এলাকার বন্ধুদের সাথে ভুরিভোজ ও ঘোরাফেরা করা(প্রথম পর্ব)।
আপনারা জানেন এতদিন আমি বন্ধু ফেরদৌসের সাথে ঘোরাফেরা করতাম। তবে গত কিছুদিন হল এলাকার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মাঝে মাঝে ঘোরাফেরা শুরু করেছি। গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে এক রাতে বন্ধু রাসু বললো রাকিব নামের এক বন্ধু আমাদের সবাইকে বিরিয়ানি খাওয়াবে। প্রোগ্রাম করা হয়েছে শুক্রবার দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আমরা সবাই মিলে ঘুরতে যাবো। তখন আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কে কে যাবে? ও হিসাব করে বলল আমরা ছয় থেকে আট জন মানুষ হতে পারি। পরবর্তী কয়েকদিন আমাদের সেই ঘোরাফেরার প্রোগ্রাম নিয়ে মাঝে মাঝেই আলোচনা চলছিলো।
আমরা প্রথমে ঠিক করেছিলাম শহর থেকে কিছুটা দূরে আরামবাগ নামক জায়গায় একটি পার্ক আছে। আমরা খাবার দাবার নিয়ে সেখানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করবো। কিন্তু পরবর্তীতে পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হলো। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো খাবার টানটানি করা খুব ঝামেলা হবে। এই জন্য আমরা এলাকা থেকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারপর ঘুরতে যাবো। তবে এর একদিন পরে পরিকল্পনা আর আবার পরিবর্তন করা হলো। তখন ঠিক করা হলো আমরা কোনো পার্কে যাবো না। আমরা শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে চরভদ্রাসন নামক একটি এলাকা রয়েছে। সেই এলাকায় যাবো ঘুরতে। সেখানে পদ্মার শাখা নদী রয়েছে। সেই নদীর পারে বেশ মনোরম পরিবেশ। আমরা সেখানেই ঘুরতে যাবো।
কিছুদিন আগে কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখান থেকে একবার ঘুরেও এসেছে। তবে সেদিন ওরা ভালোভাবে ঘুরতে পারেনি। কারণ সেদিন ওরা চরভদ্রাসন যাওয়ার পরে বন্ধু রাসুর ভাগ্নে হঠাৎ করে অ্যাক্সিডেন্ট করে। সেই খবর পেয়ে দ্রুত ওরা সেখান থেকে চলে এসেছিলো। যাই হোক পরিকল্পনা পরিবর্তন হতে হতে শেষ পর্যন্ত এলাকায় খাওয়া-দাওয়া করে চরভদ্রাসনে যাওয়ার কথা স্থির করা হলো। আজ সকাল থেকেই আমি প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম দুপুরের দিকে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। সে কারণেই আমি ঘুম থেকে উঠে কাজ শুরু করেছিলাম। তবে কপাল খারাপ কাজে বসার কিছুক্ষণের ভেতরই কারেন্ট চলে গেলো। কিছুক্ষণ পর কারেন্ট এলে আমি আবার কম্পিউটারে বসলাম কাজ করার জন্য। কিছুক্ষণ কাজ করার পর আবার কারেন্ট চলে গেলো।
বুঝলাম আজকে আর দিনের বেলায় কাজ করা হবে না। সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরে কাজ করতে বসতে হবে। যাই হোক ইতিমধ্যে প্রায় দুপুর হয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের ভেতরে জুম্মার আযান শুনতে পেলাম। তারপর আমি তৈরি হয়ে চলে গেলাম নামাজ পড়তে। আমাদের কথা ছিলো নামাজ শেষ করে আমরা সবাই বন্ধু রাসুর বাড়িতে উপস্থিত হবো। তারপর সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা চরভদ্রাসনের দিকে রওনা দেবো। তবে আমি নামাজ পড়ে বের হয়ে বন্ধুবান্ধবদেরকে দেখতে পেলাম না। তখন আমি সরাসরি বাসায় চলে এলাম। চিন্তা করলাম ওরা আসলে তখন তো আমাকে ফোন দেবে। এই চিন্তা করতে করতেই পকেট থেকে ফোন বের করে দেখি বন্ধু রাসু ইতিমধ্যে ফোন দিয়েছিলো। মোবাইল ফোন সাইলেন্ট থাকার কারণে আমি বুঝতে পারিনি।
