ক্ষণিকেরও নাই ভরসা।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে
গত পরশুদিন আমার মামা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি ব্যবসা করেন পাশাপাশি রাজনীতিও করেন। তার সমস্ত চিন্তা ভাবনা ধ্যান-ধারণা, তার ব্যবসা এবং রাজনীতি নিয়ে। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার সমস্ত কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাতে পৃথিবীটা থেমে নেই। পৃথিবী তার নিজ গতিতেই চলছে। অথচ যখন তিনি সুস্থ ছিলেন তখন এতো ব্যস্ত ছিলেন মনে হতো তিনি থেমে গেলে হয়তো পুরো পৃথিবীটাই থেমে যাবে। আজ দুদিন হোলো তিনি হাসপাতালের বেডে চুপচাপ শুয়ে আছেন। তাতে কারো কোনো সমস্যা হচ্ছে না শুধু তার পরিবারের সদস্যরা বাদে। এই যে হঠাৎ থেমে যাওয়া বা আমাদের হঠাৎ চলে যাওয়া এই বিষয়গুলো দেখেও আমরা কিছু শিক্ষা নেই না।
আমাদের খুব কাছের কেউ যখন চলে যায় তখন কয়েকটা দিন আমরা হয়তো একটি অন্যভাবে চিন্তা ভাবনা করি। আবার সেই শোক কাটিয়ে উঠলে আমরা আগের জীবনে ফিরে যাই। অথচ আমরা যদি আমাদের মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে চিন্তাভাবনা করি তাহলে আমাদের বর্তমান জীবন যাপনে পরিবর্তন চলে আসে এবং সেই পরিবর্তনটা হয় ইতিবাচক। ধরুন একজন দুর্নীতিবাজ মানুষ। সে যদি তার জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তা করে মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে চিন্তা করে। তাহলে কিন্তু সে আর দুর্নীতি করতে পারবে না। তার মনের ভেতরে একটা ভয় কাজ করবে। এই কারণে আমাদের সকলেরই উচিত নিজেদের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন আনা। আমরা যে সাময়িক সময়ের জন্যই পৃথিবীতে এসেছি সেটা কখনো ভুলে না যাওয়া। আর এই চিন্তা ভাবনাটাই পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলেই ভাইয়া , যদি মৃত্যুর কথা চিন্তা করি তাহলে দুনিয়াটাই মিথ্যা মনে হয়। এতো কিছু নিয়ে চিন্তা করছি কিন্তু আগামীকালকেই যে বেঁচে থাকবো সেটার কোনোই নিশ্চয়তা নেই।
একদম ঠিক বলেছেন আপু।
যে বা যারা সবসময় মৃত্যুর কথা স্মরণ করবে,তাদের দ্বারা পাপকাজ খুব কম হবে এবং এটা একেবারে সত্যি কথা। তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করা। পৃথিবীতে আমরা দুই দিনের মেহমান মাত্র। তাই আমাদের উচিত ইহকালকে এতোটা গুরুত্ব না দিয়ে, পরকালের জন্য বেশি বেশি নেক আমল করা। যাইহোক আপনার মামার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ঠিক বলেছেন। মৃত্যুর কথা বেশি করে স্মরণ করলে তখন পাপ কাজ করার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে যায়।
কাল হ্যাং আউটে শুনেছি আপনার মামা অসুস্থ। তার জন্য দোয়া রইলো। তার পরিবারের এই সময়টাতে ধৈর্য ধরার শক্তি আল্লাহ দান করুন এমনটাই আশাকরি। সত্যি আমরা সবাই যদি মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে ভাবতে পারি তবেই সকল পাপ,অনাচার বন্ধ না হলেও কম হতো। সেই ভাবনা আমরা কখনো ভাবি না।ভাবলে আমাদের জন্য ই মঙ্গল হতো।
কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন আপু। আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমরা যতটা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করি মৃত্যু নিয়ে তার এক শতাংশ চিন্তা করি না। অথচ মৃত্যুই কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ। ব্যাপার টা এমন যার যাওয়ার সে চলে যাবে কিন্তু পৃথিবীর কিছুই থেমে থাকবে না। চলতে থাকবে আপন গতিতে। আমরা সবাই ভুল টা কোথায় করি জানেন ভাই আমি না থাকলে কী হবে কে দেখবে এগুলো ভেবে। আপনার মামার অসুস্থতার ব্যাপার টা গতকাল হ্যাংআউটে শুনেছিলাম। ব্যাপার টা খুবই খারাপ লেগেছিল। আশাকরি উনি খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন। উনার জন্য শুভকামনা।।
আপনার মামার অসুস্থতার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো ভাইয়া। আসলে পৃথিবীতে আমরা যেটাই করি না কেন পরকালে আমাদের সেই হিসাব দিতে হবে । আর এজন্যই মূলত আমাদের কর্মকাণ্ড গুলো এরকম ভাবে করা উচিত যাতে আমরা পরকালেও আমাদের আমল নামাটা ভারী করতে পারি। আর কেউ কারো জন্য থেমে থাকে না। হয়তো ক্ষণিকের জন্য সবার মায়া বসে যায়। সে মায়া কাটিয়ে উঠলেই কিন্তু আবার সবকিছু আগের মতো চলতে থাকে। কেউ কারো জন্য কখনোই অপেক্ষা করে থাকে না,জীবনটাও থেমে থাকে না নিজ গতিতে চলতে থাকে ।
আসলে দাদা কারো জন্যই কোনো কিছু থেমে থাকে না। পৃথিবী তার নিজের নিয়মেই চলে। তবে আপনার এই কথাটা একেবারেই ঠিক, যে আমরা যদি মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে চিন্তা করি তাহলে হয়তো আমরা অনেক খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে পারি। তাছাড়া ভালো কাজের মাধ্যমেও সবার কাছে পছন্দের মানুষ হিসেবে থেকে যেতে পারি। এজন্য আমাদের সকলেরই উচিত জীবনে সৎ পথে থেকে ভালো কিছু করা।