শীতের সকালে হাঁটাহাঁটি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন।
আমি সাধারণত সকালে হাটাহাটি করি। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ২/৪ দিন আমি হাঁটতে বের হই। তাই গতকালকে ঠিক করেছিলাম আজকে সকালে গ্রামের দিকে হাটতে যাবো। আমি থাকি ফরিদপুর শহরের প্রায় মাঝামাঝি একটা অবস্থানে। তবে আমাদের এই শহর একেবারেই ছোট্ট একটা শহর। শহরটা কতটুকু ছোট একটা আপনারা একটা উদাহরণ দিলে বুঝতে পারবেন। আমার বাড়ি থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় যে জায়গাটাকে জনতা ব্যাংকের মোড় সেটার দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। আর আমার বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার উল্টোদিকে গেলেই গ্রামীণ পরিবেশ দেখা যায়। আশা করি এটা থেকেই আপনারা বুঝতে পারছেন আমাদের শহর কতো ছোট।
এক সময় আমাদের এই শহরটা ছিল একেবারেই নিরিবিলি। তবে আস্তে আস্তে শহরে প্রচুর লোক বেড়ে গিয়েছে। আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষজন এসে শহরে থাকতে শুরু করেছে। যার ফলে শহরটাতে আগের মতো নিরিবিলি পরিবেশ নেই। যাইহোক যেহেতু গ্রামীণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য আমার খুব একটা বেশি দূরে যেতে হয় না তাই শহরে থাকতেও আমার খুব একটা খারাপ লাগে না। গতকাল রাতেই পরিকল্পনা করেছিলাম আজকে সকালে হাঁটার জন্য গ্রামের দিকে যাবো। আর চেষ্টা করব সেখান থেকে শীতের সকালের কিছু ছবি তুলে আনতে। সকালে উঠে নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপর হাঁটতে বের হলাম। আমি যখন হাঁটতে বের হই তখন ঘড়িতে বাজে ৬ঃ৪০। তখন সবে সূর্য দূর আকাশে উঁকি দিতে শুরু করেছে।
আমি সকালে হাঁটার সময় চেষ্টা করি দ্রুত হাঁটতে। যার ফলে আমার বাসা থেকে গ্রামীণ প্রাকৃতিক পরিবেশে পৌঁছুতে খুব বেশি সময় লাগেনি। আমার বাসা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নদীর উপরে ছোট্ট একটা ব্রিজ রয়েছে। সেই ব্রিজটা পার হয়ে গেলেই একটা সরু রাস্তা সোজা চলে গিয়েছে। রাস্তার দুপাশ দিয়ে ফসলের ক্ষেত আর তার থেকে কিছুটা সামনে আগালেই বেশ কিছু বাড়িঘর দেখা যায়। যেখানে বিভিন্ন রকমের গবাদি পশু পালন করা হয়। একদম গ্রামীণ পরিবেশ বলতে যা বোঝায় একেবারে সেইরকম। আগে মাঝে মাঝে এদিকটাতে হাঁটতে আসতাম। তবে অনেকদিন হয়ে গেলো সেদিকে যাওয়া হয় না। আমি বেশিরভাগ সময় শহরের ভেতর দিয়েই হাটাহাটি করি। অবশ্য তার একটা কারণও রয়েছে। হাঁটাহাঁটির সময় ক্ষুধা পেলে যাতে কোন একটা হোটেল থেকে নাস্তা করে নিতে পারি। যদিও গ্রামের দিকে গেলে এই সুযোগটা থাকে না। তারপরেও গ্রামের দিকে হাটতে গেলে যে মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায় সেটা অবশ্য শহরের ভেতর হাঁটাহাঁটি করে পাওয়া যায় না।
আমি আমার কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছে হাঁটা বাদ দিয়ে কিছুক্ষণ বিভিন্ন রকমের ছবি তুললাম। তবে বেশ কিছুদিন পরে টানা কিছুক্ষণ হাঁটার ফলে কোমরে হালকা ব্যথা টের পাচ্ছিলাম। যার ফলে চিন্তা করলাম আর সামনে না গিয়ে এখন এখান থেকেই বাড়ির দিকে ফিরতে হবে। আমি গত বেশ কিছুদিন ধরে অনিয়মিতভাবে হাটাহাটি করি। কয়েকদিন পরে হাটতে বের হলেই এই ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। অবশ্য কয়েকদিন টানা হাঁটাহাঁটি করলে গা হাত পা ব্যথা হওয়ার আর কোনো ভয় থাকে না। এমনিতেই গরমের দিনের থেকে শীতের দিনে হাটাহাটি করতে আমি মজা পাই। তাছাড়া আরও একটা সুবিধা আছে। গরমের সময় মাঝেমাঝে বৃষ্টির কারণে সকালে হাঁটতে বের হতে পারি না। শীতের দিনে সেই সমস্যাটা নেই। তাই এখন থেকে ঠিক করেছি আগামী কয়েক মাস রেগুলার সকালে হাঁটাহাঁটি করবো। তাতে করে শরীর মন দুটোই ভালো থাকবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ফরিদপুর |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমাদের দিকে তো সকালে একেবারেই শীতের কুয়াশাই পড়ে না। কীভাবে যে ফটোগ্রাফি করে অংশগ্রহণ করি। আপনার পোস্ট টা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার শহরটা একেবারে ছোট। