্বাস।
মায়ের জন্য দেখি অনেক বাজার সদাই করেছেন ৷ আসলে মা কথা ছোট্ট হলেও মায়ের কাছে সকল সুখ পাওয়া যায় ৷ যা পৃথবীর কোথাও পাওয়া যায় না ৷ খুব ভালো লাগলো ভাই যে মায়ের জন্য দেশী ছোট মাছ গুলো কিনেছেন ৷ আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করি ৷
ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।
বোয়াল, শোল, টাংরা কোন কিছুই যে বাদ দেননি ভাই। সব মাছ কিনেছেন। যেহেতু বললেন আপনার বাড়ি থেকে বাজার কাছে তাহলে চেষ্টা করবেন মাছ মাংস নিয়মিত কেনার জন্য। কারণ এগুলো ফ্রেশ খাওয়া গেলে ভালো হয়। ফ্রীজে রাখলে সেটার গুণাগুণ আর থাকে না।
ঠিকই বলেছেন ফ্রেশ মাছ মাংস খাওয়ার একটা আলাদা মজা রয়েছে।
যদি আপনি দুই-তিন দিনের জন্য ঢাকায় থাকে এসেছিলেন। তবে কাজের ব্যস্ততার জন্য সাত দিন থাকতে হয়েছে। যাইহোক সেখান থেকে মাছের বাজারে গিয়েছিলেন। আসলে সবজি কিনবেন অনেক যার কারণে আপনি আগে মাছের বাজারে গেলেন। মাছের বাজার যাওয়ার আগে কিছু সবজি কিনেছেন। তবে মাছের বাজারে গিয়ে আপনি একটি বোয়াল মাছ কিনেছেন। তারপরে শোল মাছ এবং আপনার মা বড় মাছ পছন্দ করে না। তার ছোট মাছ খুবই পছন্দ যার কারণে ছোট মাছ কিনেছেন। আপনার মাছের বাজারে এই কেনাকাটার মুহূর্তও জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে।
ভাই আপনার মতো একইরকম অবস্থা আমারও হয়। সবজি আর মাছ মাংস কিনে বড় দুই ব্যাগ ভরে যায় একেবারে। তখন ব্যাগগুলো নিয়ে রিকশায় উঠতেই কষ্ট হয়ে যায়। আমার বাসা থেকেও বাজারের দূরত্ব একেবারে কম। তবুও অলসতার জন্য বারবার বাজারে যেতে ইচ্ছে করে না। তবে ১৫ দিনের মাছ মাংস কিনলেও,সবজি সপ্তাহে ১ বার কেনার চেষ্টা করি। তবুও এক সপ্তাহের সবজি কিনলেও যেনো দুই ব্যাগ ভরে যায়। যাইহোক ছোট মাছ আমারও ভীষণ পছন্দ। আন্টির জন্য বেশ ভালোই মাছ কিনেছেন। তবে এই মাছ দুটি কিন্তু গজার মাছ ভাই। যদিও জানিনা আপনি এই মাছ দুটোই শোল মাছ ভেবে কিনেছেন নাকি। অনেকে শোল এবং গজার মাছ গুলিয়ে ফেলে। আবার কিছু মাছ বিক্রেতা, গজার মাছকে শোল মাছ বলে বিক্রি করে। শোল মাছের দাম গজার মাছের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। যাইহোক এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যে মাছ কিনেছি সেটার ছবি তোলার কথা মনে ছিলো না। আগে আমিও শোল আর গজারের পার্থক্য বুঝতে পারতাম না। তবে এখন চিনতে পারি।
দাদা, আপনার মায়ের মত আমিও ছোট মাছ খেতে অনেক পছন্দ করতাম একসময়। তবে আপনি মায়ের জন্য এত প্রকার মাছ কিনেছেন, এটা দেখে সত্যিই বেশ ভালো লাগছে। তাছাড়া আমি নিজেও কিন্তু একবারে মাসিক বাজার করতে পছন্দ করি না। কারণ তাতে করে টাটকা জিনিস খাওয়া যায় না। এমনিতেও ফ্রিজের জিনিস আমার খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। যাই হোক, ভালো লাগলো দাদা আপনার পোস্ট টি পড়ে।
মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।