পরিবার এবং খালাতো বোনদের সাথে নিয়ে ঘোরাফেরা ও হাজির বিরিয়ানি খাওয়ার গল্প ( প্রথম পর্ব)।
বাসায় ফিরে আরও কিছু কাজ বাকি ছিলো সেগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। তারপর বেলা চারটার দিকে বের হলাম ডাক্তারের চেম্বারের উদ্দেশ্যে। আমরা আগে থেকে পরিকল্পনা করেছিলাম ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে আমরা আশেপাশের কোথা থেকে ঘুরে আসবো। মনে করেছিলাম ডাক্তারের চেম্বার থেকে দ্রুত ফিরতে পারবো। কিন্তু ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিলো। সন্ধ্যার পরে আমরা সবাই মিলে রওনা দিলাম টিএসসির উদ্দেশ্যে। অনেকদিন হলো টিএসসিতে যাওয়া হয় না। আগে একটা সময় যখন ঢাকা ছিলাম তখন ঢাকা ভার্সিটির এলাকাতে প্রায়ই যাওয়া হোতো। যাই হোক সেখানে পৌঁছে দেখি লোকে লোকারণ্য। চারিদিকে পা ফেলার জায়গা নেই। টিএসসি চত্বরে না দাঁড়িয়ে আমরা অতিরিক্ত ভিড় এড়ানোর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে পড়লাম। সেখানে ঢুকতে গিয়েও দেখি একই অবস্থা।
পরে যখন কিছুটা হেঁটে একটু ভেতরের দিকে গিয়েছি। সেখানে কিছুটা খোলামেলা জায়গা পেলাম। যদিও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পুরো জায়গাটা আমার কাছে বেশ নোংরা মনে হোলো। হকারদের কারণে মূলত পুরো এলাকাটা নোংরা হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া নানা রকম কাজ চলার কারণেও সেই এলাকাটা ধুলোময় হয়ে রয়েছে। যাইহোক আমরা বেশ কিছুক্ষণ সেখানে কাটালাম। সেখানে গিয়ে স্বাধীনতা স্তম্ভ দেখতে পেলাম। এটা এর আগে আমি কাছ থেকে দেখিনি। কারণ আমি আগেই বলেছি টিএসসিতে গিয়েছিলাম আমি দীর্ঘদিন পর। যেহেতু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল সেখানে স্বাধীনতা জাদুঘরটিও বন্ধ হয়েছিলো। যার ফলে সেখানে যেতে পারিনি। আমাদের সেই জায়গাটা খুব একটা ভালো না লাগলেও সাথে থাকা বাচ্চারা দেখলাম মহা আনন্দে সেখানে খেলাধুলা করছে। কারণ সেখানে বেশ কিছুটা জায়গা থাকার কারণে বাচ্চারা নিজের মন মতো দৌড়াদৌড়ি করতে পারছিলো।
তাছাড়া খেয়াল করে দেখলাম বইমেলার আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকগুলো স্টল ও ইতিমধ্যে প্রায় তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। আবার দেখলাম কিছু স্টলের কাজ তখনও চলমান। মনে হোলো মেলা শুরু হওয়ার আগে স্টলগুলোর কাজ শেষ হবে না। অবশ্য এটা নতুন কিছু না। প্রতিবারই দেখা যায় বইমেলা শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরেও বিভিন্ন স্টলের কাজ চলে। আমরা বইমেলার আয়োজন দেখে নিজেদের ভেতর আলোচনা করছিলাম। বইমেলা শুরু হওয়ার পর আসতে পারলে ভালো হোতো। তখন বই মেলাটা ঘুরে ফিরে দেখা যেতো। আগেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঘোরাফেরা শেষ করে কোনো জায়গা থেকে খাওয়া-দাওয়া করে তারপর বাসায় ফিরবো। তখন আমরা সবাই মিলে চিন্তা করতে লাগলাম যে কোথায় খাওয়া যায়। আমি তখন সবাইকে বললাম পুরান ঢাকা এখান থেকে খুব একটা দূরে নয়। তাহলে চলো সবাই মিলে হাজির বিরিয়ানি খেয়ে আসি। সবার প্রস্তাবটা পছন্দ হোলো। তারপর আমরা রওনা দিলাম হাজির বিরিয়ানির উদ্দেশ্যে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | ঢাকা |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই টিএসসির দিকে এখন সবসময়ই প্রচুর ভিড় থাকে। আমার প্রায়ই সেদিকে যাওয়া হয়ে থাকে। যাইহোক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটা হকারদের জন্য সবসময়ই নোংরা হয়ে থাকে। স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে যে স্তম্ভটা রয়েছে, রাতের বেলা সেটা দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তাছাড়া সেখানে বসে সময় কাটাতে দারুণ লাগে। আপনারা ডাক্তার দেখিয়ে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন ভাই। তাহলে পরবর্তী পর্বে পুরান ঢাকার হাজির বিরিয়ানি খাওয়ার গল্প জানতে পারবো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম ভাই। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।