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে দূরত্ব একেবারেই কম। অনেক সুন্দর লাগল সকালে করা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। আশাকরি এই কয়েকমাস ঠিকমতো হাঁটাহাঁটি করলে আপনার শরীর টা ভালো থাকবে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যিই ভাইয়া শহরে শীত কিংবা কুয়াশা কোনটাই নেই।সপ্তাহে ৫ দিন আমার ভোরেই হাঁটা হয় ছেলেকে স্কুলে দিয়ে।কিন্তু শীতের কোন ফটোগ্রাফি সম্ভব হয়নি তোলা।তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে শীতকাল ভীষণ অনুভব করলাম।আপনি হাঁটাহাঁটি করে চমৎকার ফটোগ্রাফি করলেন।আপনার শেয়ার করা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।ফরিদপুর শহর খুব ছোট জানলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
শীতকালীন সময়ে সকালে ঘুম থেকে উঠলে সবুজের মাঝে বিচরণ করলে শিশির ভেজা প্রকৃতির এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। যেমনটা আপনি গ্রামীণ পরিবেশে গিয়ে উপভোগ করেছেন খুবই সুন্দর ছিল মুহূর্তটি। আমিও অনেকবার এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবো বলে ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত দেখে।
শীতের সকালে হাঁটতে গিয়ে প্রকৃতির দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।ফরিদপুর শহরটা আসলেই খুব একটা বড়ো না।শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গেলেই গ্রামীণ পরিবেশ উপভোগ করা যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কুয়াশায় আচ্ছন্ন ঘেরা শীতের সকালে হাটাহাটি করতে আসলে খুব ভালোই লাগে। তবে শহরের দিকে এত সুন্দর প্রকৃতি দেখা যায় না গ্রামে গেলেই এরকম সুন্দর মুহূর্ত অনুভব করা যায়। শীতের সকালে হাঁটতে গিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শীতের প্রকৃতি দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। যদিও এরকম সৌন্দর্য শহরে দেখা যায় না। তবে গ্রামের দিকে গেলে এই সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। ভাইয়া আপনি গ্রামের দিকে হাঁটতে গিয়েছেন এবং দারুণ সব ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ভাই আপনি তো কুয়াশা ঘেরা চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলেন, কিন্তু আমাদের দিকে তো শীতের কোন দেখাই নেই। তাই কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি এখনও। গত পরশুদিন সকাল ৬ টার সময় ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ আদায় করে, ফটোগ্রাফি করতে একটি গ্রামের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। সেখানে যেতে আমার বাসা থেকে ৪০/৫০ মিনিট সময় লেগেছিল। কিন্তু তবুও কুয়াশার দেখা পেলাম না। তাই এখনও চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কি করবো বুঝতে পারছি না। তবে আবারও চেষ্টা করবো কুয়াশার ফটোগ্রাফি করতে। যাইহোক হাঁটাহাঁটি করে এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই শীতের সৌন্দর্য পেতে হলে গ্রামে যেতে হবে শহরে থেকে শীতের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় না। শীতের সকালে হাটাহাটির পাশাপাশি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন বেশ ভালো লাগলো কুয়াশাচ্ছন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাদের ঐদিকে বেশ ভালই কুয়াশা পড়ছে তা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একদিন হাঁটতে বের হলেই অন্য দিন আবার বের হওয়া হয় না। আসলে আমিও নিয়মিত হতে পারছি না। শীতের হাটাহাটি করলে আসলে মজা লাগে।বিশেষ করে শরীর একটু গরম হয়।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও বোঝা যাচ্ছে শহরটা বেশ
নিরিবিলি।