বন্ধু রাসুর ফোন দেখতে পেয়ে আমি ওকে কল ব্যাক করলাম। তখন ও বলল কিছুক্ষণের ভেতরে ওর বাড়িতে চলে যেতে। আমি বললাম তোর বাড়িতে খাবার-দাবার এসে পৌঁছালে আমাকে ফোন দিস। ও বলল ঠিক আছে। এর কিছুক্ষণ পরে বন্ধু রুবেল ফোন দিয়ে বলল তুই কোথায়? আমি বললাম আমি তো বাড়িতে বসে রয়েছি। ও বলল আমি সামনের একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। তাড়াতাড়ি এখানে চলে আয়। ওকে বললাম আমি তৈরি হয়ে কিছুক্ষণের ভেতরে ওখানে আসছি। আমি তৈরি হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে সেই দোকানের কাছে গিয়ে দেখি সেখানে বন্ধু রাসুও এসে উপস্থিত হয়েছে। তখন আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম বাকি সব কোথায়? ও তখন জানালো শোভন নামের আমাদের এক বন্ধুকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। আরও দুই বন্ধু এখনো এসে পৌঁছায়নি। এদিকে আমাদের পেটে ছুঁচোর নাচন শুরু হয়েছে। তাই আমরা বললাম চল আমরা গিয়ে খাওয়া শুরু করি। ওরা এলে খাওয়া দাওয়া করার পর তারপর আমরা একসাথে রওনা দেবো। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | হুয়াই নোভা 2i |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rupok |
স্থান | চরভদ্রাসন |
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বন্ধুদের সাথে যে কোন জায়গায় যাওয়ার প্লান করলে প্লান পরিবর্তন হবে এটাই স্বাভাবিক। এটাও একটা মজা যাইহোক ঘুরাঘুরি করার জন্য খাওয়া-দাওয়ার প্রস্তুতি ভালো ছিল বুঝতে পেরেছি। বর্তমানে লোডশেডিং এর পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সব জায়গাতে একই অবস্থা। বন্ধুদের সাথে কোথাও যাওয়ার প্লান করলে দেখা গেছে একজন এসে পৌঁছেছে অন্যজন পৌঁছেনি আবার অন্যান্য সমস্যা সবার ক্ষেত্রে একই রকম দেখছি। ঘোরাঘুরির প্রথম পর্ব ভালই লেগেছে ভাই।
আসলে বন্ধুরা মিলে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। বন্ধুরা একত্রে ঘুরতে গেলে মনে হয় বিভিন্ন একটা জগতে এসেছি।আপনারা ছয় থেকে আট জন বন্ধু মিলে পদ্মা নদীর শাখা নদীর একটি স্থানে ঘুরতে গিয়েছেন। জায়গাটি খুবই সুন্দর যা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম।এরকম নদীর পাড়ে সুন্দর একটি স্থানে আপনারা বন্ধুরা মিলে নিশ্চয়ই অনেক মজা করেছেন এবং খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া মুহূর্ত গুলো পড়লে আসলে ভীষন ভালো লাগে আমার।আমি পড়তে পড়তে নিজেই মনে হয় ঘুরতে চলে যাই। তাই এতো আনন্দ ফিল হয়।আর এক জায়গায় যাওয়ার কথা হলে একেক জন একেক জায়গায় যাওয়ার কথা বলাতে অনেক জায়গার নাম ই তখন চলে আসে।যাক শেষ মেশ চরভদ্রাসন নামক এলাকায় যাবেন বলে ঠিক করলেন।বন্ধুর বাসায় দুপুরে খেয়ে রওনা দিবেন বলে ঠিক করলেন। যাক আপনাদের যাত্রা শুভ হয়েছিল আশাকরি। পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
ভাই এগুলোর মধ্যে যে কী মজা , যারা করেনি তারা বুঝবে না। জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝে এমন সময়গুলোই জীবনকে আরেকটু তৃপ্ত করে দেয়।
আপনি বন্ধু বান্ধবদের সাথে প্রায়ই ঘুরাঘুরি করেন, যা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আগে থেকে প্ল্যান করলে বেশিরভাগ সময়ই পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই হুটহাট প্ল্যান আমার খুব ভালো লাগে। যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ করে চমৎকার একটি জায়গায় ঘুরতে যাবেন। আশা করি সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করবেন প্রতিটি মুহূর্ত। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।